টিউটোরিয়ালবিডি সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্লগ থেকে প্রশিক্ষন নিচ্ছেন অনেকেই। তবে এখান থেকে শিক্ষা বিকাশের পথে বেশ কিছু বাধা আছে, সেই বাধা অতিক্রম না করতে পারলে অবশ্য সঠিকভাবে শেখা যায় না। বিদ্যালয়, বই বা বিজ্ঞানাগারের জিনিসের মধ্যে শিক্ষা লাভ আর ওয়েবের কনটেন্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণের মধ্যে বেশ কিছু সুবিধা অসুবিধা ও বাধা রয়েছে.. তাই আলোচনা করবো।
১. কোন জিনিসটা শিখা দরকার সেটা সম্পর্কে অজ্ঞতা
ব্লগে একই সাথে উইনডোজের ট্রিক্স উবুন্তুর টিউটোরিয়াল এলোমেলোভাবে প্রকাশিত হয়। এমনও একজনকে দেখেছি যিনি উইনডোজের কন্ট্রোল প্যানেল কি সেটা জানেন না অথচ একটি সাইটে টিউটোরিয়াল দেখে দেখে সিস্টেম রজিস্ট্রির পরিবর্তন করছেন এবং ভাবছেন এটাই প্রাথমিক বিষয়। একই সাথে অনেকগুলো বিষয়ে প্রতিদিন টিউটোরিয়াল আর ব্লগ পড়েই মনে করে অনেক কিছুই শেখা হলো। একটি টিউটোরিয়াল হারিয়ে গেল… তার পরের পর্ব হয়তো প্রকাশ হলো দশ দিন পরে। এত দিন বসে না থেকে অন্য একটি বিষয়ে হাত দিলো। একসময় আগের বিষয়টিকে হারিয়ে ফেললো। এভাবে কিছুই শেখা হলো না।
সে কখনো নিজেকে জিজ্ঞাসা করারও সময় পায় নি যে তার কি শিখা উচিৎ। কিভাবে এগিয়ে যাবে..
২. ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না, ফলে অনেক কিছু শিখাই বাদ পরে যায়
অনেক ব্লগে মানুষের সমস্যাজনক বিষয়টিকে বুঝিয়ে দেয়.. সমাধানের টিউটোরিয়াল দেওয়া হয়-অনেকটা অগোছালোভাবে। অনলাইনে নতুন একজন যখন একটি বিষয় প্রথম থেকে শুরু করতে চায় এবং প্রতিটি স্তরে পদচারনা করতে চায় তখন সেটার জন্য ধারাবাহিক ব্লগ/টিউটোরিয়াল ( যেখানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিষয়গুলো ধারাবাহিক ভাবে পাওয়া যাবে তা ) পাওয়া ক্ষ্ট কর হয়ে পরে।
বেশ কয়েকজন আমাকে ফোন করে বলেছেন,
- আমি ওয়েব ডিজাইন শিখতে চাই তাই আমাকে প্রথমে কি শিখতে হবে?
- একজন চ্যাটিং এ বলেছে কিভাবে ওয়েবসাইট বানাবো তা বলে দেন।
- একজন বলেছে বিডিজবসের মতো একটি ওয়েবসাইট বানানোর পদ্ধতি নিয়ে একটি টিউটোরিয়াল লেখেন।
- কয়েকজন বলেছে আমি ফ্রিল্যান্সার হতে চাই। আমি জিজ্ঞাস করলাম কি কি জানেন? সে বলল কম্পিউটারের তেমন কিছু জানি না।
এমন অনেকেই অদ্ভুত সব সমস্যা নিয়ে হাজির হন। প্রকৃত অর্থ এই যে, নতুনরা ওয়েবে নিজের অবস্থান সম্পর্কে বোঝার আগেই লাখ লাখ টাকা আয়ের উপরে ব্লগ পড়েন। HTML শিখার আগেই PHP’র টিউটোরিয়াল পড়তে থাকেন।
৩. নিজের ইচ্ছায় টপিক পছন্দ করা এবং তা থেকে সহজে বিদায় নেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন একটি বিষয়ে ভর্তি হলে সেই বিষয়টি খারাপ লাগলেও অনেকে সেই বিষয়েই তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে যায়। একবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে আবার চেষ্টা করে। অনলাইনে কোন একটি বিষয়ে পারদশির্ হওয়ার চেষ্টা করলেন, পরে দেখলেন সেই বিষয়টি ভাল লাগছে না। ব্যাস, সেই মুহুর্তে সেই বিষয়েটি সম্পর্কে একটি কর্কশ ধারনা নিয়ে অন্য একটি সহজ বিষয় খুজতে অথবা অনলাইনে মুভি দেখতে বসে গেলেন।
অনলাইনে প্রশিক্ষনের বেপারে কেউ সিরিয়াস না। কারন বেশিভাগ ক্ষেত্রেই কোন টাকা দিতে হয় না। আর এখানে শাসন করারও কেউ নাই। এই বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছায় ক্লাস করা যায়। আর তাই অনেকেই শিখতে পারে না -অনেক কিছু। নিজেকে যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং নিজেকে পরিচালনা করতে পারে তারাই ইন্টারনেটে অনেক কিছু শিখে নিচ্ছে।
৪. সহজে সমাধান না পাওয়া বা অনুসন্ধান করে তথ্য উদ্ধারের অযোগ্যতা
কমেন্টের মাধ্যমে সহজে কোন কোন বিষযের সমাধান পেলেও সাথে সাথে অনেকসময়ই সমাধান পাওয়া যায় না। ব্লগ থেকে প্রশিক্ষনের বেপারে অবহেলার কারনে অনেকে লেখকের সাথে সুসম্পর্কও গড়ে তোলতে পারেন না। আবার জনপ্রিয় ব্লগ লেখকরাও পাঠকদের সময় দিতে পারেন না। সব মিলিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তরই জানা হয় না।
অবশ্য এই সবগুলো দূরত্বই পাঠককে নিজে থেকেই দূর করে শিখে নিতে হয়। সে বেপারে আমি কিছু দিন পরে একটি পোষ্ট লিখবো। এ পর্যন্ত সাথে থাকুন, ভাল থাকুন।
mobile theke: darun ekta bisoy niye post . Eikhane sokol kothar sathe amar bes mil ache. Tai ami nijeke thik korar siddhanto nilam. Thanks mahbub vai
Boss
i think beater to be run pls
প্রথমে জানতে হবে আমি কি করবো, তারপর জানতে হবে কি শিখবো এবং কতটুকু সময় দিতে পারবো। ব্যাটে বলে খাপ খাইলে তো ঝামেলা শেষ।
তবে শুরু করার ব্যাপারে এই বিষয়ে অবিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
অনলাইনে প্রশিক্ষণ নেয়ার মধ্যে যেসকল বাধা আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্র হল যারা লিখছেন তার নিয়মিত না, অনেক দিন পর পর তাদের লেখাগুলো পাওয়া যায়, আর কোন শিক্ষানবীশের জন্যে সেটা মারাত্মক, দেখা যাবে যে সে অল্প একটু শিখেই সেটা নিয়ে অধিক পরিমাণে উতসাহী হয়ে না বুঝেই অনেক কিছু করছে যার ফলসরুপ অনেকেই নিজের ক্ষতি করছেন তো বটেই অন্যদেরও বারোটা বাজান, তাই লেখকদের প্রতি অনুরোধ চেইন বা ধারাবাহিক পোস্ট করলে অবশ্যই তা নিয়মিত ভাবে করার চেষ্টা করবেন…