ব্লগিং আজকের বিশ্বের অনেক মানুষের পছন্দের কাজ। কেউ এটাকে বেছে নিয়েছেন আয় করার উপায় হিসেবে, কেউবা নিয়েছেন পারট টাইম জব হিসেবে আবার কেউ নিয়েছেন শখের বসে। কারণ যাই হোক যদি ব্লগিং এর পিছে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। কেউ নিজেই ব্লগ লিখেন আবার কেউ শুধুই পড়েন। ব্লগিং যারা করেন তারাই মূলত ব্লগার। প্রায় প্রতিনিয়তই মানুষ ব্লগ নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে এবং অনেকেই ব্লগার হচ্ছে। ব্লগাররা সবসময়ই নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগিং এর চিন্তা ভাবনা করেন, কিন্তু এর ফাকে শরীরের প্রতি যত্ন নেয়ার আর সময় থাকে না। কিন্তু শরীরটাও তো জরুরী। ব্লগিং এর নেশায় যে নিজের প্রতি খেয়াল নিবেন না, তা হতে পারে না। শরীর ভালো না থাকলে ব্লগিং করবেন কিভাবে? আমার আজকের টিউনটি মূলতঃ এ নিয়েই, ফুল টাইম ব্লগাররা যেভাবে শরীরের যত্ন নিবেন!
ব্লগাররা শরীর ভালো রাখার জন্য যে যে পদ্ধতি অবলম্বন করবেন তা পর্যায়ক্রমে নিচে তুলে ধরা হলঃ
১. প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করবেন, হতে পারে তা হাটা বা হতে পারে দৌড়ানো, চাইলে জিমে গিয়েও ব্যায়াম করতে পারেন।
২.ব্লগিং করার আগে আপনার হাতের জন্য কিছু ছোটখাট ব্যায়াম করে নিন। যেমনঃ আংগুল গুলো বার বার মুঠো করুন আবার খুলুন, এরুপে বেশ কয়েকবার করুন, এতে আঙ্গুলের জড়তা দূর হবে এবং টাইপে সুবিধা হবে।
৩.সকালে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই ব্রেকফাস্ট করে নিবেন।
৪.সমান চেয়ারে বসবেন, এবং চেয়ারের সাথে শরীরের সামঞ্জস্য বজায় রাখবেন যাতে শরীর ব্যাথা না হয়।
৫.মনিটরের পাওয়ার যথা সম্ভব কমিয়ে রাখুন বা স্ক্রিন গার্ড লাগান।
৬.মনিটর থেকে আপনার চোখকে কমপক্ষে ১২-১৫ ইঞ্চি দূরে রাখুন।
৭.শক্তি দিয়ে মাউস বা কিবোর্ডের কাজ করবেন না।
৮.একঘণ্টার বেশি কখোনোই একবারে হেডফোন ব্যবহার করবেন না।
৯.যেখানে কম্পিটার ব্যবহার করবেন সেখানে যথেস্ট পরিমাণ আলো নিশ্চিত করবেন, এক্ষেত্রে কৃ্ত্রিম আলোর চেয়ে প্রাকৃ্তিক আলো শ্রেয়।
১০.প্রতি ১ ঘণ্টা কাজের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ মিনিটের বিরতি বাধ্যতামূলক।
১১.বিরতির সময় একটু এক্সারসাইজ বিশেষ করে চোখের এক্সারসাইজ করুন। যেমনঃ বার বার চোখের পাতা খুলুন এবং বন্ধ্ করুন মানে চোখকে পিটপিট করুন, চোখে পানি দিন। বাইরে যদি সূর্য থাকে{দিনে} তাহলে একতু সূর্যের আলোতে আসুন এবং চারপাশে দেখুন। সূর্যের দিকে তাকাবেন না।
১২.মাঝে মাঝে কফি বা চা খাওয়ার চেস্টা করুন, এতে ক্লান্তি কম হবে।
১৩.পানির বোতল সাথে রাখুন। এক্ষেত্রে নরমাল পানি খাবেন, ঠাণ্ডা পানি হতে বিরত থাকুন।
১৪.দূপুরের খাবার যথা সময়ে খেয়ে নিন।
১৫.জড়তা বা একঘেয়েমি কাটাতে মজার ভিডিও দেখুন{ফান ভিডিও, খারাপ কিছু দেখবেন না}, জোক্স পরুন বা গেমস খেলুন।
১৬.সিগারেট সহ যাবতীয় নেশা জাতীয় দ্রব্য হতে বিরত থাকুন।
১৭. কাজ শেষ হয়ে গেলে যত কম সময় পারেন তত কম কম্পিউটার চালান।
১৮.বিকেলে যদি পারেন তাহলে বাহিরে বের হওয়ার চেস্টা করুন, এতে শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা হবে।
১৯.বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিয়ে তাদের সাথে ক্রিকেট, ফুটবল বা নানা রকম আউটডোর গেমস খেলার চেস্টা করুন।
