একটা বয়সে ছেলে মেয়েরা দ্রুত বাড়তে থাকে। কন্ঠস্বরে পরিবর্তনের ছোয়া আসে। চলাফেরায় শিশু ও যৌবনের সম্মিলিত ছোয়া তাদেরকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়। পোষাকগুলো হঠাৎ করেই শরীরের সাথে মানায় না। “তের-চৌদ্দ বছর বয়সের মতো বালাই আর নাই”। ঠিক তেমনি হঠাৎ করে কোন ব্যক্তি বা ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে ওঠলেও বিপত্তি দেখা দেয়। জনপ্রিয়তার সাথে সাথে সেই অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে পারাটা সহজ বেপার না। এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়। বেশ কয়েকটা ব্লগের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গেছে এবং তার দ্রুত সমাধান যে চরম কঠিন বেপার।
দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া বেশ কিছু বাংলা ও ইংরেজী ব্লগে কাছে থেকে বেশ কিছু সমস্যায় ভূগতে দেখেছি।তার কয়েকটি বর্ণনা করছি।
আমার এক বন্ধু একটি ইংরেজী ওয়েবসাইট পরিচালনা করতো। সাইটটি শেয়ার হোষ্টিং এ ছিল এবং এটিতে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা কামাই করা হতো। পাঁচ মাস পরে একটা সপ্তাহ গেল ভিন্ন রকমের। সাইটে গড়ে ১০০+ জন অনলাইনে থাকতো।
শেষ ৭ দিন আলেক্সা র্যাঙ্ক ১৫০০০ হয়ে গেল। একদিনে যেখানে ২/৩ ডলার আয় হতো সেখানে হুট করেই একদিন ৪০ ডরার আয় হলো। সাইটের এডসেন্স বন্ধ হয়ে গেল। কয়েকদিন পরেই সারভারে ব্যাপক চাপ পরলো। সিপিইউ এর ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে গিয়ে একাউন্ট বন্ধ করে দিল, মেডিয়া টেম্পল।
জনপ্রিয় ব্লগগুলোকে পরিচালনা করতে হয় টেকনিক্যাল দক্ষতা দিয়ে। ছোট ব্লগ চালাতে গেলে ব্লগস্পট বা ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাটফর্মে খুব সহজেই চালানো যায়। সাইটের ট্রাফিক হুট করে বেড়ে গেলে নতুন সারভারে তথ্যগুলো পরিবর্তন করে নেওয়াও সহজ কাজ না। সেই সাথে এই কম গতির ইন্টারনেটের দেশে নিয়মিত সাইটের ব্যাকআপ নেওয়াটাও কষ্টকর।
বাংলা ব্লগগুলোর অনেকেই টেকনিক্যাল সমস্যাগুলো দূর করতে বেশ কিছু ঝামেলায় পরে গেছে। অনেকে কোন সারভার নিবে তা সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না। কারন আগামী ছয়মাস পরে সাইট কোথায় গিয়ে দাড়াবে সেটা সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না। সবচেয়ে বড় কথা সাইটের গতির সাথে নিজের ট্যাকনিক্যাল ক্ষমতা দ্রুত ও আয় না বাড়লে সেটার সমাধানও কঠিন হয়ে পরে।
বেশ কিছু দিন আগে একজন জানালো, তার হোষ্টিং একাউন্ট বাতিল করে দিয়েছে, ব্যাকআপ নেওয়া তো দূরের কথা সি-প্যানেলেই ঢুকতে দিচ্ছে না। প্রতিবারই আমি তাদের হোষ্টিং প্রদানকারী সংস্থার সাথে আলাপ করতে বলি এবং সে তা না করে আমার সাথে আলাপ শুরু করে। এভাবে বেশ কিছু কম বাজেটের ওয়েবের তথ্য হারিয়ে যেতে দেখেছি।
একটি ওয়েবসাইটকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন কাজ। তবে এগিয়ে গেলে সেটার গতি নিয়ন্ত্রণ করা আরও বেশি কঠিন হয়ে ওঠে। আর তাই সাইটের গতিবিধিকে সবসময় নজরের মধ্য রাখতে হয়। পরিকল্পনা শক্তিশালী থাকতে হয়। অন্যের বর্তমান সমস্যা দেখে নিজের দূরদর্শি চিন্তা করতে হয়। ট্যাকনিক্যাল সমস্যা নিজে সমাধান করতে না পারলে টেকি লোক দিয়ে করিয়ে নেওয়া উচিৎ। এবং সব সময় সাইট থেকে একটা আয় বের করে আনার চেষ্টা ক
দারুণ লেখা মহবুব ভাই! তবে আপনার লেখার পুরনো পাঠক হিসেবে বলবো, “আপনার এখনকার লেখা গুলোতে আগের লেখা গুলোর মত প্রাণ নাই। সমস্যা কি বলেন তো?”
দারুন লেখেন ভাই । দোয়া করি আরও ভাল কেখেন।
নতুনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ধন্যবাদ মাহাবুব ভাই…
ধন্যবাদ আপনাকে এতসুন্দর একটি লেখার জন্য।
কিন্তু কোন সার্ভার ইউজ করবো সে ব্যাপারে যদি কোন উপদেশ থাকতো তাহলে অনেক উপকৃত হতাম।
ধন্যবাদ
অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে গেল ? ইস !!!
আপনার লেখাটি পড়ে আমি অনেক উপকৃত। ধন্যবাদ
আপনার লেখা বরাবর সুন্দর। ধন্যবাদ এই রকম একটি দিক নির্দেশনা দেবার জন্য।
প্ল্যানিং ও এনালাইজেশান থাকলে এমন সমস্যা হবার কথা নয় 🙂
হুম, তবে প্ল্যানিং ও এনালাইজেশান দক্ষ লোক দিয়েই করতে হবে! তাহলেই সম্ভব! 😉