আজকাল একটা দু’টো তো কমই জনপ্রতি এখন ৫-৬ টা কারো বা তারচেয়েও বেশি ইমেইল একাউন্ট থাকে। সবগুলো একাউন্ট একই সময়ে কোন ঝামেলা ছাড়াই যদি একই সাথে চেক করতে পারেন আর নিজেকে যদি মেইলের মাধ্যমে যত রকম হ্যাকিং আক্রমণ হয়ে থাকে সেগুলো থেকে সেফ রাখতে পারেন তবে কেমন হয়? একেবারে সোনায় সোহাগা। ঠিক তেমনটিই পাবেন আপনি মজিলা থান্ডারবারড ইউজ করে। একেতো সুন্দর ইন্টারফেস, তারওপর ব্যবহারকারীর সবরকম চাহিদার কথা চিন্তা করে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে এতে। তো চলুন জানি কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে থান্ডারবারড ৩.১ এ –
১.সহজ মেইল একাউন্ট সেটাপঃ
নতুন মেইল একাউন্ট যুক্ত করতে চাইলে আপনার খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না, আপনাকে ম্যানুয়ালি IMAP, SMTP, SSL/TLS প্রভৃতি সেটিংস ঠিক করে দেয়া লাগবে না, থান্ডারবার্ড সয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো খুঁজে বের করে যুক্ত করে নিবে, এটি পপুলার ই-মেইল সেবা-দাতা কোম্পানী ছাড়াও বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মেইলের জন্যেও উপরিউক্ত সেটিংস গুলো নিজেই খুঁজে নিতে পারে। নতুন মেইল একাউন্ট যুক্ত করার জন্য আপনাকে শুধু আপনার নাম, মেইল এড্রেস আর পাসওয়ার্ড দিতে হবে, ব্যাস। নতুন একাউন্ট যুক্ত করার সময় রিমেম্বার মাই পাসওয়ার্ড এ টিক দিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন।
২.এক ক্লিকেই এড্রেসবুকে যেকারো মেইল একাউন্ট যুক্ত করুন:
এই সুবিধাটি হল যদি আপনার কাছে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে মেইল আসে এবং আপনি ওই মেইল একাউন্টটি নিজের এড্রেস বুকে যোগ করতে চাচ্ছেন তবে আপনাকে শুধু তার মেইলের এড্রেসের ওপর ক্লিক করতে হবে, তাতে ছোট একটা পপ-আপ বক্স আসবে, সেখানে নাম দিয়ে Done বাটনে ক্লিক করলেই তা এড্রেস বুকে যুক্ত হয়ে যাবে, আপনি যদি ডিটেইল কিছু যোগ করতে চান বা বাদ দিতে চান তবে Edit Details – এ ক্লিক করে তা করতে পারবেন। আপনি ইচ্ছা করলে তার ছবি, জন্মদিন এবং অন্যান্য ইনফরমেশনও রাখতে পারেন।
৩.অ্যাটাচমেন্ট রিমাইন্ডারঃ
আপনি যখনই মেইল লিখার সময় অ্যাটাচমেন্ট জাতীয় বা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত কোন শব্দ টাইপ করবেন তখনই এটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে অ্যাটাচমেন্ট যুক্ত করার কথা, বহুল ব্যবহৃত ফাইল টাইপগুলোর নাম টাইপ করলেও এমন রিমাইন্ডার পাবেন।
৪.এক্টিভিটি ম্যানেজারঃ
এক্টিভিটি ম্যানেজার আপনার থান্ডারবারডে করা আপনার কাজগুলো নোট করে রাখে এবং তার একটা সারাংশ নিজের কাছে রেখে দেয়, যাতে আপনি যখন খুশি তখন আপনার করা কাজগুলো দেখে নিতে পারেন।
৫.কুইক ফিল্টার টুলবারঃ
এই টুলবার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় শব্দগুলো টাইপ করার সাথে সাথে সেটার সাথে সামঞ্জস্য আছে এমন মেইলগুলোকে লিস্ট আকারে দেখাবে, নতুন বর্ণ এবং শব্দ টাইপ করার সাথে সাথে সেগুলো আপডেট হতে থাকবে, ফলে অতি কম সময়ে আপনি আপনার ফাইলগুলো খুঁজে পাবেন।
৬.ট্যাবসঃ
