বাংলাদেশের ইতিহাস ও বাঙালি জাতির পরিচয়

১।বাংলাদেশের সুচনা

বাংলাদেশের অপরূপ সুন্দর্য্যে ও উর্বর মাটি ও প্রাকৃতিক বৈচিত্রের কারনে সকল মানুষকে আর্কষন করে। এই বাংলাদেশটি বর্তমান অবস্থা আর প্রথমে জন্ম হওয়া বাংলাদেশের অবস্থার অনেক পার্থক্য রয়েছে।আমরা জানব আজকে থেকে খ্রিষ্টপূর্বে বাংলাদেশের অবস্থা কেমন ছিল।পুরাত্বান্তিক নির্দশন অনুযারি এখানে মানুষ বসবাস করে চার হাজার বছর আগে। ধারনা করা হয় তিব্বতরা এখানে বসতী স্থাপণ করেছিল।পরর্বতী এই অঞ্চলটি আস্তে আস্তে বিভক্ত হতে থাকে এবং স্থায়ী শাসকদের দ্বারা শাসীত হতে থাকে।কিন্তু তখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে কোনো সম্রায্য গড়ে ওঠে নি।

খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৫০ সালে গড়ে ওঠে অ্যানগা সম্রাজ্য। এতে এশিয়ার প্রথম সম্রাজ্য এই বাংলাদেশে গড়ে ওঠেছিল।সেই সময়ে ভারতে কোনো সম্রাজ্য গড়ে ওঠেনি।এরপর খ্রিষ্টপূর্ব ১২৫০ সালে পর্যন্ত এই এশিয়ার সম্ররাজ্য বড় হতে থাকে।এর সাথে কিছু রাজ্য নতুন করে তৈরি হচ্ছিল। এই রাজজ্যগুলো তৈরি হচ্ছিল হিমানয়ে নদীর সাথে দিয়ে।যেমন যমুনা ও গঙ্গার পাশ দিয়ে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪১৩ সালে নতুন এক সম্রাজ্য তৈরি হয়।৪১২ সালে মগজ সম্রাজ্য বর্তমান বিহার দখল করে নেয়।এর সাত বছর পর খ্রিষ্টপূর্ব৪০৫ সালে মগজ সম্রাজ্য অ্যানগা সম্রাজ্যকে হারিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলকে দখল করে নেয়।এরপর খ্রিষ্টপূর্ব ৩২১ সালে প্রায় অর্ধেক ভারত ও বাংলাদেশেসহ এক রাজ্যর তৈরি করে চন্দ্রগুপ্তমৌর্য নামক এক শক্তিশালি এক রাজা।শুরু হয় মৌর্য সম্রাজ্যর।

২। বাংলার শাসিত সময়কাল

খ্রিষ্টপূর্ব ২৯৯ সালে মৌর্য সম্রাজ্য সর্মপূর্ন ভারতকে দখল করে নেয়।কিন্তু খ্রিষ্টপূর্ব ১৪৫ সালে মৌর্য সম্রাজ্য পুরো বাংলাদেশ ও ভারত থেকে বিলিন হয়ে যায়। আর বার বার বাংলা সম্রাজ্যকে একেরপর এক রাজ্য দখল করতে থাকে।মূলত খ্রিষ্টপূর্ব ২৬৫ সালের পরে বাংলা অঞ্চলের বাংলা শব্দের নামকরন করা হয়।এরপর ৩৫৬ সালে বাংলা অঞ্চলকে গুপ্তরা দখল করে নেয়।এরপর চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দি পর্যন্ত গুপ্তরা রাজ্য শাসন করে।এরপর রাজা শসাষ্ক এই রাজ্য শাসন করে।

