সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে যে তিনটি বিষয় বলা হয় না

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে সাধারনতঃ নতুন একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পেতে যা যা করার দরকার পরে তার উপরে কথাগুলো বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেইজেশনের ক্ষেত্রে যে তিনটি বিষয় বলা হয় না তার মধ্যে অন্যতম তিনটি বিষয় তুলে ধরা হলো-

১. দির্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাঃ

একটি ওয়েবসাইট বা পণ্য বা ব্র্যান্ডকে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজটুকু শেষ করেই অনেকের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়। একটি ওয়েবসাইটের প্রাথমিক ব্যাক লিংক এবং ব্র্যান্ডিং এর কাজটুকু অনেক সময়ই ওয়েব ডিজাইনের সাথে সম্পর্কিত থাকে আর এই কাজগুলোকে অনেকে ওয়েব ডিজাইনের মতোই প্রাথমিক কাজ হিসেবে নিয়ে এবং গুগলে ইন্ডেক্স করা এবং একটি পেজ র‌্যাংক দেওয়া পর্যন্ত অবস্থাকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে ধরে নেয়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনএর জন্য দির্ঘমেয়াদী কাজ করতে হবে।

২. নিয়মিত কনটেন্ট

নিয়মিত সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে নিজের সাইটের জন্য সক্রিয় রাখতে হলে অবশ্যই নিয়মিত কনটেন্ট রাখতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি নিয়মিতভাবে কনটেন্ট থাকে তাহলে এগুলোকে গুগল অপ্রয়োজনীয় ভেবে নিতে পারে এবং দিন দিন এই তথ্যগুলো আনইনডেক্সও করে দিতে পারে। বরং নিয়মিত কনটেন্ট থাকলে গুগল বটও বার বার এসে নতুন এবং পুরাতন তথ্যগুলোকে রি ইনডেক্স করে নেবে।

তাছাড়াও নিয়মিত ভিজিটর পেতেও এটি সহায়ক হয়।

৩. পরিবর্তনকে আগে থেকে মেনে নেওয়া

ওয়েব পরিবর্তনশীল। এখনই ভেবে নিতে হবে যে আমাকে পরিবর্তিত হয়ে যেতে হতে পারে। সময়ের ব্যবধানে ওয়েবে টেক্সট, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদির ব্যবহার বেড়েই চলছে। সেই সাথে ডিজাইন ও লেআউটেও সৃজনশীলতার ধারা প্রবাহিত হচ্ছে এবং এই প্রবাহ চলতেই থাকবে।

এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ যেমন ডিজাইন ও কোডিং এ নতুন ধারা এনেছে। তেমনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সামাজিক নেটওয়ার্কের প্রভাবও বেড়েই চলছে। আর তাই পরিবর্তনের ধারায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও পরিবর্তন আনতে হবে।

3 thoughts on “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে যে তিনটি বিষয় বলা হয় না”

  1. যেকোনো ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটা দীর্ঘ মেয়াদি কাজ তাই এর জন্যে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাটাও অত্যাবশ্যক। সাময়িক পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে কিছু করলে ফলাফল শূণ্যও হতে পারে…

Leave a Comment