যে সকল দেশে কোন ডাটা সেন্টার থাকেনা (যেমন বাংলাদেশে) সেসব দেশের ক্লায়েন্টরা স্থানীয় সাপোর্টে যথেষ্ট সমস্যায় পড়ে। যখন আমি আমার ওয়েবসাইট বিদেশী সার্ভারে হোস্ট করি তখন অনেক সমস্যায় পড়ি। আমি তার কিছু নিচে তুলে ধরছি।
ইন্টারনেট লাইন সমস্যাঃ
হোস্টিং ডাটা সেন্টার এবং লোকাল আইআসপি এর মধ্যে ব্যবধান রয়েছে, যা সমস্যাগুলোর মধে একটা। মাঝে মাঝে ফাইবার অপটিক ক্যাবল এর সমস্যার জন্য ইন্টারনেটে ব্যাঘাত ঘটে অথবা দেখা যায় বাংলাদেশে সার্ভার ডাউন দেখাচ্ছে অথছ অন্যান্য দেশে ঠিক মতোই কাজ করছে ! তাই বাংলাদেশি ভিজিটররা (তার মধ্যে আমিও একজন) অনেক সময় ধরে সার্ভার পায়না। যেহেতু বাংলাদেশে কোনো ডাটা সেন্টার নাই তাই আমাদের অন্যদের উপর নির্ভর করতে হয়।
ডিএনএস সার্ভারঃ
স্থানীয় আইআসপিতে ডিএনএস সার্ভার আপডেট নাও করা হতে পারে এবং ডিএনএস সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। কিছু স্থানীয় ISP তে সাইট ডাউন দেখায়। কিন্তু আসলে সাইট ডাউন না! যদি ডেটা সেন্টার বাংলাদেশে থাকে, খুব সহজে এই সমস্যাগুলি সমাধান করা যেতে পারে। ডেটা সেন্টারের অ্যাডমিন লোকাল আইএসপির সঙ্গে এই সমস্যা জানিয়ে যোগাযোগ করতে পারতো।
সাপোর্টঃ
যখন আমরা এই বিদেশী সাপোর্ট সেন্টার সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলি দেখা যায় তারা স্থানীয় সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে না। তাই আমরা সঠিক সহায়তা পাই না।
যোগাযোগঃ
এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বলা যায় যে আমরা তাদের সাথে আমাদের বাংলা ভাষায় যোগাযোগ করতে পারি না এবং বলতে পারিনা যে সমস্যাগুলোতে আমরা সম্মুখীন হই। আমাদেরকে চ্যাট, টিকেট এবং ফোন সিস্টেমে তাদের সাথে ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে হয়, যেখানে স্থানীয় ক্লায়েন্ট এবং ডেটা সেন্টারের মধ্যে ব্যবধান রয়ে যায়।
অবশ্য বাংলাদেশের কিছু ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারীরা বিদেশী হোস্টিং প্রোভাইডারদের মত অনেক হেল্পফুল না। তবে এখন এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে। ক্লায়েন্টদের স্থানীয় ভাল প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সহজ যোগাযোগের জন্য ভাল লোকাল হোস্টিং প্রোভাইডার অনুসন্ধান করা উচিত।
আলহামদুলিল্লাহ, টিউটোহোস্ট তাদের স্থানীয় ক্লায়েন্টদের প্রযুক্তিগত ভাল সহায়তা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। আশা করি এই সাপোর্টের মান দিন দিন আরো উন্নত হবে।
টিউটো হোস্ট ইংরেজী ব্লগ থেকে অনুদিত