সার্চ ইঞ্জিনগুলো মানুষ না। আর তাই মানুষ ওদের সাথে এমন সব কাজ করে যা সার্চ ইঞ্জিনের ভাল লাগুক আর নাই লাগুক যে কোন ব্যক্তির কাছে বাজে লাগে। গুগল র্যাঙ্ক পাওয়ার জন্য মানুষের যে কত আকাংক্ষা তা এই বেপারগুলো দেখলেই বুঝা যায়।
১. শিরোনামটি কীওয়ার্ড দিয়ে ভরে রাখা
এটা সত্য যে শিরোনামে কীওয়ার্ড থাকলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে। কিন্তু কথা হলো আপনার সাইটে যে ব্যক্তি আসবে তার সুবিধার কথাই তো প্রথম ভাবা উচিৎ। আরেকটা বেপার হলো শিরোনামটি সুন্দর ও মানানসই হওয়া দরকার। কীওয়ার্ড দিয়ে ভরে রাখলে ও মানানসই শিরোনাম লিখতে পারবেন না।
ছবিতে দেখুন শিরোনামটিতে squirrel অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে।
২. কনটেন্টে কীওয়ার্ড দিয়ে ভরে রাখা:
ইচ্ছাকৃতভাবে একই শব্দ অনেকবার ব্যবহার করে আর্টিকেলটিকে একেবারে অসুন্দর করা কি শোভন? সার্চ ইঞ্জিন অবশ্য কীওয়ার্ড ঘনত্ব হিসেব করে শব্দটিকে বেছে নিবে। তাই বলে প্রয়োজনহীনভাবে বারংবার একই শব্দ ব্যবহার আর্টিকেলটির পাঠ যোগ্যতা হারায়।
ছবিতে যে কনটেন্ট আছে তা পড়ে দেখুন তো….কত বার একই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
৩. মতামতে নিজের নাম না দেওয়া
অনেকে তার ওয়েব এড্রেস দিয়ে বা তার সাইটের কথা নামের স্থলে লিখে দেয় মতামতে। এটা যে বিরক্তকর তা সবাই বুঝতে পারে। এভাবে ভিজিটর ডেকে কোন লাভ নেই। এখনকার ব্লগার ও ভিজিটররা অনেক এডভান্স ।
৪. অতিরিক্ত অভ্যন্তরীন লিংকিং
অতিরিক্ত অভ্যন্তরীন লিংকিং করে কনটেন্টের পাঠ যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন অনেকে। বেশ কিছু ওয়েবসাইটে এত বেশি লিংকিং দেখে আমি আর সেখানে যাই না। একইভাবে ভিজিটর হারানোর ভয় থাকতে পারে-যদিও সার্চ ইঞ্জিনের জন্য বেপারটা খারাপ না।
ছবিতে দেখুন কিরকম বেশি বেশি ইন্টার লিংকিং করা হয়েছে।
৫. ব্যাক লিংকের জন্য ই-মেইল পাঠানো
অনেকে তাদের ওয়েব সাইটের একটা অংশে ব্যাক লিংক রাখার ও আদান প্রদানের কাজ করতে পছন্দ করেন। আর এজন্য অনেক বেশি মেইল করতে থাকে। এটা অতটা খারাপ না হলেও অনেকের কাছে এ ধরনের মেইল বিরক্তকর।
আমি মনে করি, সার্চ ইঞ্জিনের সুবিধার ও পাঠকের সুবিধা উভয় বিবেচনাই প্রয়োজনীয়। আপনারা কি মনে করেন, মতামতে জানিয়ে দিন।
এইভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে গিয়ে বরং হীতে বিপরীত হয় অনেক সময়। এগুলোকে এক প্রকার স্প্যামিং বলা যায়। আল্লাহ আমাদের এই সকল কৌশল থেকে দূরে রাখুন- আমিন 🙂
একমত
টিউটো ভাই ধন্যবাদ,
আসলে কোন কিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভাল নয়। আমি কীওয়ার্ডের ব্যবহার বা অভ্যন্তরীন লিংকিং সম্পূর্ণ রূপে বাদ দেওয়ার পক্ষপাতি নয় কিন্তু তার একটা সীমাবদ্ধতা থাকা দরকার। একটা লেখার মধ্যে অনেক বিষয় উঠে আসতে পারে সেক্ষেত্রে সবগুলো বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করাও সম্ভব নয় তাই এরকম পরিস্থিতিতে বিষয়টির সাথে সঙ্গতিশীল লিংকিং পাঠক পছন্দই করবে।
এখানে প্রতিটি বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিষয়ের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক ধরনের মাত্রারিতিরিক্ত সামাজিক নেটওয়ার্কে লিঙক প্রকাশ, টুইটারে সিডিউল পোস্ট ইত্যাদিও পাঠককে আপনার সম্পর্কে বাজে ধারনা তৈরী করে দিতে পারে।
Reputation is a great concern for the bloggers. So we do not produce too much back links if we needn’t so. Your popularity will come someday even if you do not optimize. Thats back link.
ব্যাক লিংকের বেপারে আরেকটা জিনিস মনে রাখা দরকার। একই পোষ্টে একই সাইটের বার বার ব্যাক লীংকের চেয়ে বিভিন্ন সাইটে লিংকিং করা উচিৎ। লেখাটির সৌন্দর্যের উপরে হানি না ঘটে এরকমভাবে ব্যাক লিংক করাই উচিৎ। আর ব্যাক লিংকের ক্ষেত্রে click Here না লেখাকেই সাপোর্ট করি।
ভাই, ৩ নাম্বার পয়েন্টের ব্যাপারে কিঞ্চিত দ্বিমত পোষন করছি। সেভাবে মন্তব্য করা হয় মূলত গুগলের জন্য যাতে সেটাকে সে ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে ধরে। আর ডু ফলো ব্লগ হলে তো কথাই নেই। তবে যাই হোক, নিচে Regards লিখে নিজের নাম দেওয়া উচিত। সাম্প্রতি হাসান ভাইয়ের ব্লগ ব্যাকলিঙ্ক এর ব্যাপারে বেশ বড় একটি লেখায় সেই পরামর্শই দিয়েছিলাম…
@Adnanএটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য ভাল। কিন্তু অনেক সময় দেখতে খারাপ লাগে। এরকম সাইটের নাম ও বড় (কী ওয়ার্ড) নামের অনেক স্প্যাম কমেন্ট দেখেছি। অনেকে এরকম নাম দেখে কমেন্টটাকে স্প্যাম হিসেবে পরিগনিত করতে পারে, অবশ্য মান সম্পন্ন কমেন্ট দিলে সাধারনতঃ সেটা হবে না।
আপনার আভিমতটাও বেশ ভাল। কমেন্টের নিচে নাম দিয়ে দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
সার্চ ইঞ্জিন optimisation এত জামে্লা !!
তাহলে মতামতে কি নাম দিবো ।
টাইটেল কিওয়ার্ডে ভরপুর করে রাখা আর অতিরিক্ত কিওয়ার্ডের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর
………………………………………………………….