এডিলি পেঙ্গুইন অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সমুদ্রতীর উপকূল পরিবেষ্টিত খুবই ছোট জায়গার মধ্যে বাস করে।শীতকালে তারা সমুদ্র থেকে দূরে বরফ দিয়ে পরিবেষ্টিত উপকূলে সময় কাটাই।
এডিলি পেঙ্গুইন লম্বায় ৪৬ থেকে ৭৫ সেমি. ( ১৮ থেকে ৩০ ইঞ্চি) এবং ওজনে ৩.৬ থেকে ৬ কেজি হয়ে থাকে।
এডিলি পেঙ্গুইন সাধারনত অতি ক্ষুদ্র জলজ যেমন- ক্রিল(চিংড়ি বিশেষ),মাছ এবং শামুক খেয়ে থাকে। সাতারে খুব পারদর্শী হয় এডিলি পেঙ্গুইন। তারা ডুব দিয়ে ৫৭৫ ফুটের বেশি গভীরে পর্যন্ত কোন কিছুর সন্ধান করতে পারে।যদিও তারা সচরাচর অগভীর জলে খাবারের সন্ধান করে।
অন্যান্য পেঙ্গুইন প্রজাতির মত এডিলি দেখতে মসৃণ এবং সাদা কালো মিশ্রণে তাদের পালক তৈরি।তারা খাবারের সংগ্রহে ১৮৫ মাইলের বেশী ভ্রমণ করে।
বসন্ত কাল বা অক্টোবর তাদের প্রজননের সময়।এ সময় তারা পাথুরে এন্ট্রাকটিকায় চলে যায় যেখানে তাদের বৃহত্তর সম্প্রদায়সহ অনেক প্রজাতির পাখি বাস করে।
এডিলিরা বাসা বানায় এবং চলার জন্য সীমারেখা দিয়ে থাকে।
যদিও তারা তাদের “হংস গমনের” জন্য বিখ্যাত।এই হংস গমনেই তারা অনেক দুরত্ব অতিক্রম করে । বসন্তের শুরুতে বরফ চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ার আগে তাদের ৩১ মিলে হাঁটতে হয় তাদের সমুদ্রতীরবর্তী বাসায় পোঁছাতে।
পুরুষ এডিলি পেঙ্গুইন তাদের সহচরিদেরকে বাচ্চা পালনে সাহায্য করে।
নিবিড় পর্যবেক্ষন ছাড়া পুরুষ ও স্ত্রী উভয় প্রকার পেঙ্গুইনকে হুবহু একই মনে হবে। তারা একসাথে ২ টি ডিমে পালাক্রমে বদলি তা দেয় এবং এই সময় তারা যথেষ্ট নিরাপদে থাকার চেষ্টা করে শিকারিদের হাত থেকে । বাচচা ফোটার পর যদি খাদ্য কমে আসে তাহলে ২টির মধ্যে একটি বাচ্চা টিকে থাকতে পারে। ৩ সপ্তাহ পরে এডেলি পেঙ্গুইন মা-বাবা তাদের বাচ্চাদেরকে ত্যাগ করে। যদিও নিরাপত্তার জন্য তারা প্রায় জড়ো হয়ে বসবাস করে। তরুণ পেঙ্গুইনরা নয় সপ্তাহ বয়স থেকে সাতার কাটতে পারে।