নীল তিমি

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী হল নীল তিমি। সামুদ্রিক এই স্থন্যপায়ী লম্বায় ১০০ ফুটের বেশি হয় এবং ওজনে ২০০ টন বা ১৮১ মেট্রিক টন। নীল তিমি সাধারণত ‘ক্রিল’ নামের অত্যন্ত ক্ষুদ্র এক ধরনের চিংড়ি মাছ খেয়ে থাকে।একটি পূর্ণ বয়স্ক তিমি ৪ টন ক্রিল হজম করে থাকে একদিনে। নীল তিমিদের “বালিন তিমি” বলে থাকে। বালিন হল খাদ্য পরিশুধনের একটি ঝালর বিশিষ্ট থালা যা মুখের ভিতরে থাকে।

নীল তিমি

দৈত্যাকৃতির এই প্রাণী প্রথমে প্রচুর পানি গ্রাস করে, কুঁচকানো চামড়া প্রসারিত করে এই পানি তারা তাদের গলায় এবং পেটে নেয়। এরপরে তিমি তার বৃহদায়তন জিহ্বা পানিতে পাতলা করে চাপ দেয় বালিন প্লেট উপরে চেপে থাকে। এর মধ্যে হাজার হাজার ক্রিল গ্রাস হয়। নীল তিমকে সমুদ্রের পানির নিচে নীল দেখায় কিন্তু বাস্তবে তাদেরকে ধূসর নীল দেখায়। অসংখ্য জীবাণু তাদের পেটের নিচে অবস্থান করে যার জন্য তিমির শরীরের এর অংশ হলুদাভ আকার নেয়। নীল তিমির একটি প্রশস্ত সমতল মস্তিস্ক রয়েছে। তাদের লম্বা দেহটি একটি ছোটখাটো দিপাকৃতির হবে যা ত্রিকোণাকারে আকস্মিক সমাপ্ত হয়েছে।
দক্ষিন ও উত্তর মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর,ভারত মহাসাগর সকল সমুদ্রে নীল তিমি রয়েছে।

নীল তিমি

নীল তিমি সচরাচর একা অথবা জোড়া হয়ে একসাথে ঘুরে বেড়ায়। এরা ছোট ছোট দলে সাতার কাটে।গ্রীষ্মকালে তারা প্রায়ই মেরু অঞ্চলের জল ভোজন করে সময় কাটায়। শীতকালে তারা নিরক্ষীয় অঞ্চলে বাস করে । তারা ঘণ্টায় ৮ কিমি সাতার কাটতে পারে। কিন্তু উত্তেজিত অবস্থায় এরা ঘণ্টায় ৩২ কিমি বেগে সাতার কাটতে পারে!

নীল তিমি অনেক উচ্চস্বরে আওয়াজ করতে পারে যা পৃথিবীর অন্যকোন প্রাণীর পক্ষে অসম্ভব। এরা একে অপরের সাথে ১৬০০ কিমি দূর থেকে শিস দিয়ে ভাব বিনিময় করতে পারে। তিমি মাছ হলেও প্রানির মত বাচ্চা জন্ম দেয় ডিম পারেনা।
মানুষের আয়ুর তুলনায় এরা বেশিদিন বাঁচে,এদের  গড়পড়তা  বয়স ৮০-৯০ বছর বাঁচে।

5 thoughts on “নীল তিমি”

  1. আজব দুনিয়ার অনেক প্রানী সম্পর্কেই আমরা জানি না। আপনার লেখার মাধ্যমে অনেকেই অনেক বিসয় জানতে পারছে। আশা করি আপনি নিয়মিত প্রানীজগত সম্পর্কে লিখে যাবেন। ধন্যবাদ।

  2. Wow, marvelous blog layout! How long have you been blogging for? you make blogging look easy. The overall look of your web site is great, let alone the content!. Thanks For Your article about নীল তিমি | টিউটোরিয়ালবিডি .

Leave a Comment