ভিডিও কনটেন্ট হতে পারে আয়ের উৎস

বেশ কিছূ লোকের সাথে বিভিন্ন সময় আলাপ হয় আমার সাথে। এদের মধ্যে অনেকে অনলাইনে একটা আয়ের অনুসন্ধান করছেন। কেউ কেউ বলেন যে কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়? প্রথমতঃ এডসেন্স দ্বিতীয়তঃ ফ্রিল্যান্সিং এই দুইটা পথ দেখাই এবং বলি যে অনলাইনে আয় খুব সোজা কোন বেপার না, অসম্ভবও না। ব্লগিং এর জন্য হাসানভাইয়ের ব্লগটি দেখিয়ে দেই ফ্রিল্যান্সের জন্য প্রথমে পড়া লেখা করার পরামর্শ দেই। আগে শিখতে হবে তার পরে কাজ করতে হবে।

সবচেয়ে মজার বেপার হলো অনেককে দেখি ব্লগিং শেখার আগেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশ শিখে ও শেখানো শুরু করে। কাজ না শিখেই ফ্রিল্যান্স সাইটগুলোতে বিড করতে নেমে পরে। আর মনে করে কিছু দিনের মধ্যেই অনেক টাকার মালিক হয়ে যাবে। কোন কাজে খুব বেশি সফলতা অর্জন না করে মন খারাপ করে এই দুটি পথকে অনেক কঠিন ভেবে অন্য পথ ধরে-এরকম লোকের সংখ্যাই বেশি।

যারা ভাল আর্টিকেল লেখতে পারেন না তারাও চাইলে বেশ কিছু কাজে হাত দিতে পারেন বলে আমি মনে করি। সেটাকে ব্লগিং বলা যায় কিনা জানি না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এগুলো তেমন পছন্দ না করলেও কয়েকজনকে এ বেপারে সফল হতে দেখেছি।

এ বেপারে একটা কথা বলে রাখা ভাল। একটি ইংরেজী ব্লগে ওয়েবের ভবিষ্যত বানীতে বলা হয়, এখন যারা ভাল কনটেন্ট বানাতে পারবে তারাই ভবিষ্যত ওয়েবে সফল হবে। ডিজাইন মূল্যহীন হয়ে পড়বে।

ভিডিও কনটেন্ট

তাই ভাল কনটেন্ট মানে শুধু ব্লগিং-ই নয়। বেশ কিছু দিন আগে একজন টিউটোরিয়ালবিডি পাঠকের সাথে ফেসবুকে আলাপ শুরু হলো। সে ব্লগিং এ তেমন পারদর্শি নন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও নেই গভীর জ্ঞান, ফ্রিল্যান্সারও নন। অথচ বেশ কিছু ভিডিও তৈরী করেছেন এবং ইউটিউবে আপলোড করার পরে ব্যাপক সারা পেয়েছেন।

ভিডিও শেয়ারিং সেইটে ভিডিও কনটেন্ট বানিয়েও বেশ ভাল আয়ের পথ সুগম হতে পারে। (এ বেপারে আমি অতটা পারদর্শী না হলেও) বলতে পারি অনেকেই ভিডিও কনটেন্টে সফলতা অর্জন করেছেন। যে টিউটোরিয়ালটি লিখিত ভাষায় অনেক সাইটে দেখা যায় তার খুব কম সংখ্যকই ভিডিও ফরমেটে আছে। আথচ বিশ্বে ভিডিওর চাহিদা অনেক অনেক বেশি। কোন একটি বিষয়ে পাঠ করে করে আর স্ক্রিনসট দেখে দেখে শিখা যতটা ব্যাবহার বান্ধব তার চেয়ে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় ভিডিও দেখে শিখলে।

ইউটিউব প্রথম আপনাকে কোন টাকা পয়সা দিবে না। ভিডিও’র এবং আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তা একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে গেলে আপনার ভিডিও থেকে আয়ের একটা অংশ আপনাকে দেওয়া হবে।

এ জন্য প্রয়োজন

মনে করতে পারেন যে, ভিডিও তৈরীতে আপনার প্রয়োজন হবে অনেক দামি ক্যামেরা বা দামী দামী জিনিস। আথচ খুব কম খরচে আপনার কম্পিউটারে বসে বসে ভিডিও বানিয়ে তা শেয়ার করতে পারেন।

ভিডিও তৈরীর জন্য ১২টি টুল থেকে  পছন্দ মতো একটি ডাউনলোড করে নিন। স্ক্রিনে যা দেখা যাবে তার একটি অংশ ভিডিও রূপে সংরক্ষনের ব্যাবস্থা আছে এখানে। আপনার কম্পিউটারের হেডফোনের মাধ্যমে সাউন্ড সেভ করতে পারেন।এ ক্ষেত্রে শুধু স্ক্রিনের ছবিই ভিডিও  হবে।

একটি ডিজিটাল ক্যামেরা কিনে নিতে পারলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরী করে নিতে পারবেন।

