গ্রামে থাকার ৬ স্বাস্থ্য উপকারিতা

বাংলাদেশে শহরে থাকার বড় সুবিধা তিনটা-যে কোন সময় যে কোন পন্য পাওয়া যায়, ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে এবং চিকিৎসা সেবা পাওয়া সহজ। কিন্তু গ্রামে বসবাসের নানান প্রতিবন্ধকতা সত্বেও দারুএজমান সব স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাবেন গ্রামে বসবাসকারীরা।

village, গ্রাম
পিক্সাবে থেকে ছবিটি নেওয়া।

[tutosubscribe]

১. বাতাসে ভারী ধাতু

শহরে চলা গাড়ীগুলো নিয়মিতভাবেই নাইট্রোজেন অক্সাইড,, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ইত্যাদি তৈরী করে যাচ্ছে এটা গ্রহণ করার মতো পর্যাপ্ত গাছ পালা শহরে না থাকায় সরাসরি মানুষই তা গ্রহণ করে। কল-কারখানা ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও একইভাবে বাতাস দূষণ করে যাচ্ছে।

শহরে বসবাস করলে এজমা, ব্রংকাইটিসসহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর এটি মানুষের মনের উপরও প্রভাব ফেলে। অপরাধ প্রবণতার সাথে বাতাস দূষণের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য গাড়ীর ভিতরের বাতাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর – ঘর বা বাড়ির চেয়ে পাঁচগুন বেশি ভারী ধাতু গাড়ীর ভিতরে পাওয়া যায়।

[tutoadsense]

২. ওয়াসার পানির চেয়ে গ্রামের ডীপ টিউবওয়েলের পানি ভাল

ঢাকা ও অন্যান্য শহরের ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইনে নিয়মিত ত্রুটি আছে। একটু বৃষ্টি হলেই শহরের স্মরকগুলোতে পানি জমে যায় এবং ওয়াসার পানির পাইপে নর্দমার পানি প্রবেশ করে। আবার কিছু জায়গায় দেখবেন পায়খানার ড্রেনের ভিতর দিয়ে খাবার পানির পাইপ গিয়েছে।

picture source: Daily Star

কখনো কখনো ওয়াসার পানির চাপ কম থাকে বা পানিই থাকে না। এই সময় ময়লা পানি পাইপে প্রবেশ করে। তাই ওয়াসার পানি কখনোই ফিল্টার করা ছাড়া খাওয়া যাবে না। এর চেয়ে গ্রামের ডীপ টিউবওয়েলের পানি বেশি স্বাস্থ্যকর।

[tutoadsense]

৩. শব্দ দুষণের ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত শব্দ কানে শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয়। যারা নিয়মিত বেশ শব্দের কল কারখানায় কাজ করে বা গাড়ীর শব্দে বেশি সময় থাকে তাদের পরীক্ষা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। শব্দ দূষনের কারণে মনোযোগ কমে যাওয়া, ঘুম না হওয়া, বিষন্নতা বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানান সমস্যা হতে পারে।

[tutoadsense]

৪. বাধ্যতামূলক হাটাহাটি ও পরিশ্রম

গ্রামে থাকলে এমন কিছু রাস্তা ও যায়গা আছে যেখানে মানুষকে হেটেই যেতে হবে। শহরে চাইলেও হাটার মতো পরিবেশ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। হাটার ২৫ টি উপকারের উপর আমার লেখা দেখতে পাবেন। গ্রামে অনেক ধরনের কাজ নিজ হাতে করতে হতে পারে যা শরীরের জন্য ব্যায়াম হয়। শহরে অনেক সময়ই আমরা ব্যায়াম করতে পারি না।

[tutoadsense]

৫. তাজা খাবার ও ক্যামিক্যাল মুক্ত ফল

প্রকৃতিকে একেবারে কাছে থেকে দেখা যায় আর প্রকৃতিও উজার করে দেয়। প্রতিটি সিজনেই নতুন নতুন ফল, সাক, শব্জি চলে আসে আর খাওয়াও হয় তাজা খাবার। ক্যামিক্যালমুক্ত খাবার পাওয়া যায় কারন দূরে কোথাও বিক্রি করতে গেলে না পচার ক্যামিক্যাল দেওয়া হয়- যা এলাকার বাজারে দেওয়া হয় না।

সরাসরি তাজা মাছ রান্না করে খাওয়া যায়। অনেক দুর্লভ খাবার আছে যা হয়তো বাজারে পাওয়া যায় না তা খাওয়া যায়। অবশ্যসব অঞ্চলে সব ধরনের খাবার উৎপাদিত হয় না এজন্য কিছু জিনিস পাওয়া নাও যেতে পারে।

[tutoadsense]

৬. ফাস্ট ফুড ও প্রোসেজ ফুড না পাওয়া যাওয়া

শহরের অলিগলিতে রয়েছে ফাস্টফুডের দোকান। এই দোকানগুলোতে যে মুরগী রান্না হয় তা অনেক দিন ফ্রিজে রাখা হয়, অনেক খাবারের মান মেয়াদউত্তির্ণও। এমন কি থ্রি স্টার হোটেলেও দেখেছি ছয় মাস আগের ফ্রিজের মুরগী রান্না করতে।

Source: pixabay.com

শহরের ক্যানের খাবার, জুস, জেলী, ড্রাই ফ্রুট, চিপস, প্রোসেজ মাংশ ইত্যাদি না পচার জন্য ক্যামিক্যাল দেওয়া থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফাস্টফুডে রয়েছে ট্রান্সফ্যাট যা রক্তনালীতে জমে হার্ট এটাকের ঝুকি বাড়ায়।

অনেক গ্রামের বাজারে এসব খাবারের চাহিদা কম থাকায় এইসব খাবারের সরবরাহ বেশ কম। আর এটা গ্রামের মানুষের জন্য বেশ উপকারী।

বায়ু দুষনের অংশ লেখতে নিচের লিংকগুলোর সহায়তা নিয়েছি, তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

https://www.kent.co.in/blog/is-the-pollution-inside-your-car-killing-you-read-more-to-find-out/

https://www.ucsusa.org/clean-vehicles/vehicles-air-pollution-and-human-health