২০.দ্রুত ঘুমানোর চেস্টা করুন। রাত ১১ টায় ঘুমানোর চেস্টা করুন এবং সকাল ৬-৭ টার মধ্যে উঠে পরুন। মিনিমাম ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে প্রয়োজনের তুলনায় ঘুম বেশি না হয়।
এছাড়াও আপনি আপনার নিজের সুবিধা মত আপনার শরীরের যত্ন নিবেন, এতে শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে। আশা করে সকলের কাজে আসবে। আপনাদের কমেন্টের প্রত্যাশায় রইলাম।
অফিসে ৮ ঘন্টা বাসায় ৪/৫ ঘন্টা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়।
কিছু দিন আগে কম্পিউটারে বসতে বসতে ব্যাক পেইন শুরু হলো। ইউটিউব থেকে কিছু ব্যায়াম নির্দেশিকা দেখে বেয়াম করলাম। কিছুটা কমলো। তার পর চোখ ব্যাথা শুরু করলো। সিআরটি মনিটরটা বাদ দিলাম, এলসিডিতে অনেক সময় পর্যন্ত কাজ করলেও চোখে খুব একটা সমস্যা হয় না, এখন।
ডিজে আরিফের নির্দেশিকা পেয়ে আমি ধন্য। আমাদের শিক্ষা ভূবনে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে পেয়ে আমরা গর্বিত।
@টিউটো,
আপনার সাথে একমত আমি, এলসিডিতে অনেকক্ষণ কাজ করলেও চোখের তেমন একটা সমস্যা হয় না।
আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত।
ধন্যবাদ
excelent.me also a blogger.pass 4-5 hour in my blog.thnx 4 this
@oritro,
হুম, বাংলাদেশে ব্লগারদের সঙ্খ্যা সন্তোষজনক হারে বাড়ছে, আপনাকেও ধন্যবাদ। বাংলায় লেখার চেস্টা করুন।
কম্পিউটারে বসতে বসতে ব্যাক পেইন শুরু হয়েছে বুড়ো হবার আগেই বুড়ো হয়ে গেলাম 🙁
@Masumul Haque,
আহ! ব্যাক পেইন অনেক ঝামেলার।:(
হুম! কিন্তু ওজন কমে গেলে?
হা হা!! ওজন কমা তো ভালো লক্ষণ শিবলী ভাই, তবে যদি তা উচ্চহারে কমে তাহলে তা খারাপ লক্ষণ, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
@ডিজে আরিফ, আমি আমার পেটে ৬ টা প্যাক বনিয়েছিলাম কিন্তু সব চলে গেছে।
@শিবলী,
ওহ! সো স্যাড, কি কি করতে হয় সিক্স প্যাকের জন্য?
এক কথায় এই সময়ের জন্য অতুলনীয় একটি পোষ্ট, আমরা আপনার আরো এ রকম পোষ্টের অপেক্ষায় খাকলাম
@rm2334,
আপনার কথা শুনে ভালো লাগল, আপনারা দোয়া করুন, আশা করি এরকম আরো পোস্ট দিতে পারবো।
আরিফ ভাই, তোমার লেখা বিষয়-বস্তুগূলি খুবই প্রয়োজনীয় তুমি নবম শ্রেনীতে পড় আর এত সুন্দর ব্লগ লেখো তার প্রশংসা না করে পারলাম না, আমি যদিও ভারতে থাকি তবুও আমি বাংলাদেশের লেখা ব্লগ নিয়মিত পড়ি, তার কারণ বাংলা আমার প্রাণের ভাষা, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, নিজের ভাষায় যা কিছু পড়া হয় তা যেন অমৃতের মতো মনে হয়, আজ বিশ্বায়নের দৌলতে সারা-পৃথিবী একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিবর্তিত হয়ে গেছে, আজ কবি গুরূর সেই বাণীটি বার-বার কানে ঝংকৃত হচ্ছে, ‘আপনারে যাহির করে বাইরে দারা-বুকের মাঝে বিশ্ব লোকের পাবি সারা’ তুমি নিয়মিত লিখলে আমরা আনন্দের সংগে তোমার লেখা পরে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারবো, তুমি ভালো থেকো।
@Bhuban,
শুনে বেশ ভালো লাগলো যে আপনি ভারতে থেকেও আমাদের দেশের ব্লগ গুলো পড়ার চেষ্টা করেন, ভারতে কোন বাংলা ব্লগ সাইটের লিঙ্ক যদি আমাদের সাথে শেয়ার করতে তাহলে আমরা আপনাদের লেখাগুলো পড়েও হয়তোবা আরো কিছু জানতে পারতাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
lekata ak kothai wonderful.It also help who new blogger.amra sobai kaj korta korta sorilar kotha bolai gasi.A rokom help tips molok lekha aro chai.
অনেক দরকারি কথা 🙂