ক্যামেরার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে হলে অবশ্য বেশ কিছু জিনিস শিখে নিতে হবে। ভাষাগত উচ্চারণ ও স্পষ্টতা সম্পর্কে ভাল দক্ষতাও থাকতে হবে। ভিডিওগ্রাফী ও ভিডিও এডিটিং এ বেশ কিছু বিষয় শিখে নিতে পারেন।

12 thoughts on “ভিডিও কনটেন্ট হতে পারে আয়ের উৎস”

    1. @শিবলী,শব্দ না থাকলে তো সমস্যাই। একটা হেডফোন কিনে নিলেই তো শব্দের ঝামেলা চুকে যায়। বাংলা ভাষায় এখনো কেউ ভাল মানের ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়ে ব্লগে প্রকাশ করে নাই। এ বেপারে কেউ আগ্রহী হলে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা সহজ হবে বলে মনে করি। তবে ইংরেজীতে ভিডিও ব্লগ/টিউটোরিয়াল হলে সহজে টাকা আয় করা যাবে এটা নিশ্চিত।
      আপনার ফটোশপের টিউটোরিয়ালগুলোও তো খুব সুন্দর ভিডিও করা যেতে পারে।

  1. আমিও কিছু বানিয়েছি (ইংলিশে)……….কিন্তু কে দেখবে?
    তাই আর আপলোড করছি না………………………..

    1. @ইমরান, ইংরেজী ভিডিও-ই বেশি লোক দেখবে। ইউটিউবে আপলোড করুন, প্রয়োজনীয় কীওয়ার্ড দিন। দেখবেন হুহু করে ভিজিটর আসবে। ভাল থাকবেন।

  2. “ইউটিউব প্রথম আপনাকে কোন টাকা পয়সা দিবে না। ভিডিও’র এবং আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তা একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে গেলে আপনার ভিডিও থেকে আয়ের একটা অংশ আপনাকে দেওয়া হবে।”
    মাহবুব ভাই আমি যতটুকু জানি টাকা দেয়ার ব্যাপারটি শুধু আমেরিকা এবং ক্যানাডার জন্য(আপাতত)

  3. ভিডিও কনটেন্ট করার জন্য দারুন একটা সফটওয়্যার পেয়েছি। নাম HyperCam একে বারে ফুল স্কিন এর ভিডিও নেয়া যায়। আবার ছোট স্কিনেরও নেয়া যায়। ক্রাক সহ নামিয়ে নিন। এখন থেকে

  4. মাহবুব ভাই, প্রথমেই অভিনন্দন এত্তো সুন্দর একটা সাইটের জন্য। হাসান ভাই, জাকারিয়া ভাই আর রিয়া আপুর ব্লগ বাদে আর কোন বাংলা ব্লগের সম্পর্কে ধারনা ছিল না। আপনার ব্লগটা অসাধারন লাগল। আশা করি আপনার পাঠকরা নিয়মিত আপনার এক্সপার্ট লেখা পড়ে উপকৃত হবেন।

    ইউটিউবের মাধ্যমেও আয় করা যায়। এর জন্য আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলো প্রচুর দেখা হলে (সঠিক রিকোয়ারমেন্ট মনে পড়ছে না) আপনি অটোমেটিক একটি ইনভাইটেশন পাবেন যার মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলোতে এ্যাডসেন্সের এ্যাড প্রদর্শিত হবে আর আপনি টাকা পাবেন। আর ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হোল উইন্ডোজ মুভি মেকার। সম্ভব হলে টেক্স টু স্পিচ সফটওয়্যার জোগাড় করে অডিও যোগ করা যায়। এভাবে অনেক প্রডাক্ট রিভিউ টাইপের ভিডিও বানানো সম্ভব আর নিচে এ্যামাজন এসোশিয়েটস এর লিঙ্ক যোগ করে দিয়েও আয় সম্ভব।

    আদনান

    1. @Adnan, টেক্স টু স্পিচ সফটওয়্যার জোগাড় করে অডিও যোগ করা যায়-এই চিন্তাটা কখনো করি নাই। বাংলাদেশের অনেকের ইরেজি উচ্চারণ ভাল না। তাদের জন্য বেপারটা বেশ ভাল হবে হয়তো।
      আমি হাসান ভাই আর রিয়া আপুর ব্লগের এবং আপনার বাংলা পোষ্টের নিয়মিত পাঠক। সেখানে আপনার লেখাগুলো বেশ উন্নত। টিউটোরিয়ালবিডিতে আপনার মতামত পেয়ে ভাল লাগছে।

  5. ভাই , ধন্যবাদ !
    আমাদের দেশে অনেক লোক বেকার রয়েছে
    যদি আইটি তে দক্ক করা যায়
    তাহলে
    তারা
    অনেক লোক
    কাজ পাবে ,

  6. আমি জীবনে প্রথম একটা ভিডিও আপলোড করলাম ৩ দিন এ ২৭০০০+ ভিউ !
    আচ্ছা “চ্যানেলের জনপ্রিয়তা একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে ……” এই লিমিট জানা আছে ভাইয়া ??

Leave a Comment