আধুনিক নেটওয়ার্ক অবকাঠামো-২ সু্ইচ সংখ্যা ও ক্যাবল ওয়্যারিং

আধূনিক নেটওয়ার্ক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্যাবল কিভাবে টানা হবে। ছোট (-১০০ নোড) এবং মাঝারী (-৩০০ নোড) এর নেটওয়ার্ক ক্যাবলিং ডিজাইন সহজ হলেও একটু বড় (+১০০০) নোডের নেটওয়ার্ক ক্যাবল টানতে হলে আপনাকে একই সাথে তিন ধরনের জ্ঞান থাকা আবশ্যক যা অনেকেরই থাকে না।

  • ১. নেটওয়ার্ক ও সুইচিং এর জ্ঞান- (সুইচ কিভাবে কাজ করে)
  • ২. ক্যাবল টানার নিয়ম নীতি
  • ৩. পরবর্তি মেইনটেইন করার অভিজ্ঞতা

এর আগের পর্বে যে টিপসগুলো দিয়েছি তাতে অবকাঠামোর ধরন অনুসারে কি কি করতে হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এখন ক্যাবল ওয়্যারিং করার অপটিমাল পদ্ধতি ও টিপস আলোচনা করবো।

সুইচ সংখ্যাঃ

একটি নেটওয়ার্কে ১২০ নোড এবং সবগুলো নোড যদি ১০০ মিটারের মধ্য অবস্থান করে তাহলে আপনি কত পোর্টের কয়টি সুইচ ব্যবহার করবেন?

আপনাকে অবশ্যই কম সংখ্যক সুইচ দিয়ে নেটওয়ার্ক করার পরিক্ল্পনা করতে হবে। আপনি চাইলে ১৬ বা ২৪ পোর্টের সুইচ দিয়ে নেটওয়ার্কটি করতে পারেন। কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি না।

অনেকেই এটা বলবে যে আলাদা কয়েকটি জোন করে সেখান থেকে লাইন টানতে। কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি না। তাহলে আমি কি করবো?

আমি ১৬ বা ২৪ পোর্টের সুইচ ব্যবহার না করে কমপক্ষে ৪৮ পোর্টের সুইচ ব্যবহার করবো এবং সুইচগুলো একই জায়গায় রাখবো। মাঝামাঝি ও সুবিধাজনক জায়গায় সুইচগুলো সেট করার ব্যবস্থা করবো।

এ ক্ষেত্রে ক্যাবল খরচ বেশ বেড়ে যাবে। কিন্তু বেশ কিছু সুবিধাও পবো-

  • ১. একই জায়গায় হওয়ায় মেইনটেইন করা সহজ হবে।
  • ২. সু্ইচ সংখ্যা কম হওয়ায় নিজস্ব যোগাযোগ অপেক্ষাকৃত দ্রুত হবে।
  • ৩. বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সমস্যাটা সহজে ইউপিএস দিয়ে ম্যানেজ করা যাবে। একটি সেন্ট্রাল পাওয়ার ব্যাকআপ দিয়ে সবগুলো সুইচ একই জায়গায় ব্যাকআপ রাখা সহজ হবে।

Leave a Comment