ইন্টারনেটের সুবাদে যারা এখন ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক তারা আশা করি নিশ্চই ব্যাকলিঙ্ক শব্দটির সাথে পরিচিত। অনেকে পরিচিত নাও থাকতে পারেন, এমন অনেকেও হয়তোবা আছেন যারা জানেন এ সম্পর্কে কিন্তু ধারণা ভাসাভাসা। আমার লেখাটি তাদের উদ্দেশ্যেই করা। এডভান্সড লেভেলের কেউ তেমন উপক্রিত হবেন না, কারণ এই লেখায় শুধু সাধারণ জ্ঞান দেয়া হবে এই টপিকে।
সার্চ ইঞ্জিনে একটি সাইটের র্যাঙ্কিং এর জন্যে বেশ কিছু বিষয় কাজ করলেও প্রধান দু’টি বিষয় হলো
১.অন-পেজ অপটিমাইজেশন এবং ২.অফ পেজ অপটিমাইজেশন।
অন পেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে সজীব ভাইয়ের এই টিউনটি দেখতে পারেন। এই লেখায় অন-পেইজ অপটিমাইজেশন নিয়ে বিস্তারিত না বলে সরাসরি মূল কথায় চলে যাই। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর প্রধান অংশ ব্যাকলিঙ্ক।
যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটকে লিঙ্ক করা হবে তখন তা ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে। আর এই ব্যাকলিঙ্ক আপনার জন্যে ভোটস্বরূপ। অর্থাৎ যেই ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটকে এক বা একাধিক লিঙ্ক দিবে তা আপনার জন্যে ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে। এর মানে হলো যে সাইট আপনাকে লিঙ্ক দিয়েছে তাদের চোখে আপনার সাইটের ভ্যালু আছে। তো সাধারণ কথায় যখন একটি সাইট অপর একটি সাইটের দিকে লিঙ্ক করে তাই সাধারণত ব্যাকলিঙ্ক।
ইন্টারনেটে কিছু সাইট আছে যেগুলো থেকে প্রাপ্ত ব্যাকলিঙ্ক আপনার জন্যে অনেক উপকার বয়ে নিয়ে আসবে। উদাহরণ স্বরূপ যেসকল ওয়েবসাইট অধিক পেইজর্যাঙ্ক এর অধিকারী এবং বেশ জনপ্রিয় সেগুলোর থেকে প্রাপ্ত ব্যাকলিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পজিশনের উন্নতি ঘটাবে। যেমন ধরুন অ্যামাজন ডট কম, ইজিন আরটিকেলস ডট কম ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত ব্যাকলিঙ্ক প্রচুর ভ্যালু বহন করে।
তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে সকল সাইট থেকে প্রাপ্ত লিঙ্কই আপনার জন্যে ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গন্য হবেনা। আমি হয়তোবা ভাবতে পারেন “আপনিই তো বললেন যে কোন সাইট থেকে লিঙ্ক পেলেই সেটা ব্যাকলিঙ্ক।” হুম সাধারণ অর্থে সেটাই সঠিক, কিন্তু আজকাল অনেক সাইট লিঙ্কে নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করে যা সার্চ ইঞ্জিন ক্রওলার বা সার্চ ইঞ্জিন বটকে লিঙ্ক করা ওয়েবসাইটে যাওয়া থেকে বিরত রাখে, যার মানে দাঁড়ায় তা ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে না। এই নো-ফলো ট্যাগ ব্যবহার করা হয় স্প্যামিং বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এক্ষেত্রে খুশির বিষয় এই যে, আপনি যদি গুগল ওয়েবমাস্টারস টুলস ব্যবহার করে থাকেন তবে হয়তো লক্ষ করেছে আজকাল নো-ফলো লিঙ্কও গুগল বট ইন্ডেক্স করে, অর্থাৎ গুগল সেটাকেও হয়তো ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে ধরছে আজকাল।
সব লিঙ্ক একই রকম ভ্যালু বহন করে না। আপনি যদি ৫০ টি শুন্য পেইজ র্যাঙ্ক সহ ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক পান এবং একটি পেজ র্যাঙ্ক এক সহ ওয়েবসাইট ঠেকে লিঙ্ক পান কখনোই তা সমান হবে না। তবে এক্ষেত্রে কিন্তু পেজ র্যাঙ্ক এক থেকে প্রাপ্ত লিঙ্কের দাম বেশি হবে। কারণ যে সাইটের পেজ র্যাঙ্ক এক তার মানে হলো সে বেশ অনেক গুলো ভোট তথা ব্যাকলিঙ্ক পেয়েছে এবং সেটা আপনার দিকে লিঙ্ক ব্যাক করেছে সেক্ষেত্রে সেই সাইটের কিছুটা লিঙ্ক জুস আপনি পাবেন। ফলে সেটা পেইজ র্যাঙ্ক শুন্য ব্যাকলিঙ্ক থেকে বেশি দাম বহন করবে।
উপরে সংক্ষেপে ব্যাকলিঙ্ক সম্বন্ধে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কতটুকু বোঝাতে সক্ষম হয়েছি জানিনা। তাই কোন সমস্যা বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আর লেখা কেমন লাগলো সেটাও জানাবেন আশা করি।
ডিজে আরিফ,আপনি খুব সুন্দর ভাবায়ে ব্যাক লিঙ্ক এর ধারনা দিলায়ে ন তাই ধন্যবাদ ।আমি ভাই seo নিয়া অল্পও কিছু লিখসি একটু দ্যাখায়ে আসটায় পার আন .
http//educativetutorialbd.blogspot.com/p/tutorial.html
ডিজে আরিফ,আপনি খুব সুন্দর ভাবায়ে ব্যাক লিঙ্ক এর ধারনা দিলায়ে ন তাই ধন্যবাদ ।আমি ভাই seo নিয়া অল্পও কিছু লিখসি একটু দ্যাখায়ে আসটায় পার আন .
click