বেশ কিছু দিন আগে একজন বলল যে সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে অনেক বিপদে আছে। সার্চ দিলে প্রথম পাতায় এমন কিছু ফলাফল আসে যেগুলোতে প্রকৃত বিষয়টি নেই। কয়েক পৃষ্ঠা ভ্রমনের পরে হয়তো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। এ ধরনের অভিযোগ অনেকেরই, এমনকি অনেক SEO এক্সপার্টরাও এ বিষয়টি লক্ষ্য করে থাকবেন। আবার কেউ কেউ বলেন একটু ভিন্নভাবে। সঠিকভাবে কীওয়ার্ড না দেওয়ার কারনে হয়তো সঠিক তথ্যটি পেতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন কোন মানুষ নয় এবং বর্তমান আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এত ব্যাপকভাবে ব্যাহৃত বা উন্নত নয় যে মানুষের মনের কথাটা সহজেই কম্পিউটার বুঝে ফেলবে। কেউ কেউ বলছেন যে, এজন্য আমাদের আরও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে যখন সহজেই সঠিক তথ্যটি পাবো।
কারও অভিযোগটা আবার ভিন্নরকমের। কেউ বলেছে যে, সার্চ করার পর যে পৃষ্ঠাটিতে ক্লিক করলাম সেটাতে সঠিক তথ্যটি পাওয়া যায় নি তবে সেখানে একটি লিংক দেওয়া আছে সেখানে সঠিক তথ্যটি পাওয়া গেছে। আবার এমনও হচ্ছে যে, মূল তথ্যটি পৃষ্টাটির এক কোন আছে অথচ আজে বাজে লিংক আর হিজিবিজি অপ্রয়োজনীয় লেখায় মৌলিক বেপারটাই বুঝা যাচ্ছে না।
এবার আসি মৌলিক আলোচনায়। আজকের আলোচনার বিষয় ইউজাবিলিটি নিয়ে। সাইটের পাঠকের সুবিধামতো তথ্যসমুহ সংরক্ষন ও সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার উপর এখন অনেক ওয়েব ডিজাইনাররা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
যে পাঠক ওয়েবে সার্চ দিয়ে সঠিক তথ্যটি পেল না সে কি বেশিক্ষন সেই সাইটে থাকবে নাকি আবার সার্চ তালিকর অন্যগুলো খোজবে? অবশ্যই সে অন্য যায়গায় চলে যেতে বাধ্য হবে। আর সেখানে তার চাহিদা পূরন হলে সেই সাইটের অন্যান্য পোষ্টগুলোও ক্লিক করে করে দেখবে। এটাই সবার ক্ষেত্রে নিয়ম।
অনেকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কথা ভেবে বেশ কিছু বদঅভ্যাস গড়ে তোলে যার ফলে সাইটের সৌন্দর্যে হানি ঘটে। পাঠকের পাঠ যোগ্যতা হারায় সাইট।
- অনেকে ব্লগের মৌলিক বিষয়ের বাইরে কীওয়ার্ড ব্যাবহার করে আর মনে করে সেই কীওয়ার্ড ধরে কিছু বাড়তি ভিজিট পাওয়া যেতে পারে।অথচ সেই ভিজিটের কোনই মূল্য নাই। ভিজিটর এসে সাথে সাথে চলে যাবে। আর যদি সার্চ ইঞ্জিনের লোকেরা এটা জানতে পারে তাহলে সাইটের র্যাংক কমতে সময় লাগবে না।
- বেশ কিছু ব্লগে অতিরিক্ত ইন্টার্নাল লিংকিং ব্লগ পাঠকের পাঠযোগ্যতা হারায়।
- আবার অনেকে ব্লগের মাঝামাঝি বিজ্ঞাপনটি এমনভাবে দিতে পছন্দ করেন যাতে পাঠক ভুলবসত ক্লিক করেন। অনলাইনে আয়ের বেপারটার সাথে সাথে ইউজাবিলিটির শিক্ষাটির একটা সামঞ্জস্যতা থাকলে এটা করা থেকে বিরত থাকতো।
- বেশি ব্যাকলিংক পাওয়ার উদ্দশ্যে বিভিন্ন ডিরেক্টরীতে নিজের সাইটের রিভিউ লিখে অনেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রিসিপ্রোকাল লিংক নিজের ওয়েবে জমা রাখার সর্ত আছে। অনেকে লিংকের সাথে জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইলও রাখতে বলে। বেশ কয়েকজন আবার সাইটের ভিজিটর ট্র্যাকিং করার জন্য অনেক অনেক রকমের জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে সাইটটি অনেক ভাড়ী করে ফেলেন।
উপরের চারটি বিষয় ছাড়াও আরও অনেক অনেক বিষয় আছে যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য ভাল হলেও সাইটের পাঠকদের জন্য ভাল নয়। তবে একটি সাঞ্জস্যতা বজায় রেখে পাঠক ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কথা ভেবে কাজ করে গেলে সফলতা খুব দূরে থাকবে না।
..