এরপর পাল বংশ রাজ্য দখল করে এবং শাসন কার্য চালাতে থাকে।এরা পরর্বতী চারশ বছর ধরে শাসন করে।এরপর সেনরাজ বংশ রাজ্যত্বে আসে।তাদের হাত ধরে বাংলায় ইসলাম ধর্ম আসে।এরপর আস্তে আস্তে মুসলিম শাসকেরা ইসলামকে ভালোভাবে জায়গা করে দেয়।এরপর ১২০৫-১২০৬ সালের দিকে ইক্তিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ ভোক্তিয়ার খিলজি নামক এক তূর্কি সেনাপতি রাজা সেন কে পরাজিত করে সেন বংশের পরাজিত গঠায়।এছাড়াও এই দেশে ইসলাম প্রবেশের জন্য আরবদের ভূমিকা রয়েছে।জলজ সুবিধার জণ্য বর্তমানের চট্রগ্রামে ইসলামের আর্বিভাব গঠে।এরপর ১৫৭৫ সালে আকবর সম্রাজ্য বাংলাকে দখল করে।এবং ঢাকায় বাংলার রাজধানী নামকরন করা হয়।এবং মুগল সম্রাট জাহাঙ্গিরের নাম অনুসারে ঢাকাকে নাম দেওয়া হয় জাহাঙ্গির নগর।এরপর বাংলায় ব্রিটিসদের আগমন গঠে।

১৬০০ সালের দিকে বানিজ্যকরার জন্য ইস্ট-ইন্ডিয়া কম্পানি নামক একটি প্রতিষ্ঠিত করে।এরপর ইস্ট-ইন্ডিয়ার কম্পানির একজন প্রতিনিদি জের্মস হার্ড ঢাকা প্রবেশের মধ্যে নিয়ে ইংরেজদের বাংলায় প্রবেশ করে।এরপর ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজঊদ্দৌল্লা কোলকাতা দখল করে নিলে লর্ডকাইভ এবং ওয়াসন সিপাহি নিয়ে আসে।এরপর লর্ডকাইভ সিরাজউদ্দৌলাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তার পরিবারের কিছু মাণুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে।এবং ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দোলাকে পরাজিত করে।এরপর সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়।এরপর ক্লাইভ, এখান থেকে অনেক টাকা আয় করত। ১৭৬০ সালে ক্লাইভ দেশে ফিরে গেলে সেখালে ইংরেজদের অবস্থা করুন হতে থাকে।এরপর ক্লাইভ আবার ১৭৬৫ সালে এখানে ফিরে আসে এবং ইংরেজদের গর্ভনর পদে যুক্ত হয়।এরপর ১৭৭০ সালে বাংলায় অনেক করুন অবস্থা দেখা দেয়।অনাবৃষ্টির কারনে দেশের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়।এক কোটি মানুষ সেই সময় না খেয়ে মারা যায়।এরপর ১৮৫৭ সালে হয়েছিল সিপাহী বিদ্রহ।এই বিদ্রহটি ছিল ইস্ট-ইন্ডিয়ার কম্পানির সিপাহীদের একটি সিপাহী বিদ্রহ।এরপর ১৮৫৮ সালে পুরো বাংলাদেশ ও ভারতসহ দেশের দ্বায়ীত্ব ব্রিটিসরা বহন করে।বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ ও ভারতের টাকা ও মুদ্রার যে পরিমান মূল্য রয়েছে তার থেকে মুগল সম্রাটের শাসন আমলে এই দেশের মূদ্রার দাম ইউরোপের থেকেও অনেক বেশি ছিল। কিন্তু ইংরেজরা সকল ধন সম্পদ এই দেশের থেকে লুট করে নিয়ে গিয়েছে।বাংলাদেশ ও ভারতের ইংরেজরা প্রায় দুইশ বছর রাজত্ব করে গিয়েছে।এই ইংরেজদের অবশেষে অবসান ঘঠে ১৯৪৭ সালে।

