পোশাকের যত্ন নেওয়ার বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য পোশাকের কোন বিকল্প নেই। সুন্দরভাবে ও আরো আকর্ষণীয়ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য পোশাকের যেমন জুড়ি নেই, ঠিক তেমনি পোশাকটিকেও সুন্দর রাখার জন্য পরিচর্যা করার প্রয়োজন পড়ে। পোশাক ব্যবহারের ফলে এটিতে ধুলো ময়লা, দাগ ইত্যাদি লেগে নোংরা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই এটি পরিষ্কার ও ইস্ত্রি করে পুণরায় ব্যবহার উপযোগী করতে হয়।

আপনি নিশ্চয় খেয়াল করবেন যে, পোশাকের মধ্যে এক বা একাধিক লেবেল থাকে। তবে আমরা সাধারণত সেগুলো কখনোই গুরুত্ব সহকারে দেখি না, বা এটার যে প্রয়োজনীয়তা আছে তা আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে আসুন এখনই জেনে নেয়া যাক লেবেল ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য কি?

পোশাকে লেবেল ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য

লেবেল হল এক ধরণের ট্যাগ, যেখানে পোশাক ব্যবহারকারীকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে পোশাক সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া থাকে। তথ্য সমূহ হচ্ছে

  • পোশাকটি কোন ফাইবারের তৈরি
  • পোশাকের সাইজ
  • পোশাকের ব্রান্ড
  • প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের নাম
  • পোশাকটির যত্ন সম্পর্কিত কিছু চিহ্ন

 পোশাকটির যত্ন সম্পর্কিত চিহ্ন এবং এর গুরুত্ব

যে লেবেলে পোশাকের যত্ন সম্পর্কিত চিহ্নসহ তথ্য দেওয়া থাকে তাকে কেয়ার লেবেল (Care label)বলে। আর এই চিহ্ন গুলোকে কেয়ার কোড (Care code) বলে।আমরা এই কেয়ার কোড গুলো পর্যবেক্ষণ করে পোশাকটির কিভাবে যত্ন নিতে হবে, সে সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারি।আমাদের পছন্দের পোশাকটিকে দীর্ঘদিন সুন্দরভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের সকলেরই এই কেয়ার কোড সমূহ সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিৎ। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কেয়ার লেবেলিং কোড মূলত নিচের  চিহ্ন গুলোর সাহায্যে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

……………………………………………………..

আজ এখানেই শেষ করছি। কেয়ার লেবেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী লেখায়। আসুন আমরা আমাদের জ্ঞানের পরিধীকে বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের জানা ছোট ছোট বিষয় গুলিকে সবার সাথে বিনিময় করি।সবার জন্য শুভকামনা রইল।

27 May 2012

Leave a Comment