সামাজিক নেটওয়ার্ককের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার না বলা কথা

বন্ধুদের আড্ডা, পরিচয় গল্প করার ধরন, নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় আর যোগাযোগের বন্ধনটি এক এক জনের এক এক রকমের। কোন কোন বন্ধুর আগমনে সবাই একটু বেশি আনন্দিত হয়, আবার কোন কোন বন্ধুর সাথে খুব বেশি হাসি ঠাট্টা জমে ওঠে না। কেউ হয়তো মজার কোন কথা বলে সবাইকে উল্লাসিত করে দিতে পারে, আবার কেউ গভীর কোন বিষয়ে রাখে সুচারু জ্ঞান।

সামাজিক নেটওয়ার্ককের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার না বলা কথা

সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতেও সবাই আড্ডাটা জমিয়ে তোলতে পারে না। ব্লগাররা সাধারনত তাদের ফেসবুক পাতায় ব্লগ লিংকগুলো জুরে দিয়েই চলে যায় আবার টুইটারে লিংকটি দিলেই চলে যায়। কিন্তু একটু গভীরভাবে দেখলে বুঝতে পারবেন যে, অনেকে আপনাকে যতটা পছন্দ করে ততটা আপনার লিংককে পছন্দ করে না। আবার অনেকের সাথে আপনার পরিচয়ই হয় আপনার ব্লগের লেখা দিয়ে। তাই বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে চুপ থাকরে চলবে না।

বিঃ দ্রঃ পোষ্টটি মূলতঃ ব্লগ মালিকদের সামাজিক নেটওয়ার্কের সম্পকে বলা হয়েছে। যাদের নিজের সাইট নাই তারা সবগুলো কথা অনুসরন নাও করতে পারেন।

মূলতঃ যাকে আপনি পছন্দ করবেন সে আপনাকে পছন্দ করবে এটা একটা সাধারন নিয়ম। টুইটারে অন্যদের ফলো করলে দেখা যায় তারাও ফরো করে। কারো স্ট্যাটাসে মতামত দিলে দেখা যায় পরবর্তিতে আপনার স্ট্যাটাসে সে মতামত দিয়েছে। অনেকে নিজের লেখাগুলোতে শুধু মতামতের উত্তরগুলো দিয়ে থাকে এবং অন্যের লেখায় কোন মতামত দেয় না। এ বেপারট সুসম্পর্ক তৈরীর একটা বাধা।

অনলাইন বন্ধুর সাখ্যা বেশি হয়ে গেলে অনেক সময় সবাইকে সময় দেয়া যায় না। তবে কিছু কিছু করে সম্পর্ক তো বজায় রাখা যায়। অনেকে চ্যাটিং করতে বেশি ভালবাসে। অল্প সময় করে চ্যাটিং এ অংশ নিতে পারেন। অনেক সময় পাঠকদের কেউ হয়তো আপনার সাথে চ্যাটিং করতে চাইলো আর আপনি অফলাইন হয়ে গেলেন, এতে করে আপনার ভক্ত পাঠক আপনার ব্যবহারে কষ্ট পেতে পারে। তার চেয়ে তার সাথে কয়েক শব্দ ব্যবহার করে তাকে বলে অফলাইনে যেতে পারেন।

নিজের অবস্থান ও ব্যক্তিত্ব বজায় রাখা খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। মোস্তফা জব্বার সহ অনেকেই সামাজিক নেটওয়ার্কে অনেক বাজে কথা শুনেছে। এ ধরনের ঝামেলা এরিয়ে চলাই উচিৎ আমি ব্যক্তিত্ব বজায় রাখার বেপারে অনেক আগেই একটি পোষ্ট লিখেছিলাম।

আরেকটা কাজ আমি ইদানিং কালে করে থাকি, কাজটা শক্ত হলেও বেশ ভাল বলে মনে করি। সাইটে যারা রেজিষ্ট্রেশন করেন তাদের সামাজিক নেটওয়ার্কে অবস্থান সমুহ জেনে নেই। এবং তাদেরকে ফেসবুকে সংযুক্ত হতে আমন্ত্রন জানাই। ফিড বার্ণারে যারা ইমেইল সাবক্রাইবার হয়েছেন তাদেরও সামাজিক নেটওয়ার্কে যুক্ত করার চেষ্টা করি। এতে করে তারা যদি মেইল চেক নাও করে, সাইট যদি ডাউনও হয় তারপরেও আমার সাথে তাদের যোগাযোগের বেপারে সমস্যা হবে না।

আশা করি, এই বেপারগুলো অনুসরণ করলে আপনার টারগেট শ্রোতা পেতে খুবই সুবিধা হবে। আজেকের মতো এখানেই শেষ করছি। ভাল থাকুন।

5 thoughts on “সামাজিক নেটওয়ার্ককের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার না বলা কথা”

  1. মাহবুব ভাই, ফিডবার্নারে যারা ইমেইল সাবস্ত্রাইব করেছেন তাদের কিভাবে খুজে বের করবো, এই বিষয়টা জানাবেন প্লিজ।

    1. @শিবলী, ব্যাগ্রাউন্ডের রঙের সাথে লেখার (গ্রাফিক্স ও…) রং ম্যাচ করে নাই। “ও” এর জায়গায় , দিলে ভাল হতো। এখন ৪৬৮*৬০ সাইজের টা বেশি দরকার। TutorialBD.com কথাটি ছোট করে নিচের দিকে দিয়ে দিলে ভাল হবে। ধন্যবাদ, বিজ্ঞাপনটি বানানোর জন্য।

        1. @শিবলী, রংধনুর লাল রংটা আর লেখার লাল রংটা মিলে গেছে। ডিজাইন করে পিএসডি ফাইলগুলো দিয়েন আমি প্রয়োজনে এডিট করে নেব। আপনার মতো করেই ডিজাইন করুন। TutorialBD.com কথাটি ছোট করে নিচের দিকে দিয়ে দিয়েন।

Leave a Comment