১. বিষয় বস্তু সম্পর্কে সু স্পস্ট ধারনা
কোন বিষয় সম্পর্কে উত্তম ধারনা না থাকলে সে বিষয়ে ভাল ভাষন দেয়া যায় না। বক্তাকে তার বক্তব্যের বিষয়ে গভির জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
২.বক্তব্যের ধারাবাহিকতা:
ভাষনের মধ্যে বিষয়কে পূর্বাপর সামঞ্জস্য রক্ষা করে ধারাবাহিকভাবে ও সুসৃঙ্খলতার সাথে উপস্থাপন করতে হবে। বিষয়ের বিভিন্ন সূত্রের গুরুত্ব বিবেচনা করে ধারাবাহিকতা সাজাতে হবে।
৩.ভাবের সংগতি:
ভাষনের বক্তব্য অবশ্যই বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ হতে হবে।
৪. পূনরুক্ত বর্জন:
একই কথা বারবার বললে শ্রোতারকাছে তা ভালো সোনায় না,শ্রোতার ধয্যচ্যুতি ঘটায়।
৫.সূচনা ও উপসংহার:
ভাষনে থাকবে আকর্ষনীয় সূচনা এবং পরিতৃপ্তকর উপসংহার
৬.যুক্তি, উপমা ও উদ্ধৃতির প্রয়োগ:
ভাষনের বিষয় আলোচনার জন্য প্রয়োজনে যুক্তির অবতারনা করতে হবে। উপমা ও উদ্ধৃতির সঠিক প্রয়োগে বক্তব্যকে স্পস্ট ও হৃদয়গ্রাহী করতে সক্ষম হতে হবে।
৭. বক্তব্যে আন্তরিকতা:
ভষনে বক্তার আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে আন্তরিকতা ফুটে উঠতে হবে। যা বলা হবে তা সম্পর্কে আস্থাশীল থাকতে হবে, কোন দিধা-দ্বন্দ থাকতে পারবে না।
৮. ভাষা নির্বাচন:
বিষয়বস্তু উপযোগি ভাষা নির্বাচন করতে হবে।
৯.ভাষারীতি:
ভাষনের ভাষা হবে চলিত রীতি।
১০. ভাষার বোধগম্যতা:
সহজ সরল ভাষা ব্যবহার করতে হবে। শ্রোতার শিক্ষার মান বিবেচনা করে ভাষার প্রয়োগ করতে হবে।
১১. আবেগময় ভাষার পরিমিতবোধ:
ভাষনে আবেগ-উচ্ছ্বাস প্রকাশে সংযত হতে হবে। শ্রোতার মনে প্রভাব বিস্তারে আবেগের প্রয়োজন হতে পারে তবে বহুল্য বর্জন করতে হবে।
১২.রসবোধ:
ভাষনের প্রকাশভঙ্গিতে রসের সঞ্চার করতে হবে। হাস্যরস,রম্যকৌতুক ব্যবহারে পরিমিতবোধ থাকতে হবে।
১৩.বাচনভঙ্গি:
ভাষনের সুষ্ঠ উপস্থাপনের জন্য আকর্ষনীয় বাচনভঙ্গির প্রয়োজন।