আপনি একজন ওয়েব পন্য বা সেবা প্রদানকারী হতে পারেন এবং অনেক সময়ই আপনার সাথে ফোনে বা ই-মেইলে বা চ্যাটিং এ ক্লাইন্টের সাথে বেশ ভাল যোগাযোগ হতে পারে। আর এ বেপারটি অনেকেই সুন্দরভাবে না পারায় তারাক্লাইন্ট হারাতে পারে। এ বেপারে আমি বেশ কিছু বিষয় অনুসরণ করি আর কিছু বিষয় অনুসরণ করার চেস্ট করি তা এখানে উপস্থাপনের চেস্ট করা হলো।

১. উপস্থপনা
উপস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার কথা বলার ভিতরে প্রফেশনাল এবং কর্ম উদ্যমী ভাবের পাসাপাসি আগ্রহের মনোভাবটিও প্রকাশিত হতে হবে। আপনি যদি ব্যস্ততার মাধ্যমে দ্রুত কথা বলে যান তাহলে হয়তো ক্লাইন্ট তার কথাগুলোও পরিচ্ছন্নভাবে বলতে পারবেন না। আপনি আপনার পণ্যের গুনাগুনের প্রচারের চেয়ে তাকে সহযোগিতা করছেন এমন মনোভাব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠতে হবে।
কোন তথ্য সম্পর্কে আপনি নিজে না জানলে বলতে হবে আমি বিষয়টি জেনে আপনাকে জানাচ্ছি। আপনার প্রতিষ্ঠানের অন্য কেউও কথা বলতে পারে।
২. পরিচ্ছন্ন এবং সন্দেহীনভাবে উত্তর দেওয়া
যে উত্তরটি দিবেন সেটি স্পর্কে আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকলে সেই বিষয়ে কথা বললে আপনাকে অদক্ষ মনে করা হবে এবং আপনার সেবা বা পন্য গ্রহণে প্রাথমিক অনিহা সৃষ্টি হবে যদিও আপনার পণ্যের পণ্য বা সেবার মান ভাল ।
৩. ক্লাইন্টের কথা শোনা ও ধরন বুঝে কথা বলা
এটা একটি বড় সমস্যা যে প্রথমেই কারো সাথে কথা বলে বুঝা যায় না যে তার কোন জিনিসটি প্রয়োজন। আর যদি ক্লাইন্টের প্রয়োজন এবং বাজেট সম্পর্কে আপনার ধারণা হয় তাহলে কতা বলা খুব সহজ হবে। ওয়েব হোস্টিং এর বেশ কিছু ক্লাইন্টের সাথে কথা বলে আমি এ বেপারটি বুঝতে পারি। তার সে ক্ষেত্রে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি যে কিসের সাইটের জন্য সে হোস্টিং নিতে চাইছে এবং তার কি পরিমান ওয়েব স্পেস এবং ব্যন্ডউইথ দরকার হয়।
ক্লাইন্টের সাথে তার প্রোজেক্টের বেপারে কথা বললে তিনি নিজে থেকেই অনেক কিছু বলে ফেলবেন এবং তার বেপারে জেনে ফেরতে পারবেন এবং কথা বলতে সুবিধা হবে।
আপনাকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। খুবই দ্রুত এবং ব্যস্ততা ভাব দেখিয়ে কথা বললে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিক্রয় বাড়াতে পারবেন না। আর আপনার স্পেশাল যে বিষয়গুলো আছে যা অন্য কোন সেবা প্রদানকারী থেকে পাবেন না- সেই বিষয়গুলোকে হাইলাইট করবেন।
৪. যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা
ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য অনলাইন যোগাযোগ টিপস এ আমি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছিলাম সেটি এখানে গ্রহণযোগ্য । ফেসবুক, ই-মেইল, মোবাইল, ফ্যাক্স যে যেভাবে যোগাযোগ পছন্দ করেন তার সাথে সেভাবে যোগাযোগের চেস্টা করা উচিৎ।

৫. পোর্টফলিও
নিজের পোর্টফোলিওটিতে সহজ ভাষায় সার্ভিস ও তার বিনিময়ের বেপারে স্বচ্ছ তথ্য রাখবেন। অনেকেই সম্পূর্ণ তথ্য না দিয়ে শুধু ই-মেইল করার কথা বলা থাকে যা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। ব্যক্তিগত পোর্টফলিওর বেপারে সুন্দর নির্দেশনা লিখেছেন খালিদ হাসানতার কিছু কিছু বেপার ব্যাবসয়ী পোর্টফলিওতেও রাখতে পারেন।
প্রতিটি ছোট ব্যবসায়ীরই এটি ওয়েবের সাথে একটি ব্যবসা ব্লগ থাকা দরকার, দিন দিন এটার প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলছে। যেকোন খোলা তথ্য শতবার মেইল না করে সাইটের এ কোন রেখে লিংকটি মেইল করলেই চলে এরকাম হাজারো প্রয়োজনীয় দিক রয়েছে। আর ব্যবসার পোর্টফলিও সাথে একটি ব্যবসা ব্লগ অংশ থাকলে দৈনন্দিন ব্যবসায়ীক কাজ কর্মের কিছু অংশ (যা সাবার জন্য উম্মুক্ত করলে সমস্যা নেই) তার আপডেট দিতে পারেন। আপনার ব্যবসায়ের উন্নতি, কাজের ধারা ও কাজ করতে গিয়ে সুবিধা অসুবিধা বর্ণনা করলে আপনি নতুন নতুন সম্পর্কও সৃষ্টি করতে পারেন। আপনার ক্লায়েন্টদের অনেকে সেই দিকে নজর দিবে। তবে ব্যবসায়ীক ব্লগে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য মেনে চলা জরুরী বলে মনে করি।
৬. প্রশিক্ষনের মনোভাব
অনেক ওয়েব ক্লাইন্ট-ই আপনার কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত জানতে চাইতে পারেন। আর তাদেরকে সহযোগিতা আপনার মার্কেটকে আরো বড় করে তুলতে পারে।
কাজের বাইরের কিছু কাজ করে দিলে ক্লাইন্ট সবসময়ই কৃতজ্ঞ থাকেন। আর তাই আপনাকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।
কৃতজ্ঞতাঃ সিক্স রিভিশন
10 January 2010
হুম !! 🙂