ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন-পর্বঃএক

সবচেয়ে জনপ্রিয় উম্মুক্ত সিএমএস ওয়ার্ডপ্রেসের থিম প্লাগিন আর রিসোর্সের পরিমান এত বেশি যে অল্প কয়েকদিনেই যে কেউ ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিজের একটি ওয়াবসাইট বানাতে পারে। বাংলাভাষায়ও ওয়ার্ডপ্রেসের রিসোর্স কম না। টিউটোরিয়ালবিডিসহ বেশ কিছু ওয়েবসাইটে ধারাবাহিক ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল আছে আর বাংলাদেশের অনেকেই নিয়মিত ওয়ার্ডপ্রেস থিম ও প্লাগিন ও ডেভলপ করে যাচ্ছেন। তবে  বাংলাভাষায় ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন বা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট অপটিমাজের উপরে লেখা চোখে পরে না। আমি কয়েক পর্বে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট অপটিমাইজেশনের উপরে আলোচনা করবো।

ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের জন্য প্লাগিন ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন থিম ব্যবহার করা হয়। আপনার ও আপনার ভিজিটরের ইন্টারনেট গতি এবং আপনার হোস্টিং সার্ভারের ধরনের উপরে নির্ভর করে প্লাগিন ও থিম পছন্দ করতে হবে।

থিম পছন্দঃ

থিম পছন্দের বিষয়ে কিছু কথা বলবো। আপনার ওয়েবসাইটটিতে যদি অনেক বেশি ভিজিটরের আনাগোনা খাকে বা খাকার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আপনাকে একটি হালকা থিম পছন্দ করার পরামর্শ দেবো। আজকাল এইচটিএমএল৫ এ কোডিং করা থিম পাওয়া যায় তা খেকে বাছাই করতে পারেন। সাধারনতঃ  ফটোশপে স্লাইসিং করে যে সব থিম ডিজাইন করা হয় তা তুলনামূলক ভারী হয়। ইদানিং সিএসএস৩ ও এইচটিএমএল৫ দিয়ে এনিমেশন বা স্লইডিং, গ্রাডিয়েন্ট ইত্যাদির ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। আর এর ব্যবহারে অনেক ছবিই ব্যবহারের দরকার হয় না তাই সাইটের এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট কম হয় এবং সাইট দ্রুত লোড হয়।

কিছু থিমে অনেক বেশি পরিমান জাভাস্ক্রিপ্ট  ফাইল ব্যবহৃত হয়েছে- দেখা যায়। অনেক বেশি ফাইল কল করার করানে সাইট অনেক স্লথ হয়ে যায়। তার তাই থিম পছন্দের বেপারে এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।

প্লাগিনের ব্যবহারঃ

প্লাগিনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফাংশনালিটি যোগ করা যায় মূলতঃ প্লা্গিনের বেশ কিছু ফাইল থাকে যা পিএইচপি ফাংশন। অনেক সময় প্লাগিনে জাভাস্কিপ্ট,সিএসএস, ছবি ইত্যাদির ফাইলও বিদ্যমান থাকে। আর একটি ওয়েবসাইট অনেকগুলো প্লাগিন ব্যবহারের ফলে অনেক বেশি ফাইল কল করতে গিয়ে সাইট ধীরগতি হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন না থাকলে বা কম প্রয়োজনের বেশি প্রাগিন না ব্যবহার করার পরামর্শ দেবো।

Leave a Comment