কে বেশি জানে? আপনি নাকি আপনার ক্লায়েন্ট

একটি নতুন ব্যবসা আরাম্ভ করারা সাথে সাথে বেশ কিছু উপদেশ পাওয়া যায় – “বাজারে কোন কোন জিনিসের চাহিদা আছে? কাস্টমার কি কি জিনিস চাচ্ছে? আপনার পন্যের বা সেবার কোন ধরনের পরিবর্তন করা দরকার তা জেনে নিন আপনার ক্রেতা থেকে।” অনেক সময় ফ্রিল্যান্সের কাজে সময়ও একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কোন কোন বিষয়ে আপনার ও আপনার ক্লাইন্টের মতামতের মিল নাও পাওয়া যেতে পারে। তখন প্রশ্ন ওঠে কে বেশি জানে এবং কোন কাজটা ভাল হবে?

কেউ কেউ নিজস্ব চিন্তা ধারা দিয়ে পৃথিবীতে আনে পরিবর্তন। আবার কেউ কেউ অন্যের চাহিদানুযায়ী পণ্য ও সেবা দিয়ে থাকে।

এপল নিজস্ব চিন্তায় বিশ্বাসী একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বিশ্বে প্রযুক্তিগত নতুনত্ব সৃষ্টি করতে বিশ্বাসী। বাজারে যে সব পণ্য নেই তা দিয়ে তাদের নতুন পন্য উদ্ভাবনী শক্তির প্রশংসা করতে হবে।
আই প্যাডের মতো নতুন পন্য যা আগে কখনো ছিল না এনে বিশ্ব বাজারে এক নতুনত্ব সৃষ্টি করেছে। মূলতঃ মানুষের কাজ গুলো হাতের আঙ্গুরের দ্বারা সহজে করাতে চায় তারা। তারের এত বেশি কানেক্টিভিটি, কীবোর্ড, মাউসের বাড়তি ঝামেলা থেকে মানুষকে বাঁচাতে আপ্রান চেষ্টা করা হয়েছে এ পন্যটিতে।

2010-11-12_145422

একটু চিন্তা করে দেখুন তো… কোন কাষ্টমার কি আইপড তৈরী করার জন্য এপলকে বলেছিল? – বলে নাই। তবে মানুষ যে সরাসরি হাত দিয়ে সব কাজ করতে চায়, তারের ঝামেলা পছন্দ করে না, সাদা কাগজে কলম দিয়ে লেখা অভ্যস্ত সেই মানুষের কাছে আইপ্যাড কেন জনপ্রিয় হবে না?

চাহিদাগুলো সবাই কিন্তু বলতেও পারে না, কিন্তু বুঝতে হয়। কেউ যখন বলে যে, তার আরও দ্রুতগামী যানবাহন প্রয়োজন তখন শুধু যানবাহনটিকে দ্রুতগামী করলেই চলবে না। সেটি দ্রুতগতিতে চলার জন্য উপযুক্ত রাস্তাও দরকার।
মানুষের চাহিদার জন্য কয় জনই ভাল হাতলওয়ারা ব্যাগ বা নিচের মতো পাত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা দোকানদারকে বলেছিল? কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের কথাটা বুঝতে হবে।

কে বেশি জানে? আপনি নাকি আপনার ক্লাইন্ট

বেশ কিছু দিন আগেই বলেছিলাম যে, ক্রিয়েটিভিটি ও মার্কেটিং দুইটি জিনিস ভিন্ন মেরুর। এমন যদি হয় যে আপনার ক্রিয়েটিভ কাজগুলোই মার্কেটিং এর জন্য সমস্যাজনক হয় তাহলে কিভাবে নেবেন বেপারটিকে?

পরবর্তিতে হয়তো এসব নিয়ে আরো কথা বলা যাবে আপাততঃ নিজেকে একটু সৃষ্টিশীল কাজে নিয়োজিত করে নেই।

11 thoughts on “কে বেশি জানে? আপনি নাকি আপনার ক্লায়েন্ট”

  1. কারও হয়ে কাজ করার সময় এই ঝামেলাটা খুব হয়। সবচে বড় হল আরও চকচকে করুন আরও, তার সাথে গতিও যেন না কমে।
    আর কথায় কথায় বড় সাইট গুলোর উদাহরণ। হোস্টিং এর গতি বলে যে একটা বিষয় আছে তা বুঝতেই চায় না।

    1. @শিবলী, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো-
      এটা বুঝা কষ্টকর যে, ক্লাইন্ট যে বিষয়টা পছন্দ করে তা বলতে পারে না। কারন তার হয় তো এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা কম তাই বুঝাতে পারছে না। অথবা নিজের অযোগ্যতার কারনে বুঝতে পারছি না।

      রঙের বেপারে সমস্যা হবেই। কারন অনেকে ওয়েবসাইটকে আর পোষাকের রঙের মতো ঝিলিমিলি দিয়ে ভরিয়ে দিতে চায়। অবশ্যই এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে, ওয়েবসাইট ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত অনেকগুলো বেপার আছে। এমনিতেই বেশিক্ষন মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে। তার পর লাল হলুদাভ রং দিয়ে ভরিয়ে দিলে ভিজিটর দৌড়ে পালাবে।

