বর্তমান ইন্টারনেট বিশ্বে যত মানুষ জড়িত হচ্ছে দিন দিন ওয়েবসাইটের ব্যবহার বাড়ছে তত দ্রুত গতিতে। কারণ, যারাই ইন্টারনেটে সাথে যুক্ত হচ্ছেন তারাই নিজের বা ব্যবসায়ে উন্নয়নের জন্য তথ্য নির্ভর ওয়েব বানায় নিচ্ছেন চাহিদামত।এখানেও কারণ হিসেবে বলা যায়, মুখে বলে যত দ্রুত বুঝানো যায় তার চেয়ে একটি সাইটের মধ্যমে কয়েকগুণ বেশি দ্রুত বুঝানো সম্ভব। কিন্তু, সাইট বানালেই শুধু কাজ শেষ হবে না। সাইটের তথ্যকে সঠিকভাবে এবং আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করার মাঝেই সাইটের সার্থকতা।তাই চলুন দেখি একটি সাইট করতে হলে যেসকল বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে শুরু করতে হয় তার আলোচনা করি। আজ আলোচনা করবো ১০টি টিপস এর শেষ ৫টি নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব। তো চলুন…
১. মূল কন্টেন্টের আলোচনা সংক্ষিপ্ত করা:
কন্টেন্ট একটি ওয়েব সাইটের অনেক গুরুপ্তপুর্ণ একটি মাধ্যম আপনার সেবাকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। কিন্তু আপনার কন্টেন্ট এর আলোচনা অবশ্যই সংক্ষিপ্ত করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় এমন কোনও তথ্য যা আপনার গ্রাহক বিরক্তির কারণ হিসেবে ফেলে দিবে তা আলোচনা বা তুলে না ধরাই ভাল। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি। তাই, আপনার কন্টেন্টের আলোচনা সংক্ষিপ্ত করে সাথে রিলেভেন্ট ছবি যুক্ত করে দিলে ব্যাপারটি সৌন্দর্য্য বর্ধন করবে।
২.ন্যাভিগেশন মেন্যু:
একটি ন্যাভিগেশন মেন্যু আপনার ওয়েবসাইটের ৯৫ শতাংশ পেজের লিঙ্ক বহন করে(ইন্টর্নাল লিঙ্ক বাদে)। তাই ওয়েব সাইট ডিজাইন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ন্যাভিগেশন মেন্যু ডিজাইনের ব্যাপারটি সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে। এও মাথায় রাখতে হবে মেন্যু যেন অতিরিক্ত কালারফুল না হয়। একটি ওয়েব সাইটের সাধারণত যেসব মেন্যু ন্যাভিগেশন বারে থাকে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:Home, About, Summary, FAQ, Product, Portfolio, Contact ইত্যাদি।
৩. ছবি সংযোজন:
প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটেই বিভিন্ন পেজে ছবির ব্যবহারের দেখা মেলে। এর মূল কারণ হল- আপনি কোনও বিষয় লিখে যত দ্রুত বুঝাতে পারবেন না, সেখানে টপিক এর সাথে মিল রেখে নির্দিষ্ট মানের ছবি ব্যবহার করেই অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাহককে বুঝাতে সমর্থ হবেন। তবে হ্যাঁ, ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত্নশীল হতে হবে। ভুলেও ক্লিপ আর্ট জাতীয় ছবি ব্যবহার করবেন না ওয়েবসাইটে। এতে আপনার সাইটের মান কমে যেতে পারে। আর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারেন।
৪.প্রফেশনাল টেমপ্লেট:
টেমপ্লেট বলতে সাধারণত সাইটের অবয়বকে বুঝায়। আপনি যদি নিজেই টেমপ্লেট ডিজাইন করা জেনে থাকেন তবে নিজেই তা করে নিবেন এবং অবশ্যই তা প্রফেশনাল চেহারার হবে, যদি কোন পণ্য বা সেবা মূলক কাজ করবেন তবে। আর যদি ডিজাইন না যেনে থাকেন তবে কোন ডিজাইনার কে হায়ার করে ডিজাইন করায় নিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট। একটি কথা আপনার সাইট দেখতে যত প্রফেশনাল হবে আপনার এবং আপনার পণের উপরে গ্রাহকরা তত আস্থাবান হবেন।
৫.বানান পরীক্ষা করা:
একটি ওয়েব সাইটের সৌন্দর্য্যটা অনেক অংশে নির্ভর করে সেই সাইটের কন্টেন্টের বানান শুদ্ধতার উপরে। কারণ আপনি আপনার সাইটের যে বিষয়কে তুলে ধরতে যাবেন তাকে যদি নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করতে না পারেন তবে আপনার সাইটের মান কমে আসবে গ্রাহকের কাছে থেকে। তাই যেকোনো লিখা সেটা চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশ করার আগেই গ্রামার এবং বানান সঠিক আছে কিনা দেখে নিয়ে তারপর প্রকাশ করবেন। একান্তই যদি আপনি লিখতে অভ্যস্ত না হন তবে ভাল মানের লেখক হায়ার করে নিয়ে লিখিয়ে নিন। এতে করে আপনার লিখায় একটা উচ্চমান আসবে।
আজ এই পর্যন্ত!শীঘ্রই আসছি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
সেই পর্যন্ত,সবাই ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন! 🙂
অনেক ভালো লাগল । মূল কন্টেন্টের আলোচনা সংক্ষিপ্ত করা এটা খুব ভালো।