SEO হেবি বোরিং কাজ আমার মোটেও ভালো লাগে না।
@শিবলী,
hum.. আমারও 🙂 অথচ ঐ সময়ে কয়েকটা পোস্ট দেওয়া যায়………….
@ইমরান, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রোফেশনাল একজন ব্লগারকে সব সময় সাইটের বিভিন্ন ধরনের অপটিমাইজেশন করতে হয়।
আমি মনে করি, পোষ্ট দেওয়াটা সময়ের বেপার না, ক্রিয়েটিভিটির বেপার । কখনো অনেক সময় পাওয়া সত্ত্বেও কোন পোষ্ট দেওয়া সম্ভব হয় না। আবার সময় না থাকা সত্ত্বেও লেখা্র আইডিয়া মাথায় গিজগিজ করে।
ওয়েবর প্রতিযোগিতামূল জগতের নতুন ব্লগারদেরকে নিজের অবস্থান তৈরী করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতেই হবে।
@টিউটো,
আমার মাথায় আইডিয়ার অভাব নেই(!),কিন্তু সময়ের বড় অভাব। তাই SEO করতে বেশি সময় দিতে পারিনা……..
SEO সামান্য তো করতেই হবে……………
আমি কি “বাংলা টিউটোরিয়াল” সার্চ করে এখানে এসেছি?
না
তাহলে?
ব্যাকলিঙ্ক থেকে……….
তাই এটাই বেশি গুরুত্তপূর্ন কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ব্যাকলিঙ্ক এর ঠিক ব্যবহার না করে স্প্যাম করি………..
কোন স্প্যাম ব্যাকলিঙ্ক এ আমি গিয়েছি?
না
তবে কোন গুলোতে গিয়েছি?
যে কমেন্ট বা পোস্ট পড়ে আগ্রহী হয়েছি
আগ্রহী?
হ্যা, ভাল উন্নত লেখা থেকে, ফাও লেখা থেকে নয়
@ইমরান, আমার মনে হয় বাংলাতে SEO কারার কোন দরকার হয় না। কারণ খুব অল্প লোক আছে যারা বাংলাতে সার্চ দেয়। আমি যে কতদিন ধরে বাংলাতে সার্চ দেই নাই!
