শাওমি /Mi/Rimei কম্পানির ইতিহাস

বর্তমান বিশ্বর অন্যতম ব্যান্ডগুলোর মধ্যে সাওমি।মাত্র অল্প দিনের মধ্যে সাওমি বাজারে অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে। চায়না পন্য যে খারাপ নয় এইটাই প্রমান করে দিয়েছে সাওমি সেট। এছাড়াও সাওমি ইলেকট্রনিক সাইড এবং সাভিসিং সাইডে ও সফলতা অর্জন করে আসছে।আবার সাওমি ব্যান্ডে বেশ করেকটি প্রডাক ও পরিচালনা করে আসছে যা বিশ্বের মধ্যে সু- পরিচিতি লাভ করেছে।তাহলে আমাদের নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করবে যে মাত্র দশ বছরে সাওমি এত বড় জায়গা দখল করল কীভাবে।তো আমরা জেনে আসি সাওমির এত বড় হওয়ার পিছনে কারন।

সাওমি প্রতিষ্ঠাতা হলো লেই জুন। তার জন্ম ১৯৬৯ সালে চায়নার হবি প্রদেশে। ১৯৯২ সালে তার লেখাপড়া শেষ করে সে ইলেকট্রনিক সফটওয়ার কিং এ তিনি ইন্জিনিয়ারিং হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে তিনি ২০০০ সালে জয়ো ডট কম নামে একটি কম্পামি চালু করে যা কিছুদিনের মধ্যে অনেক সাফল্য ছড়িয়ে পরে। তারপর ২০০৪ সালে আ্যামাজন জয়ো ডট কমকে ৭৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে।এসময় বাজারে নকেয়া এলজি এই সকল ফোন চলছিল। তখনি বাজারে এলো অ্যাপল কম্পানি। ফোনটির নাম ছিল আইফোন।

তখন সবই এই ফোনটি জনপ্রিয়তা করে তোলে। তারপর লেই জুন সাওমির পরিকল্পনা করেন। তখন লই জুনের টাকার প্রয়োজান পরে। তারপর তিনি কয়েকটি কম্পানির কাছ থেকে টাকা নেয় এবং ২০১০ সালে ৬ ই জুন সাওমি প্রতিষ্ঠান করেন।শুরুতে সাওমি কম্পানি হিসাবে ৪ টি কম্পানি শুরু করেন। সাওমি হচ্ছে বর্তমান বাজারে বিশ্বের চার নাম্বার স্মার্ট ফোন। এখন আমরা জানব সাওমির সফলার সম্পর্কে। সাওমি ২০১০ সালে মিউ সের্টটি নিয়ে আসে যা বাজারে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তারপর ২০১১ সালে এম আই 1 ফোনটি নিয়ে আসে যার ব্যাটারি সহ অন্যান্য সকল দিক অনেক ভালো সার্ভিস দেয় যার জন্য এটিও অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সাওমি হলো বিশ্বের প্রথম কম্পানি যারা চায়নাদের ধারনাই পাল্টে দেয়।এর পর ২০১২ সালে এম আই 2 বাজারে নিয়ে আসে যা আগের দুইটি থেকে আর বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৩ সালে সাওমি প্রথমবারের মতো টেলিভিশন বাজারে নিয়ে আসে। তখন সবচেয়ে বেশি সাওমির বেচাকেনা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে সাওমি ভারতে অনেক সফলতা লাভ করে। এরপর ২০১৫-২০১৬ সালে সাওমির জনপ্রিয়তা কমে আসে।

২০১৫ সালের প্রথমে সাওমি পাচঁ ণম্বার তালিকা থেকে সরে আসে।এরপর ২০১৭-১৮ সালে সাওমি আবার ঘুরে দারায এবং সাওমি আজ বিশ্বের চার নাম্বার তালিকায় জায়গা দখল করে নিয়েছে।

Leave a Comment