আমাদের অনেকেরই ধারনা ইলেকট্রনিক্স একটি জটিল বিষয় । আর এ জন্যই আমরা এর গভীরে প্রবেশ করতে চাই না। ফল স্বরূপ আমারা পিছিয়ে যাচ্ছি প্রতি মুহুর্তে। জটিল কি? এই প্রশ্ন টির উত্তর আমরা অনেকেই হয়ত কখনো খুজে দেখিনি। প্রকৃত পক্ষে জটিল বলে আমরা যা মনেকরি তা হচ্ছে অতি সহজের সুসজ্জিত মহাসমাবেশ। আমরা ঘরে সাজসজ্জার জন্য অনেক জিনিসের সমাহার ঘটাই। তার মানে কি ওই ঘরে আমাদের জীবনপ্রনালী কঠিন হয়ে যায়? তা কখনও না, আমরা আমাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্যই আমাদের সবকিছুকে নানা জিনিসের সমাহার দিয়ে সাজাই। প্রকৃতপক্ষে অনেক জিনিসের সমাহার মানেই জটিল বা কঠিন নয়।এই ব্যপারটি ইলেট্রনিক্স টেকনোলজির ক্ষেত্রেও পুরোপুরি সত্য,। ইলেকট্রনিক্স হোচ্ছে ইন্জিনিয়ারিং এর একটি সাখা, যেখানে সেমিকন্ডাক্টর পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। কেও যদি ইলেকট্রনিক্সে হাতেখড়ি নিতে চায়, তকে প্রথমেই রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ট্রান্সফরমার, ডায়োড এবং ট্রান্জিস্টর মোটামোটি এই ছয়টি মৌলিক জিনিস সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি বা কম্পিউটার সম্পর্কে সামান্যতম ধারনা রাখি,তারা নিশ্চয় জানি যে কম্পিউটারে একটি মাদারবোর্ড থাকে এবং এর সাথে মাইক্রোপ্রসেসর, RAM ,পাওয়ার ইউনিট ইত্যাদি যুক্ত থাকে। কোন সাধারণ ব্যক্তিকে যদি আমি একটি মাদারবোর্ড দেখিয়ে বলি এটি কোন জটিল জিনিস নয়, এটিও ইলেকট্রনিক্স এর ওই মৌলিক ছয়টি জিনিস নিয়ে গঠিত, তাহলে হয়তবা সে প্রাথমিক ভাবে আমাকে উন্মাদ বলতে পারে। কিন্তু কথাটি সম্পুর্ন সত্য।কম্পিউটারে মেমোরি হিসেবে RAM, ROM, ও হার্ডডিক্স ব্যবহৃত হয়। আমরা যদি একটি RAM বা ROM এর গঠন বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখা যায় যে এটি নিদ্ধিষ্ট পরিমান শিফট রেজিস্টার নিয়ে গঠিত এবং পূনরায় যদি আমরা একটি শিফটরেজিস্টারকে বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যাবে যে তা Flip-Flop দ্বারা গঠিত।
এখানেই শেষ নয়, আমরা যদি আরও একটু ভেতরে প্রবেশ করি তাহলে দেখা যাবে যে একটি R-S Flip-Flop চারটি NAND gate নিয়ে গঠিত । ইলেকট্রনিক্স একটি চলমান টেকনোলজি । ইলেকট্রনিক্সে শেষ বলে কিছু নেই যেখানেই শেষ আবার সেখানেই শুরু। ফলে এখানে আমাদের মেধাশক্তির প্রয়োগ করার সুযোগ অনেক বেশি। সে যা হোক শেকড়ের সন্ধান কিন্তু অমাদের এখনও মেলেনি। এখন আমাদের অনুসন্ধানের বিষয় NAND gate। NAND gate এর গঠন অনুসন্ধান করলে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে প্রতিটি NAND gate দুটি ট্রান্জিস্টর ও একটি রেজিস্টর নিয়ে গঠিত । অনুসন্ধানের ফল স্বরূপ যা পাওয়া গেল তা থেকে একথা স্পষ্ট যে কম্পিউটারে মেমরি হিসাবে যে RAMবা ROM ব্যবহার করা হয় তার মূল অংশ শুধুমাত্র ট্রান্জিস্টর ও রেজিস্টরের মত অতি সাধারণ জিনিস নিয়ে গঠিত। আমরা যদি এভাবে প্রতিটি জিনিসের গঠনমূলক অনুসন্ধান করতে পারি তা হলে দেখা যাবে যে প্রতিটি জিনিসই অতি সহজের সুসজ্জিত মহা সমাবেশ।
ইলেকট্রনিক্সে শেষ বলে কিছু নেই যেখানেই শেষ আবার সেখানেই শুরু। ফলে এখানে আমাদের মেধাশক্তির প্রয়োগ করার সুযোগ অনেক বেশি।
———————————————
সত্যি সুন্দর আপনার উপস্থাপনা।
রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ট্রান্সফরমার, ডায়োড এবং ট্রান্জিস্টর মোটামোটি এই ছয়টি মৌলিক জিনিস সম্পর্কে আমি জানতে চাই।
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল » Blog Archive » সবার জন্য ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স, একটি ডিজিটাল পৃথিবীর সন্ধানে। (পর্ব:
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল » Blog Archive » সহজে তৈরি করুন ইন্টেলিজেন্ট কারেন্ট টেস্টার, একটি আকর্ষনীয় সার্কিট
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল » Blog Archive » লেখাপড়ার অলংকার!
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল » Blog Archive » এনিমেশন তৈরি করি (Macromedia Fireworks টিউটোরিয়াল)।
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল|বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টিউটরিয়াল সাইট | Bangla Tutorials » Blog Archive » ইলেকট্রনিক্স টিউটো
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল|বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টিউটরিয়াল সাইট | Bangla Tutorials » Blog Archive » সুখের সন্ধানে আমাদ