নানা বর্ণের বাহারি পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে কার না ভাল লাগে। বিভিন্ন বৈচিত্রময় নকশা বা ডিজাইনের পোশাক মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করে। পোশাকে বিভিন্ন রকম নকশা তৈরির অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রিন্টিং। আমরা স্বাভাবিক ভাবেই প্রিন্টকৃত কাপড় পরিধান করতেই বেশি পছন্দ করি। কেননা বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় নকশা ও রঙের সমাহার এবং তুলনামূলক মূল্য কম হওয়ায় সহজেই আমাদেরকে আকৃষ্ট করে।
বর্তমানে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রিন্টকৃত পোশাক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি, নিজের পোশাকটি যদি নিজেই প্রিন্ট করতে পারতেন তাহলে কেমন হতো? তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক প্রিন্টিং সম্পর্কিত বিষয়াবলী আর নিজের ডিজাইনকৃত পোশাকে নিজেকে করে তুলুন আরো আকর্ষণীয়, আরো স্মার্ট।
প্রিন্টিং সম্পর্কিত কিছু কথা
সাধারণ অর্থে প্রিন্টিং হচ্ছে ছাপানো। টেক্সটাইল প্রিন্টিং বলতে কাপড়ের উপর স্থান বিশেষে বিভিন্ন নকশা বা ডিজাইন, যান্ত্রিক/হস্ত দ্বারা ও রাসাইনিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ডাইস্টাফ ও অন্যান্য সহায়ক রাসাইনিক পদার্থ প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট কালার ইফেক্ট তৈরি করাকেই বুঝায়। এটি রং করার আরেকটি পদ্ধতি ব্যাতিত আর কিছুই নয়।
[tutoadsense]
প্রিন্টিং এ ব্যবহৃত উপাদান সমূহ এবং তাদের কার্যাবলী
কাপড়ের উপর বিভিন্ন নকশা ডিজাইন অনুযায়ী ফুটিয়ে তুলে বিভিন্ন কালার ইফেক্ট তৈরি করার জন্য ডাইস্টাফ বা পিগমেন্ট, থিকেনার এবং বিভিন্ন ক্যামিকেলের সমন্বয়ে যে ভিসকাস পেষ্ট তৈরি করা হয় তাকে প্রিন্টিং পেষ্ট বলে। তাই আমাদের প্রিন্টিং পেষ্টে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান সমূহের কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক এদের কার্যাবলী।
ডাই বা পিগমেন্টনির্দিষ্ট কালার ইফেক্ট প্রদান করা এর কাজ। যেমন ভ্যাট ডাই, রিয়েকটিভ ডাই ইত্যাদি।
[tutosubscribe]
ওয়েটিং এজেন্ট ওয়েটিং এজেন্ট পানির পৃষ্ঠটান(Surface tension) কমিয়ে দিয়ে রংকে দ্রবণীয় হতে সহায়তা করে। যেমন টার্কি রেড ওয়েল।
থিকেনার থিকেনারের প্রধান কাজ হল নমনীয় ও ভিসকাস পেস্ট তৈরি করতে সহায়তা করা, যেন নকশাটি ছাপানোর সময় কাংক্ষিত স্থানের মধ্যেই থাকে এবং এর বাইরে যাতে ছড়িয়ে না যায়।
অক্সিডাইজিং এবং রিডিউসিং এজেন্ট প্রিন্টিং করার পর নকশাটিকে স্থায়ীত্ব ও ফাইনাল কালার ডেভেলপ করতে অক্সিডাইজিং এবং রিডিউসিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। যেমন সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইট, সোডিয়াম ক্লোরেট ইত্যাদি।
5 thoughts on “নিজের পোশাক নিজেই প্রিন্টিং করুন – (পর্ব-১)”
ক্যামিকেল ব্যবহার করে কাপড়ে ব্লক, বাটিক প্রিন্ট করি …ঠিক মুখস্ত ভুলির মত 😛
কোনটা কি কাজ করে তার সব জানা না! ধন্যবাদ লেখককে ক্যামিকেল এর কার্যাবলী জানানোর জন্য।
ভাই আমার কিন্তু আপনার পোষ্টটা খুব ভালো লেগেছে।
আপনি চালিয়ে যান।
মাঝে মাঝে উপকরণ গুলোর প্রাপ্তিস্থান জানিয়ে দিলে আরও উপকৃত হবো।
ক্যামিকেল ব্যবহার করে কাপড়ে ব্লক, বাটিক প্রিন্ট করি …ঠিক মুখস্ত ভুলির মত 😛
কোনটা কি কাজ করে তার সব জানা না! ধন্যবাদ লেখককে ক্যামিকেল এর কার্যাবলী জানানোর জন্য।
উপকরণ গুলোর প্রাপ্তিস্থান গুলা জানালে উপকৃত হব…
h
print er prokar,eder upokoron,price range,prapti sthan,kon kapor a kon print kora uchit etc janale sobar upokar hoto
fgfggg