      আমি কিছু কিছু বেপারে ক্লাইন্ট থেকে ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিরুদ্ধে ।

      কেউ কেউ আবার ব্লগে ফ্লাস, জে-কোয়েরীর সহ বিভিন্ন এনিমেশন দেখতে চায় -আবার দ্রুত লোড হওয়া সাইটের মতো দ্রুত হওয়ার কথা বলে। তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু কিছু জিনিস শিখিয়ে নেওয়া উচিৎ।
      এটা মনে রাখতে হবে, ক্লাইন্ট কম জানে এবং তাই সে আপনার কাছে এসেছে-আর বেশি জানা ক্লাইন্টের সাথে কাজ করলে এ জাতীয় সমস্যা হবেও না।

      1. ক্লাইন্ট কম জানে এবং তাই সে আপনার কাছে এসেছে

        এটা একটা ভালো যুক্তি। আপনার দ্বিতীয় প্যারার কথা গুলো মনে রাখবো। ধন্যবাদ।

        1. @শিবলী,
          সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড আর কালো লেখার উপরে কিছু নেই
          কিন্তু আজকাল কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা লেখার হিড়িক পরেছে।এটা পড়তে কতটা কস্টকর সেটা সাইটের মালিকগন বুঝেন না। ডিজাইনাররা তাদের কাছে অসহায়।

          1. @ইমরান, ব্লগ ডিজাইনের বেপার একরকম, আর করপোরেট ওয়েবসাইট নিমার্নের বেপারটা আরেক রকম। অন্ধকারাচ্ছন্ন ব্যাগ্রাউন্ডেও ভাল ডিজাইন হতে পারে। তবে যারা অনেক বেশি ভিজিটরের প্রত্যাশা করে ব্লগ সাইট বানায় এবঙ যেখানে ভিজিটরই টাকার উৎস সেখানে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড আর কালো লেখার উপরে কিছু নেই।
            কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের ব্র্যান্ডকে বাস্তবায়িত করার জন্য এবঙ যোগাযোগের ও তথ্য জানানোর জন্য সাইট বানায় তাদের জন্য ফ্লাস ও ছবি দিয়ে (ক্লাইন্ট চাইলে) কালো ব্যাগ্রাউন্ডের ডিজাইন বানালেও সমস্যার কিছু দেখি না।
            আর যারা হিসাব রক্ষা করার জন্য অনলাইন সফটওয়্যার টাইপের সাইট বানাবে তাদের ক্ষেত্রে তো একটা মুটামুটি ইন্টারফেস হলেই চলে। সাইট কত দ্রুত ও কত সঠিকভাবে ডাটা গ্রহন করতে পারবে এই সব দেখতে হবে।

            @শিবলীঃ যুক্তিটা ভাল লেগেছে জেনে খুসি হলাম।

  2. 60% ফ্রিল্যান্সারের কোন ক্রিয়েটিভিটি নেই। তারা ওর থিম, ওর প্লাগিন, ওর ডাটা বেজ ইত্যাদি জোড়া দিয়ে কাজের মাঝে আটকে যান। সেদিন টেকটিউন্সে একজন এরকম সাহায্য চাচ্ছিলেন। যে কাজে ধারনা নেই তা বিড করেন কেন?

    1. @ইমরান, এটা ঠিক যে ডেভলপমেন্টের কাজটাই এরকম-জোরা তালি। তবে অবশ্যই সৃজনশীলতার প্রতি আমাদের নজর রাখা দরকার। সবসময় যদি অন্যরে দিকে তাকিয়ে ডিজাইন করলে সেটা কখনো নিস্বতা পাবে না। আর ক্রিয়েটিভ ছোট একটা কাজ করলেও আত্ন তৃপ্তি পাওয়া যায়।

      1. @মাহবুব টিউটো,
        জোড়া তালি সবাই মারি কিন্তু সেগুলো এরর হয় না। আর আমি বলছিলাম তারা ভাবে কোন সাইট থেকে প্রাপ্ত থিম দিয়েই চালাবে, নিজে তৈরি করবে না। কিন্তু সেটা কি ক্রিয়েটিভিটি? আমি যে কাজে ক্রিয়েটিভিটি নাই সেটা করতে আগ্রহ ফিল করিনা। নিজের মেধা (!) যদি নাই দেখাতে পারি তবে কেরানি হলে কি সমস্যা?

      1. @মাহবুব টিউটো,
        গত কয়েকদিন পরীক্ষা ছিল তাই নেটে বসতে পারিনি আর ব্লগও আপডেট করতে পারিনি, এখন পরীক্ষা শেষ আশা করি পুরোদমে কাজ করতে পারবো।

        হ্যা অবশ্যই সম্য পেলে লেখার চেষ্টা করবেন এতে আমার অনেক উপকার হবে।

Leave a Comment