ব্লগারদের মধ্যে সবচেয়ে যে সমস্যাটা দেখা যায় তা হলো নিয়মিত লেখালেখির জন্য উপাদান পাওয়া। অনেক সময় এমন হয় যে লেখার একটি বিষয় পাওয়া গেল কিন্তু সময় হলো না, আবার কখনো সময় হাতে নিয়ে বসে থেকেও কোন বিষয় নিয়ে লেখা যায় তা খুজে পাওয়া যায় না। আবার অনেক সময় একটি বিষয়ে কিছুক্ষন লেখার পরে মনে হয় এই লেখাটি আর শেষ করা হবে না । এরকম একশরও বেশি বিষয় আছে যা শুরু করে শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পারি নাই। তবুও গত মাসে (জুলাই ২০১০) ৩০ টির মতো বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে মজার বেপার হলো খুব কম সময়ই লিখতে ব্যয় হয়েছে- লেখার চেয়ে পাচঁগুন সময় ব্যায় করেছি পড়তে। নতুন কোন আইডিয়া পেতে নিচের পদ্ধতি গুলো দেখতে পারেন।
১. নিজের প্রজেক্ট
নিজে কোন একটি প্রোজেক্ট নিয়ে কিছু দিন কাজ করলে খুব সহজেই সেই প্রোজেক্টের বিবরণ লিখে দিলেই সুন্দর একটি আর্টিকেল রচিত হতে পারে। অধিকাংশ টিউটরিয়ালগুলো এভাবেই লেখা হয়। নিজের প্রোজেক্টের বিবরণ দেওয়াটা খুব সহজ হয় কারন সেই কাজ করতে গেলে কি কি সমস্যা হতে পারে তা নিজেই জানবেন। নিজের প্রোজেক্টের কাজের সময় ছবি / স্ক্রিনসট গুলো সংগ্রহ করে রেখে ধাপে ধাপে বিবরণ লিখলেই চলে। প্রতি মাসে চার পাঁচটা প্রোজেক্টে কাজ করলে দশ বারোটা ভালো আর্টিকেল লেখার উপকরণ হয়ে যায় অনায়াসে।
২. অভিজ্ঞতা ও অন্যের কাজের বিবরণ
অনেক ভাল ভাল লোক আছে যারা কাজ করে যায় সবার চোখের আড়ালে অথচ তাদের কথা লোকজন জানেও না। অনেকে এই বেপারটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। তাদের কাজের বিবরণ লিখেও সুন্দর একটি আর্টিকেল রচনা করতে পারেন।
৩. অহেতুক আড্ডা ও আলোচনা
আড্ডাবাজ লোকেরা সব জায়গায় সমাদৃত (আমার ধারণা)। আড্ডা আলোচনার মাঝে নতুন কিছু জিনিস চলে আসতে পারে। যেমন- এক লোক সমস্যায় পড়লো, আপনার কাছে সমাধান চাইলো। তাকে একটা মেইল না করে একটি আর্টিকেল লিখে সেটা ব্লগে প্রকাশ করে লিংকটা মেইল করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ( ইদানিং আমি আড্ডাতে বশি সময় দিচ্ছি।)
৪. নিজের সমস্যা ও তা সমাধান
নিজে অনেক সময় কাজ করতে গেলে সমস্যায় পড়ি। গুগলে সার্চের পর সার্চ দিয়ে সমাধান খুজে বের কারাটা নিত্যদিনের কাজ। সমাধান হয়ে গেলে নাক ডেকে না ঘুমিয়ে সেই বেপারটা বাংলা ব্লগে লিখতে পারেন, যদিও ইংরেজী ব্লগে এ বেপারে রয়েছে অনেক বেশি লেখা। কয়েকটি ইংরেজী পোষ্ট ব্লেন্ড করে (লিংকগুলো প্রকাশ করে) খুব সুন্দর একটি বাংলা ব্লগ লেখা যায়। বাংলাভাষাকে ওয়েব দুনিয়াতে সমৃদ্ধ করতে অবশ্যই এ কাজটা করতে হবে।
৫. বিভিন্ন ওয়েব পড়া
বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখাটা অনেক সহজ করে দেয় ইংরেজী ব্লগগুলো। যখন কোন কিছুই খুজে পাওয়া যাচ্ছে না লেখার জন্য তখন বিভিন্ন ওয়েব দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ান। আমি বেশ কিছু ব্লগ অনুসরণ করি নিয়মিত। তার মধ্যে tutsplus ও Smashing Magazine অন্যতম। এ দুটি লিংকে প্রায় ৫০ টি সাইট আছে যেখানে নিয়মিত পড়ালেখা করলে অনেক কিছু জানা যায়।
৬. ভ্রমন
শুধুমাত্র গ্রন্থগত বিদ্যাই সবকিছু নয়। অনেক নতুন নতুন চিন্তার জন্ম হতে পারে একটু চিন্তার জন্য নিস্তার পেলে। মহা-মানবরা কাজ করেছেন অনেক কিন্তু তার চেয়ে বেশি চিন্তা আর গবেষণা করেছেন। এ জন্য একই জিনিস থেকে নিজেকে একটু সরিয়ে নিলে আনেক নতুন নতুন ধারণা লাভ করা যেতে পারে। এ বেপারে আমার আরেকটি লেখা দেখতে পারেন।
৭. নতুন আবিষ্কার ও খবর
প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কার ও খবর হতে পারে আরও একটি মানসম্পন্ন উপকরণ। আজকের একটি ছোট আবিষ্কারের অনেক বড় পরিবর্তন আসতে পারে দিন দিন। আর আপনার লেখার গুরুত্বটাও বেড়ে যেতে পারে। তাই নতুন জিনিসের রিভিও হতে পারে সুন্দর একটি লেখার উপকরণ। এ জন্য আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানের নিউজলেটার সাবক্রাইব করে রাখতেও পারেন। টিউটরিয়াল লেখার পদ্ধতি নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম প্রয়োজনে দেখতে পারেন।
আশা করি লেখার উপকরণ না পাওয়া ভুক্তভুগিদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। অবশ্য লেখার চেয়ে বেশি দরকার জানা ও তা কাজে পরিনত করা।
সোহেল ভাই
আপনার আর্টিকেলের ইন্টার লিঙ্কিংটা খুব ভালো লেগেছে
৬, আর ৭ ছাড়া বাকিগুলো নিয়ে আইডিয়া ছিলো
আজকে তা জানা হলো
টিবি’র প্রতিটা আর্টিকেলই নতুন কিছু না কিছু শেখাচ্ছে
এফ এম, আমি নিজেও লিংকগুলোর বেপারে এক সময় চিন্তা করি নাই। কিন্তু ইদানিং আমাকে ভাবাচ্ছে কারন আমার সাইটের ট্রাফিকের সার্চ ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি আসে বিভিন্ন জায়গার লিংকিং। ভাল থাকুন। মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Thanks.
Good suggestion for novice bloggers