আপনি নিশ্চয়ই জানেন ফায়ারফক্সে ট্যাব ব্যবহার করেছেন… আজকাল প্রায় সব ব্রাউজারই ট্যাবড ব্রাউজিং এর সুবিধা দিয়ে থাকে, তো মেইল ক্লায়েন্টদের এই বিষয়ে পিছিয়ে থাকলে চলে? নিশ্চয়ই না, আর তাই থান্ডারবারড এ আপনি পাচ্ছেন ফায়ারফক্সের মত ট্যবড ব্রাউজিং এর সুযোগ, এতে আপনি একই সময়ে ট্যাবের মাধ্যমে একাধিক মেইল খুলে রাখতে পারবেন।
৭.সার্চ:
থান্ডারবারডের নিজস্ব দু’টি সার্চ অপশন আছে, একটি হলো কুইক ফিল্টার টুলবারে ইনস্ট্যান্ট সার্চ আর অন্যটি এডভান্সড সার্চ, এডভান্সড সার্চ অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত মেইল, বা মেইল একাউন্ট অথবা আপনার ইমেইলে থাকা যেকোনো কিছু খুঁজে বের করতে পারবেন।
৮.মেসেজ আর্কাইভঃ
আপনি যদি চান যে এমন একটি ই-মেইল যা আপনার পরে দরকার পরতে পারে [টাকা লেন-দেন বিষয়ক, যেমনঃএডসেন্স আরনিং বিষয়ক], কিন্তু আপনি সিকিউরিটির জন্য সেটাকে আপনার ইন-বক্সে রাখতে চাচ্ছেন না, তাহলে আপনি এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন, এটা আপনার যেকোনো মেইলকে আর্কাইভ করে রাখবে, যাতে পরবর্তীতে দরকার হলে পড়া যায়, মেইল ওপেন করা অবস্থায় বা মেইল লিস্ট থেকে মেইল সিলেক্ট করে আর্কাইভ বাটনে ক্লিক করে অথবা “A” বাটনে ক্লিক করে মেইলকে আর্কাইভ করতে পারেন, চাইলে একসাথে বহুল মেইলকেও আর্কাইভ করতে পারবেন।
৯.নিত্যনতুন থিম এবং স্কিনে থান্ডারবারডকে সাজানোর সুবিধা:
যেহেতু ফায়ারফক্স এবং থান্ডারবারড একই কোম্পানির তৈরি তাই এদের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান, ফায়ারফক্সের মত এতেও পাচ্ছেন পারসোনা এবং হালকা ওয়েটের স্কিন ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতে পারবেন থান্ডারবারডকে। শয়ে শয়ে স্কিন আর থিম পাবেন আপনি এর গ্যালারীতে।
১০.এড-অন্স ম্যানেজার:
আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং দারুণ ফিচার এটি। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার সুবিধার জন্য ইচ্ছামত এড-অন্স যোগ করে থান্ডারবারডকে আরো আপনার ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারবেন, ফায়ারফক্সের মত থান্ডারবারডের জন্যও রয়েছে অসংখ্য এড-অন্স বা প্লাগিন্স। আর এড-অন্স ম্যানেজার ব্যবহারের মাধ্যমে এর সার্চ বক্সে সার্চ করে সহজেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করা ছাড়াই অতি সহজে খুঁজে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় এড-অন্স।
তো এতক্ষণ শুধু সাধারণ গুণাবলি নিয়ে আলোচনা করলাম, মূল কথা অর্থাৎ হ্যাকিং, ফিশিং বা পিশিং থেকে যেভাবে থান্ডারবারড আপনাকে প্রটেকশন দিবে তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক:
১১.জাঙ্ক মেইলগুলো চিনহৃত করাঃ
থান্ডারবারডের জাঙ্ক মেইল শনাক্ত করার ক্ষমতা অন্য মেইল ক্লায়েন্টগুলোর তুলনায় অনেক শক্তিশালী, সহজেই আপনি এর দ্বারা জাঙ্ক মেইলগুলো এড়িয়ে যেতে পারেন, তবে চাইলে পড়তেও পারবেন।
১২.রোবাস্ট প্রাইভেসীঃ
থান্ডারবার্ড ইউজার প্রাইভেসী এবং রিমোট ইমেজ প্রটেকশন দিয়ে থাকে, অন্য কোন লিঙ্ক থেকে কোন ইমেজ লোডিং হওয়ার আগে তা অটো ব্লক হয়ে যাবে থান্ডারবারডের সিকিউরিটি সিস্টেম দ্বারা, আপনি যদি ইমেজ দেখতে ইচ্ছুক হন তবেই সেই ইমেজকে লোড করবে থান্ডারবারড
