বর্তমান ইন্টারনেট বিশ্বে যত মানুষ জড়িত হচ্ছে দিন দিন ওয়েবসাইটের ব্যবহার বাড়ছে তত দ্রুত গতিতে। কারন, যারাই ইন্টারনেটে সাথে যুক্ত হচ্ছেন তারাই নিজের বা ব্যবসায়ে উন্নয়নের জন্য তথ্য নির্ভর ওয়েব বানায় নিচ্ছেন চাহিদামত। এখানেও কারন হিসেবে বলা যায়, মুখে বলে যত দ্রুত বুঝানো যায় তার চেয়ে একটি সাইটের মধ্যমে কয়েকগুন বেশি দ্রুতো বুঝানো সম্ভব। কিন্তু, সাইট বানালেই শুধু কাজ শেষ হবে না। সাইটের তথ্যকে সঠিকভাবে এবং আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করার মাঝেই সাইটের সার্থকতা। তাই চলুন দেখি একটি সাইট করতে হলে যেসকল বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে শুরু করতে হয় তার আলোচনা করি। আজ আলোচনা করবো ১০টি টিপস এর শেষ ৫টি নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব। তো চলুন…
৬. আপনার যোগাযোগ মাধ্যম উল্লেখ করাঃ
যদি কেউ আপনার ওয়েব সাইট থেকে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে আরো আগ্রহী হয় তবে সে অবশ্যই চাইবে যাতে সরাসরি কম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে। সরাসরি যোগাযোগ করার ফলে সেই ক্রেতা পন্যটি সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ধারণা পাবে এবং সেটি ক্রয় করতে আগের চেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হবে। তাই আপনি যখন ন্যাভিগেশন মেন্যু করবেন সেখানে একটি Contact পেজ অবশ্যই রাখবেন। সেখানে ইমেইল ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্যসহ আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার-ও সংযুক্ত করে দিতে পারেন, অবশ্য মোবাইল নাম্বার দেয়া না দেয়াটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার উপরে নির্ভর করবে।
৭. ভিজিটর কাউন্টারঃ
ভিজিটর কাউন্টার দ্বারা আপনি সহজেই দেখতে পারবেন প্রতিদিন আপনার ওয়েব সাইটে কতজন প্রবেশ করছেন। কোথায় এবং কোন কোন পেজে হিট করছেন। এবং কাউন্টারটি অবশ্যই আপনার সাইটের ব্যাকইন্ডে (ওয়ার্ডপ্রেস এবং জুমলা’র মত)রাখবেন কারন যদি কোন ভিজিটর আপনার সাইটের ডেইলি পেজ ভিউ দেখে ভেবে বসে যে আপনার সাইটটি হয়ত তেমন জনপ্রিয় না। এতে আপনার নিজের তথা কোম্পানির মান নিচের দিকে নামবে।
৮. পপ-আপ বারঃ
অনেক ওয়েব সাইটেই দেখা যায় প্রবেশ করা মাত্রই এই-সেই বিজ্ঞাপন লিঙ্ক, ফাইল শেয়ারিং লিঙ্ক, লিঙ্ক লাইক করার অনুরোধ হাবিজাবি। এটা হতে পারে আপনার সাইটের মার্কেটিং এর একটি অংশ কিন্তু এমনো হতে পারে অনেক মুল্যবান ক্রেতা বা গ্রাহক এগুলো দেখে আপনার সাইট থেকে সাথে সাথে চলে যেতে পারে। এখানে একটি কথা বলে রাখে ভালো, আপনি যদি ভাল গ্রাহক সেবা দিতে পারেন তাহলে আপনাকে এতো অনুরোধ করতে হবেনা। গ্রাহক নিজেই আপনাকে সম্মান জানাবে!
৯. সাজানো কনটেন্টঃ
প্রফেশনাল ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে সাইটের সকল কনটেন্ট(লিখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি) নির্দিষ্ঠ জায়গা মতো স্থাপন করা। সাইটকে প্রাথমিক অবস্থাতেই সাজিয়ে নিতে হবে কারন একটি প্রফেশনাল সাইট পুনঃপুন পরিবর্তন গ্রাহকদের বিপাকে ফেলতে পারে এবং এতে করে গ্রাহক আপনার থেকে আস্থা হারাবে যেকোন সময়ই।
১০. নিজেকে পরিচয় করানোঃ
নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিন আপনার গ্রাহকদের কাছে। তাদেরকে জানিয়ে দিন আসলেই তারা কার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করছে এবং পণ্য কিনছে। এতে তারা আপনার এবং আপনার কোম্পানি সম্পর্কে আস্থাভাজন হবে এবং আপনার সাথে দীর্ঘ ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরী করতে দ্বিধা করবেনা।
উপরের ৫টি সহ আগের পোস্টের ৫টি মোট ১০ টিপসকে যদি আপনি ফলো করতে পারেন তবে আপনার ওয়েব সাইট থেকে সাফল্য আসতে খুব বেশি দেরি হবে না। তাই নিজের শ্রম আর মুল্যবান সময়কে হেলায় না ভাসিয়ে লেগে পড়ুন ভাল কিছুর দিকে।
সেই প্রত্যাশ্যায়,
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন! 🙂
এই ব্লগ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে এবং জানার আছে। এছাড়া আপনি আরো অনেক জানতে পারবেন w3schools.com এই সাইট থেকে।
আসলে কি বলব শাওন ভাই। এটা আসলে খু্বই ভাল পোষ্ট হয়েছে। এই পোষ্টটি আমার জন্য আলাদা ভিজিটর এনে দিবে। ধন্যবাদ।