আগের পর্বে ১৮২৫ সাল থেকে ১৯০৭ সালের ফটোগ্রাফীর উত্থানের কথা আলোচনা করা হয়। আজ মূলতঃ ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৮০ সালের ফটোগ্রাফী ও ক্যামেরা প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা আলোচনা করবো।
ক্যামেরার উন্নয়ন
১৯৩৪ সালে ফুজি কোম্পানী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ক্যামেরা ল্যান্স তৈরীতে একক রাজত্ব করে।
১৯৩৭ সালে পোলারয়েড প্রতিষ্ঠিত হয়। ফুজি ফিল্ম, পোলারয়েড ও কোডাকের পন্য ফটোগ্রাফীতে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন আসে।
১৯৩৬ সালে ফটোগ্রাফী আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। কোডাক একাধিক লেয়ারের রঙিন ফিল্ম আবিষ্কার করে। এই ছবি লোকজনের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এবং এই সময় অনেক লোক ফটোগ্রাফীর উপর নির্ভরশীল হয়।
তবে সেই সময় পর্যন্ত ছবি তোলাটা বেশ ব্যায়বহুল ছিল। সাধারনতঃ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই ফটোগ্রাফীর কাজটি হয়। হাজার হাজার ব্যাবসায়ী ক্যামেরা কিনে ফটোগ্রাফীর ব্যাবসা খুলে বসে।
ফটোগ্রাফী কিভাবে মানুষের মন জয় করলো?
সেই সময় পর্যন্ত ফটোগ্রাফীর টেকনিকগুলো এপ্লাই করা হতো না। মূলতঃ কোন লোকের মুখমন্ডলের ছবি তোলাটাই বেশি জনপ্রিয় ছিল।
১৯৪০ সালে Dr. Harold Edgerton প্রথম দ্রুতগতিতে চলন্ত বন্তুর ছবি তোলেন। মানুষের চোখ যা দেখে না, ক্যামেরা তা দেখতে পারে।
১৯৪৬ সালে জার্মান থেকে নিক্ষিপ্ত একটি মিশাইল থেকে ভূ-পৃষ্ঠের ছবি তোলা হয়।
১৯৬৩ সালে পানির নিচের ছবি তোলার উপযুক্ত ক্যামেরা তৈরী হয় এবং বিশ্ব বাজারে নিকনের পরিচিতি ফুটে ওঠে। দিন দিন ফটোগ্রাফীতে শৈল্পিক ছোয়া আসতে থাকে।
মজার বেপার হলোঃ যেই সময়টাতে রঙিন ছবি তোলা যেতো না সেই সময় ম্যাগাজিনগুলো সাদাকালো ছবি ছাপাতে পছন্দ করতেন না। তারা সাদাকালো ছবিগুলোকে স্পেশাল ইফেক্ট দিয়ে রঙিন করে তার পর ছাপাতো। এই পদ্ধতিটি বর্তমানের মতো এত সহজ ছিল না।
ফটোগ্রাফার ব্যাক্তিত্ব
বেশ কয়েকজন ফটোগ্রাফার ব্যাক্তিত্বের কথা আলোচনা করবো যাদের হাতের ছোয়ার ফটোগ্রাফীর পেয়েছে শৈল্পিকতা।
Garry Winogrand
Garry Winogrand ১৯২৮ সালে নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৪ সালে ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি প্রায় ৩০০০০০ ছবি তোলেন যার মধ্যে ২৫০০০ ছবিই ফিল্মে রয়ে গেছে-আরোর মুখ দেখে নি।
তার ছবি থেকে আমেরিকার আর্থ সামাজিক অবস্থা ও রাস্তা ঘাটের অবস্থান সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যায়। তার কিছু ছবির নমুনা দেখুনঃ
.








Richard Avedon
রিচার্ড এভেডন ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহন করেন ও ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ফটোগ্রাফীর কাজ শুরু করেন। তিনি মূলতঃ ফ্যাশন ছবি তুলতেন।
.





Annie Liebovitz

রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে ১৯৭০ সাল থেকে ফটোগ্রাফারের দায়ত্ব পালন শুরু করেন। তার তোলা জন লেলন ও ইয়োকো ওনোর একটি ছবি ব্যাপক সারা জাগায়। তার তোলা
কয়েকটি ছবিঃ






ফটোগ্রাফার হবার একটা সময় আমার খুব ইচ্ছা ছিল। সারাদিন ছবি তুলতাম। তারপর আমার আব্বা ক্যামেরা বেচে দিল। তবে ভালই হল কিছু কোডিং শিখতে পারলাম সাথে ফটোশপটাও!