তবে ইংরেজিতে যদি SEO এ সময় দিলে ভিজিটর অনেক পাবেন। আমার মাত্র কয়েটা পোস্ট google এর প্রথম পাতায় আছে। এতেই আমি প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ ভিজিটর SE থেকে পাই।
@ইমরান, আপনার মতে “ভাল ও উন্নত লেখা”-ই আপনাকে টিউটোরিয়ালবিডিতে আসতে অনুপ্রানিত করছে। এমনও হতে পারে যে ভাল ও উন্নত লেখাটি সার্চ ইঞ্জিন সামনের পাতায় দেখালো না, তাতে সমস্যা দুই পক্ষেরই (সার্চ ইঞ্জিন ও সাইট মালিক) । আর এই কথা ভেবেই সার্চ ইঞ্জিনও পাঠকের চাহিদার বেপারটা বেশ নজরদারি করছে, পরিবর্তন আনছে তাদের সার্চ ফলাফলে। আর তাই গত এক বছরে সার্চ ইঞ্জিনগুলো অনেক অনেক পরিবর্তন এনেছে।
ভাল কনটেন্ট কিন্তু কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে লেখা হয় না। সার্চ ইঞ্জিন বা মার্কেটের চাহিদার দিকে তাকালে ভাল কনটেন্ট লেখা যায় না। অভিজ্ঞতা আর নিজের যোগ্যতা অনুসারে লিখলেই ভাল কনটেন্ট লেখা যায়। তাই আমি অনেক বার বলেছি বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদেরকে অভিজ্ঞ করে তুলতে। আমি নিজেও অনেক অনেক বিষয় শিখতে চেষ্টা করছি। আর অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি মাত্র।
এত প্রয়োজনীয় কথা সবাই কেমন করে শেয়ার করেরে!!!!!!!!!!!!
@তওহীদুল ইসলাম,
সবাই পারে নারে ভাই! দেখেন না, আমি এত কষ্ট করেও ব্লগার হতে পারি নাই।
@শিবলী,
পারবি দোস্ত ট্রায় করে যা।
@তওহীদুল ইসলাম,ব্লগার হতে হলে কথা বলতে জানতে হয়। নিজের মনটাকে কম্পিউটারের স্ক্রিনে সাজিয়ে রাখতে হয়। তা না পারলে ব্লগার হওয়া যাবে না। এজন্য অবশ্য পড়ালেখা ও অভিজ্ঞতাও থাকতে হয়। শিখতে হয় “কিভাবে কথা বলতে হবে”।
সবাইকে যে ব্লগার হতে হবে এমন কোন কথা অবশ্য নাই। কম্পিউটার জগতে অনেক রকমের কাজ আছে, আয়ের বিভিন্ন রকমের মাধ্যম আছে..খুজে নিতে হবে নিজের উপযুক্ত কাজ।
@ শিবলী আপনি তো ভাল একজন ব্লগার হতে যাচ্ছেন.. 😀
ধন্যবাদ মাহবুব ভাই, ভালো লাগলো, তবে আমার একটা কথা যদি আমলে নিতেন!
আমার মনে হয় আপনি লেখা গুলো যদি আরো ডিটেইলসে লিখতেন হয়তোবা সবার বুঝতে সুবিধা হত। আমি হয়ত বুঝেছি কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এমনটি নাও ঘটতে পারে!
@ডিজে আরিফ, প্রতিটি পয়েন্ট একটু বিস্তারিতভাবে বলতে হবে? আসলে বিভিন্ন ধরনের পাঠক একটি পোষ্ট পড়তে আসে। সবার জন্য সব লেখা না-এটাও বুঝতে হবে। “ব্লগিং” বিভাগের পোষ্টগুলো ব্লগারদের জন্য। “ওয়েব ডিজাইন” বিভাগের পোষ্টগুলো ওয়েবডিজাইন শিক্ষার্থীদের জন্য। এখন একজন ওয়েবডিজাইনের শিক্ষার্থী বেশ কিছু টার্ম সমন্ধে জানে, যেমন- “সাইট ভারী হওয়া”, “স্ক্রিপ্ট,” ,”ইন্টার্নাল লিংকিং” ইত্যাদি।
যারা না জানে তাদের জন্য অবশ্য পোষ্টের শেষে এই কথাগুলোর অর্থ বলে দেওয়া যেতে পারে। আপনার মতমতের জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তি পোষ্টে আমি এই জিনিসগুলোর বেপারে একটু সচেতন হয়ে বুঝিয়ে দিয়ে লিখবো।
আরেকটা কথা কোন কোন টার্ম সম্পর্কে বুঝতে না পারলে মন্তব্যে সবাই জানাতে পারে। যেমন-একটা পোষ্টে একজন জানতে চাইলো-“স্প্যাম কি?” আমি একটা পোষ্ট-ই লিখলাম তার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার জন্য। 🙂