অনেক সময় অনেক কাজ থাকা সত্ত্বেও কোন কাজই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। সারাদিন ঘরে বসে থেকেও একটি ব্লগ লেখার বিষয় খুজে পাই নি। আবার অনেক কাজের ভীরে থেকেও দিন শেষে দেখলাম কাজের কাজ কিছুই হয় নি।
ওয়েব ডেভলপার, ডিজাইনার, ব্লগার ও তথ্য প্রযুক্তিতে কাজ করতে আসা প্রায় সব ক্রিয়েটিভ ব্যক্তিই অনেক বেশি সময় অপচয় করে-এটা আমার ধারনা। আমি নিজেও অকারনে পথে হেটে হেটে, হেসে খেলে অবহেলায় সময় নষ্ট করি। কখনো কোন কোন বিষয়ে চিন্তা করতে করতেই দিন পার করে দেই। হাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে গেম খেলা আর ফেসবুকে আপডেটে দেখে দেখে অনেক বেশি সময় অপচয় হয় ইদানিং।
একটু সিরিয়াসলি যে দিন চিন্তা করি সারা দিন এই এই কাজগুলো করবো… এভাবে এভাবে করবো তাহলে অবশ্য বেশ দ্রুত কাজ এগিয়ে যায়। এখন বেশ কিছু টিপস আলোচনা করা হলোঃ
১. গুরুত্বপূর্ণ কাজের তালিকা করা
অনেক কাজ এক সাথে দেখলে অনেক সময় নিজেই অস্থির হয়ে যাওয়ার আবস্থা হয়। তা না করে দরকারী কাজের ধারা অনুসারে ভাগ করে নিতে পারেন। এলোমেলো ভাবে কাজ করলে কোন কাজই এগিয়ে যায় না। কোন কাজটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা আগে ধরতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে সেই কাজটি করতে বেশ কিছু (ভিন্ন) কাজ করা দরকার সেই কাজটি তাহলে আগে ধরতে হবে।
প্রথমে কাজের তালিকা গুলো একটি সাদা কাগজে লিখে নিতে পারেন । কাজগুলো ঘন্টা বা দিন হিসেবে ভাগ করেও নিতে পারেন।
২. এমন কাজ করুন যা অন্যকে প্রভাবিত করে
অনেকে সারাজীবন একই কাজ করে গেছে, যখন কাজ বন্ধ তখনই আয় বন্ধ হয়ে গেছে। কাজের ক্ষেত্রে সব সময় এমন কিছু করতে হবে যা ভবিষ্যতে একা একা চলতে পারে।
ঢাকা শহরে দেখেছি কিছু লোক একটু চিন্তা ভাবনা করে অল্প টাকায় কিছু জায়গা কিনে রেখেছিল যা এখন তাদের জীবনে বিশাল উন্নতি সাধন করেছে। আর কিছু লোক সেই টাকা থাকা সত্ত্বেও জমি কিনেন নি, তাদের আর ওদের মধ্যে জীবন যাত্রার বিশাল এক পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। ছোট একটি সঠিক সিদ্ধান্ত অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, ছোট একটি ভুল অনেক বড় ক্ষতির কারন হতে পারে।
আপনি যদি ব্লগার হোন তাহলে একটু একটু করে নিজের ব্লগের মান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করুন। দুইটি লেখা না লিকে ভাল একটি পোষ্ট লিখুন।
ডিজাইনার হলে নিজের কাজের মান বৃদ্ধির কথাটা মাথায় রাখুন।
৩. মন ও আবস্থানুযায়ী কাজকে ভাগ করে নেওয়া
সব সময় অবশ্য সব কাজ ভাল লাগে না। সকাল বেলা যে খাবার ভাল লাগে সেটা কিন্তু দুপুরে ভাল লাগে না। বিকেল বেলা আবার বাইরে বেড়াতে ভাল লাগে।
মনের অবস্থা অনুযায়ী কাজ রেডী করে রাখতে পারেন। এখন ভাল না লাগলেও এক সময় ভাল লাগবে।
৪. সমন্বয় সাধন করে কাজ করা
কেউ বেশি চিন্তা করে কম কাজ করে, কেউ সারা দিন কাজ করে যায় অথচ একটু ভেবে কাজটি করলে এত বেশি কাজ করতে হতো না।
অনেক ব্লগার মার্কেটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নিয়ে এত বেশি ব্যাস্ত হয় যে ব্লগ লেখাই বন্ধ হয়ে যায়। তাই কাজের সমন্বয় ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সেই অনুপাতে কাজ করা উচিৎ।
আশা করি এ কর্কশ কথাগুলো অনেকের ভাল লাগবে…মতামত জানিয়ে দিন আপনার কোন নতুন ধারনা।
না ভাই, টিপস গুলো মোটেই কর্কশ ছিল না, বরং ভালই। আর একটা প্রশ্ন, ইমেজগুলোর সোর্স কি? মানে ইমেজ গুলো কোথায় পান?
@ডিজে আরিফ, আমি ছবিগুলো গুগলে সার্চ দিয়েই খুজে নেই। তবে এই ছবিগুলো গুগলের ছবি সার্চের বাড়তি সুবিধা ব্যবহার করে পেয়েছি। ক্লিপ আর্ট জাতীয় ছবিগুলো থেকে বাছাই করে নিয়েছি। মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, ডিজে আরিফ।