৩। বাংলাদেশের শাসনামল ও বাঙলা ভাসার উদ্ভাবন

তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সৈন্যদের সাহায্য করার শর্থ অনুযায়ী তারা বাংলা ও ভারত ছেড়ে চলে যায়।এরপর এই বাংলাদেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।একটি অংশ ছিল পূর্ব-পাকিস্তান এবং অন্য একটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তান।ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা ফিরে পেলেও বাংলাদেশ তাদের স্বাধীনতা পায় নি।এখন আমরা দেখবো কিভাবে পূর্ব-বাংলা আজকের এই বাংলাদেশ হিসেবে স্বাধীনতার স্বকৃত পায়।ইংরেজরা বিদায় নেওয়ার পর পাকিস্তানের সাথে পূর্ব-পাকিস্তানের দন্ধ বেধে থাকে।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের সরকার ঘোষনা করে উদুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা। এই কথা শুকে পূর্ব-বাংলার বাংলা ভাষার মানুষের মনে আগুন জলে ওঠে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদে রাজপথে মিছিল বের করে।তখন পুলিষ ১৪৪ দ্বারা আইন জারি করে কোনো মিছিল বের করার জন্য নিষেদ জানায়।

কিন্তু বাংলার মানুষ আইন অমান্য করে মিছিল নিয়ে বের হয়।সময়টি ছিল ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি।মিছিলে ছিল ঢাকা কলেজের ছাত্র ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।

আইন অম্যান্য করায় পুলিশ গুলি শুরু করে। সেখানে আহত হয় সালাম, রফিক, জব্বার আরো অনেকে।

বাংলাদেশের প্রধান ৮ টি শহর

https://www.google.com/url?sa=i&url=https%3A%2F%2Fwww.youtube.com%2Fwatch%3Fv%3Dw2Ixj_8uXds&psig=AOvVaw1snABHTqXHl3Aqqcxcr3Fz&ust=1603506118651000&source=images&cd=vfe&ved=0CAMQjB1qFwoTCPiT1fjTyewCFQAAAAAdAAAAABA8

ইতিহাসের প্রথমবার কোনো দেশ তাদের ভাষার জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছিলেন।আর এই স্বরনীয় ঘটনার দিনটিকে আজীবন স্বরনীয় করে রাখার জন্য আর্ন্তরজাতিক দিবস হিসেবে ভাষা শহীদ দিবস পালন করা হয়।

৪। বাংলার সব জয় ও নতুন স্বাধিন বাংলার জন্ম

বাংলার মানুষের এই অবস্থা দেখে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার নত শিকার করে বাংলার মানুষের কাছে। বাংলাভাষাই হয় পূর্ব- পাকিস্তানের মানুষের রাষ্ট্রভাষা।এরপর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে। আর এই দলকে সাহস ও প্রেরনা জোগাতে এগিয়ে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি জানায়।সেখানে পূর্ব-বাংলার সকল অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছিল।

এরপর পাকিস্তানিরা এগুলো মানতে পারে না।ততকালিন পাকিস্তানি সরকার আইয়ুব খান তার পদ থেকে অবসর নিয়ে ইয়াহিয়া খানকে পদে নিযুক্ত করে।কিন্তু তখনো বাংলার মানুষের উপর তারা নির্যাতন করতে থাকে। ১৯৭০ সালে বাংলার মানুষেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেত্রিত্রে এক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এখানে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী লীগ দল সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে জয় লাভ করে।

কিন্তু পাকিস্তানের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্ট তাদের পদ দিতে অস্বিকার করে। এতে বাংলার মানুষের মনে প্রতিহিংসা জন্মে থাকে।এরপর ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু এক বিশাল রেসকোস ময়দানে ভাষন দেয়।

যেই ভাষন বাংলার মানুষের জন্য মুক্তির সনদ হিসাবে পরিচিত লাভ করে।এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ২৫ শে মার্চ রাতে বাঙ্গালিদের ওপর হামলা করে।হাজার হাজার ছাত্র,বুদ্বিজীবীসহ বেধাবি মানুষকে মেরে ফেলা হয়।এরপর বাংলার মানুষেরা তার মাতৃভাষা ও দেশের জন্য জীবন দিয়ে মাত্র নয় মাসের যুদ্বের ত্রিশ লাখ প্রানের বিনিময়ে মাধ্যেমে স্বাধিনতা অর্জন করে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীরা বাংলার মানুষের কাছে আর্তসর্মথন করে।১৯৭৩ সালে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ নামে নামকরন করা হয় এবং বাংলাদেশ এক স্বাধিন দেশ হিসেবে মানচিত্রে পরিচিতি লাভ করে।

Leave a Comment