ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা

আজকে আমরা যে পৃথিবীকে দেখছি, একশত বছর আগে ঠিক এমনটা ছিলনা। আজকের পৃথিবী অনেক দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, তথ্য প্রবাহ, মানুষের জীবনযাত্রা, ব্যবস্যা বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রেই এসেছে গতি এবং স্বচ্ছন্দ। এই গতি এবং স্বচ্ছন্দের অন্যতম কারন ডিজিটাল বিবর্তন। বিবর্তন কথাটির অর্থ এখানে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

১০ বছর আগেও এনালগ টেলিফোন সেটই ছিল তথ্য আদান প্রদানের সবচেয়ে দ্রুততম মাধ্যম, কিন্তু বর্তমানে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতির মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি। বর্তমান সময়ের সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সমুহই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে। তাই এই সকল আধুনিক ডিভাইস সমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিৎ করা, নতুন এবং ব্যবহার বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা করা এবং সর্বপরি একজন প্রযুক্তিমনা আধুনিক পৃথিবীর মানুষ হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেমের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞন অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের গভীরে প্রবেশ করব।

ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা

আমরা সচরাচর যে সকল ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কম্পিউটার। এছাড়া ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল ক্লক, মোবাইল ফোন, ডিজিটাল কাউন্টার সবই আমাদের অতি পরিচিত ডিজিটাল ডিভাইস। এসকল ডিভাইসের সবগুলোই ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং এর মাধ্যমে কার্য সম্পাদন করে থাকে।

একটা বাস্তব উদাহরণ দেয়া যাক একজন ব্যক্তি কম্পিউটারের কি বোর্ড হতে E বাটনটি চাপ দিল, সঙ্গে সঙ্গেই কম্পিউটার মনিটরে E লেখাটি প্রদর্শিত হল। এখানেও কম্পিউটারকে ডিজিটাল সিগ্যাল নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। কম্পিউটার কাজ করে বাইনারী নাম্বার সিস্টেম নিয়ে । বাইনারী নাম্বার সিস্টেমে 0 এবং 1 এই দুটি অংক ব্যবহার করা হয়। যখন E বাটনটি চাপ দেয়া হয় প্রসেসর 0 এবং 1 দ্বারা গঠিত একটা সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং মনিটরে প্রদর্শনের জন্য অপর একটা বা বেশ কয়েকটা সিগন্যাল তৈরি করে যেমন 1100000000, 0000000000 ইত্যাদি ।প্রকৃত পক্ষে কম্পিউটারে অসংখ্য 0 এবং 1 এর সমন্বয়ে পিক্সেল গঠিত হয় আর এই পিক্সেল এর সমষ্টিই হল কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রদর্শিত কোন লেখা, গ্রাফিক্স বা এনিমেশন।

ডিজিটাল সিস্টেম বেশ কিছু লজিক সমীকরণ অনুসরণ করে কাজ করে। এ সকল লজিকের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডিজিটাল আই সি। যা খুব দ্রুত এবং সর্বোচ্চ দক্ষতায় কাজ করতে পারে। ডিজিটাল আইসি সহ অন্যান্য ইকুইপমেন্ট দামে সস্তা হওয়ায় বাজারে প্রতিনিয়ত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম কমছে কিন্তু দক্ষতা এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বহুগুণে। যা আমাদের জীবন যাত্রাকে করছে আধুনিক এবং সহজতর।

ডিজিটাল সিস্টেম এর কার্যপদ্ধতি ভালভাবে জানার জন্য অবশ্যই বাইনারী নম্বর সিস্টেম সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত ভালভাবে জানা যাবে।

5 thoughts on “ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা”

  1. এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের দুইটা সাবজেক্ট ছিল ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ১ – ২।
    বিষয়টা খুবই মজার। তবে এর যোগ-বিয়োগ খুবই জটিল ধরনের।

    1. @sam azgor,আপনি নিশ্চয় বাইনারী সংখ্যার যোগ-বিয়োগ এর কথা বলছেন । বাইনারী সংখ্যার যোগ-বিয়োগও কোন জটিল বিষয় নয়,আমাদের সাথেই থাকুন এই বিয়টিকে সহজ ভাবে উপস্হাপনা করা হবে।

  2. Wow, fantastic blog layout! How long have you been blogging for? you make blogging look easy. The overall look of your website is magnificent, let alone the content!. Thanks For Your article about ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা | টিউটোরিয়ালবিডি .

Leave a Comment