১৩.ফিশিং প্রটেকশন:
থান্ডারবারড আপনাকে স্ক্যাম মেইলগুলোর থেকে রক্ষা করবে যেগুলো আপনাকে বিভিন্নভাবে আকৃষ্ট করে আপনার ইনফরমেশন বা তথ্য বা কোন বিশেষ কিছু হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়, যেমন কেউ আপনার এলারটপে একাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টায় ফিশিং সাইট বানিয়ে আপনার তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে পারে, সেক্ষেত্রে সে ফেক মেইল পাঠিয়ে আপনাকে বোকা বানাতে পারে, কিন্তু থান্ডারবারডের প্রটেকশন সিস্টেম এগুলো অটো ডিটেক্ট করে আপনাকে সতর্ক করে দিবে। তাই আপনি ফিশিং এর হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন। তবে এটি যে আপনাকে একশভাগ মুক্ত রাখবে এমন আশ্বাস দিবো না, আপনার সতর্কতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
১৪.অটোমেটিক আপডেটঃ
থান্ডারবারডের আপডেট সিস্টেম প্রতিনিয়ত চেক করে যে আপনার ব্যবহৃত ভার্শনটি লেটেস্ট কিনা, এতে নতুন নতুন সিকিউরিটি আপডেট এবং বাগ ফিক্সগুলো অটোমেটিক আপডেট হয়ে যাবে, অর্থাৎ আপনি সবসময় আপডেটেড থাকবেন এবং আপনার থান্ডারবারডের ডাটাবেস আপডেটেড থাকবেস
১৫.ওপেন সোর্সঃ
এটি ওপেন সোর্স এবং এবং উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক সবগুলোর জন্যই পাওয়া যায়… তো আর দেরী কেন? দারুণ সব সুবিধা সমৃদ্ধ মজিলা থান্ডারবারড ব্যবহার করুন এবং একই সাথে বহু মেইল একাউন্ট চেক করুন, অতঃপর নিজেকে হ্যাকার মুক্ত রাখুন…
থান্ডারবারড ডাউনলোড করতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন।
ভার্শন ২ থেকে ব্যাবহার শুরু করি এখনও ভালোই আছি। একটা সাধারণ বিষয় থেকে এতকিছু বাহির করিস কেমন করে?
@ডিজাইনার শিবলী,
বুঝতে হবে… ব্লগিং নিয়ে মাথায় চিন্তা ভাবনা সবসময়ই ঘুরে তাই মসলা পাতি না দিলে পাঠক খাবে না… তাই বের করতে হয়…
আমি আপনাদের একটি গল্প শোনাই। আমি একদিন রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছিলাম, হঠাৎ করে আমি আর চোখে কিছু দেখতে পারলাম না, আমি আনেক খন ধরে ভাব লাম কি হল ? দেশটা কি ধংশ হয়ে যাবে না কি?
না কি কেয়ামত হবে ? অনেক খন ধরে ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখ লাম কারেন্ট চলে গেছে।
তখন মনে পরলো এটাতো ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারেন্ট তো যেতেই পারে। কারণ ডিজিটাল দেশ গুলোতে কারেন্ট বেশি যায়। যেমন আমেরিকা হল ডিজিটাল দেশ কারেন্ট সব সময় থাকে। আমাদের দেশ হল সব সময় কারেন্ট যেয়েই থাকে।
আসল কথা হল আমি ভাই আপনার লেখা পড়তে গিয়ে কারেন্ট চলে গেছিলো। তাই দুখে: এই কথা লিখছি
আপনার লেখা খুব ভাল হইছে।
কাজও করে ভাল
ধন্যবাদ
Wow, marvelous blog layout! How long have you been blogging for? you make blogging look easy. The overall look of your website is fantastic, let alone the content!. Thanks For Your article about মজিলা থানà§à¦¡à¦¾à¦°à¦¬à¦¾à¦°à¦¡ বà§à¦¯à¦¬à¦¹à¦¾à¦° করে à¦à¦•à¦‡ সাথে অনেক মেইল à¦à¦•à¦¾à¦‰à¦¨à§à¦Ÿ চেক করà§à¦¨, হà§à¦¯à¦¾à¦•à¦¿à¦‚ à¦à¦° শিকার হওয়া থেকে মà§à¦•à§à¦¤ থাকà§à¦¨ | টিউটোরিয়ালবিডি .