সামুদ্রিক টিয়া – অ্যাটলান্টিক পাফিন

অ্যাটলান্টিক পাফিন দেখতে পেঙ্গুইন এর মতই সাদা কালো রঙের পাখি। কিন্তু তাদের একটি রঙিন ঠোঁট রয়েছে যার জন্য এদেরকে  সমুদ্র টিয়াপাখি বলে।
শীতকালে ঠোটের রঙ ম্যাটমেটে বাদামী ধূসর হয় আবার বসন্ত আসার সাথে সাথে এটি রঙে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।ব্যতিক্রমধর্মী এই পাখি সত্যিই অন্যান্য সামুদ্রিক পাখিদের তুলনায় আকর্ষণীয় দেখতে।


এই জাতীয় পাখি বেশির ভাগ সমুদ্রে সাতার কেটে মাছ সংগ্রহ করে সময় কাটাই। না হয় আকাশে উড়ে বেড়ায়।  তারা সমুদ্রের নিচে খুবই দুর্দান্ত সাতার কাটতে পারে। তারা ২০০ ফুট অর্থাৎ ৬১ মিটার গভীরে ডুব দিতে পারে যদিও তারা পানির নিচে ২০ থেকে ৩০ মিনিট থাকে মাত্র ।পাফিনরা সচরাচর ছোট মাছ যেমন-হেরিং, সেন্ড ইল এর সন্ধান করে।
বাতাসে তারা আশ্চর্যজনক উড়তে পারে! তারা তাদের ঝটপটে ডানা ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৮৮ কিমি. বেগে উড়তে পারে। প্রতি বসন্ত এবং গ্রীষ্মে অ্যাটলান্টিক পাফিন উত্তর অ্যাটলান্টিকের দ্বীপ এলাকায় চলে আসে । আইসল্যান্ড হল অ্যাটলান্টিক পাফিনের প্রজননের নিরাপদ স্থান। পৃথিবীর ৬০ ভাগ পাফিনের প্রজনন  এইখানে হয়।


এইপাখি পাথরের গভীরে গর্ত খুড়ে তাদের বাসা বানায়, যা তারা পালক ও ঘাস দিয়ে সাজিয়ে থাকে। স্ত্রী পাফিন একটি ডিম পাড়ে, এবং বাবা মা উভয়ই পালাক্রমে বদলী হয়ে ডিমে তা দেয়। যখন ডিম ফোটে বাচ্চা বের হয় , তার মা বাবা পালাক্রমে ছোট মাছ সংগ্রহ করে বাচ্চাকে খাওয়ায়।পাফিন দম্পতি প্রায়ই একই গর্তে প্রতি বছর পুনর্মিলিত হয়। কিভাবে এই পাখি তাদের
বাড়ি চিহ্নিত করে ব্যাপারটা অস্পস্ট । হতে পারে তারা চোখে দেখে, গন্ধ নিয়ে, শব্দ নিয়ে, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে অথবা তারা দেখে বাসা চিহ্নিত করে থাকে।

Leave a Comment