কম্পিউটার সেটআপ: ১২ টি নান্দনিক ডিজাইন

তথ্য প্রযুক্তির সাথে জরিত সবারই দিনের বেশিভাগ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটারের মুখোমুখি। আর এক এক জন নিজের টেবিলটাকে এক এক রকম করে সাজিয়ে তোলে। বিশেষত: ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের বেপারটা যেহেতু  তার কম্পিউটার থেকেই আসে তাই এবং সব সময় কম্পিটারই তার বন্ধু হয়। কাজের সুবিধার জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ গড়ে তুলেছেন অনেকেই। আর এরই কয়েকটি ছবি শেয়ার করবো। আমি নিজে পরিবেশটিকে একটু সুন্দর করা জন্যই ছবিগুলো সংগ্রহ করা। সবগুলো ছবিই বাড়ির মধ্যে কাজের পরিবেশের।  আপনিও আপনার কাজের পরিবেশটিকে আরেকটু সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে দেখি কিছু..

এক:

১৫ টি ঘরের কম্পিউটার সেটআপ

খুবই সুন্দরভাবে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, আইপ্যাড আর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কাজের সুবিধামুখি করে সাজেনো। একটা বেপার লক্ষনীয়। সম্পূর্ণ ঘরটি কিন্তু আলোকিত নয়। শুধু যতটুকু দরকার ততটুকুই আলো ব্যবহার করা হয়েছে।

দুই

১৫ টি ঘরের কম্পিউটার সেটআপ

অ্যাপলের সিনেমা ডিসপ্লে দাড়া করে (Vertical) রাখা হয়েছে। ওয়েবসাইটের অনেক বড় আংশই দেখা যাবে এক সাথে। বেশি স্ক্রল করতে হবে না।

তিন

সত্যিকারের অফিসের মতো দেখালেও এটি কিন্তু অফিস না- বাসাতেই অফিস বানিয়ে নেওয়া। প্যানারোমিক ছবি দিয়ে তিনটি মনিটের একটি ওয়ালপেপার সাজানো হয়েছে। টেলিফোনটি মাঝ বরাবর, ফাইল কেবিনট বেপারটা লক্ষনীয়। দেয়ালে রয়েছে একই ভাবে তিন তিনটে ছবি।

চার

১৫ টি ঘরের কম্পিউটার সেটআপ

একটা প্রকৃতিক পরিবেশ বানানো চেষ্টা। দেয়ারের ছবিগুলো দেখে শিল্প করার সমৃদ্ধ ব্যবহারের কতাই মনে হয়।

পাঁচ

১৫ টি ঘরের কম্পিউটার সেটআপ

অনেকটা সিনেমা স্টুডিওর মতো দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে কোন প্রোডিউসারের অফিস। এটি আসলে একটি Home Office. মনিটরে সয়লাব করে দিয়েছে। কোন ক্লাইন্ট এই রুমে এসেই হতবম্ব না হয়ে উপায় নেই।

ছয়

১৫ টি ঘরের কম্পিউটার সেটআপ

এক পাস থেকে উজ্জল আরো ঘরটিকে একটি অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যদিও এপলের মনিটরটি একটু আগের মডেলের।

সাত

উজ্জল আলোতে দুইটি এলসিডি মনিটর একই ওয়ালপেপার ব্যবহার করছে। ল্যাপটপটি, আইফোনের আবস্থান নির্বাচনটাও লক্ষনীয়।

উজ্জল আলোতে দুইটি এলসিডি মনিটর একই ওয়ালপেপার ব্যবহার করছে। ল্যাপটপটি, আইফোনের আবস্থান নির্বাচনটাও লক্ষনীয়।

আট

আই ফোনটি দেখেছেন? ব্যাগ্রাউন্ডে আলোর ঝলক দেওয়া। একটা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন লোকের ডিজাইন বলতে হয়।

আই ফোনটি দেখেছেন? ব্যাগ্রাউন্ডে আলোর ঝলক দেওয়া। একটা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন লোকের ডিজাইন বলতে হয়।

নয়

চার চারটি মনিটর। কীবোর্ডের এরো বাটনগুলোর মতো করেই সাজানো। আলোটি দেয়ালের দিকে ফেরানো।

চার চারটি মনিটর। কীবোর্ডের এরো বাটনগুলোর মতো করেই সাজানো। আলোটি দেয়ালের দিকে ফেরানো।

দশ

তিনি মনে হয় মাছ আনেক ভালবাসেন। একটি ইকুরিয়াম সহ গোছানো এই সেটআপটি।

তিনি মনে হয় মাছ আনেক ভালবাসেন। একটি ইকুরিয়াম সহ গোছানো এই সেটআপটি।

এগার

সবুজ রংটি আমারও পছন্দ, যদিও ওয়েবের জন্য নয়। একটি ল্যাপটপ ও একটি ডেস্কটপ সবুজ আলোর দূরবর্তি অংশে রাখা হয়েছে।

সবুজ রংটি আমারও পছন্দ, যদিও ওয়েবের জন্য নয়। একটি ল্যাপটপ ও একটি ডেস্কটপ সবুজ আলোর দূরবর্তি অংশে রাখা হয়েছে।

বার

অনেকগুলো মনিটরকে সাজানো হয়েছে। মনে হচ্ছে আরো কিছু মনিটরও সামনের দিনে এনে সঙযোজন করা হবে।

অনেকগুলো মনিটরকে সাজানো হয়েছে। মনে হচ্ছে আরো কিছু মনিটরও সামনের দিনে এনে সংযোজন করা হবে।

আরও কিছু ছবি আছে এখানে

8 thoughts on “কম্পিউটার সেটআপ: ১২ টি নান্দনিক ডিজাইন”

  1. ভাই সাব এগুলা কি আমারে গিফট করবেন নাকি?
    তাই মনে হচ্ছে

    দিলে এই গরিবের মেলা উপকার হবে
    —-
    আমি নিজেও চাই এই রকম করে ঘর সাজাতে, কিন্তু টাকা নেই 🙁

  2. তাওহিদুল ভাই,অনুপ ভাই আপাতত যখন সাধ্য নাই তখন আর কি করা আসেন স্বপ্নের রাজ্যে একটা করে বাড়ি তৈরি করি আর সেখানে এরকম সুন্দর করে সাজাই।

    টিউটো ভাই অসাধারণ,
    আপনি যে কবে শতক পার করলেন বুঝতেই পারিনি ।

  3. @মাসপি : লিংকটি দেওয়া আছে।
    @তাওহিদুল ইসলাম : আমার মনে হয় অর্থ আছে। আপনি ওয়েব সাইট এত সুন্দর করে ডিজাইন করেন কেন? নিশ্চই এটার প্রয়োজন আছে। ঠিক তেমনি…।
    @অনুপ: টাকা জোগার করছি। নিজে এরকম একটা সেটআপ করার জন্য। গিফ্ট করার প্রশই উঠে না।
    @ ashim : আমি নিজেও বুঝতে পারি নাই কবে ১০০ তম পোষ্ট হয়ে গেলো…।

  4. @ashim: একটা কবিতা উপহার দিলাম-জীবনানন্দের, স্বপ্নের হাতে ধরা দেওয়ার জন্য।

    স্বপ্নের হাতে…

    পৃথিবীর বাধা — এই দেহের ব্যাঘাতে
    হৃদয়ে বেদনা জমে — স্বপনের হাতে
    আমি তাই
    আমারে তুলিয়া দিতে চাই।
    যেই সব ছায়া এসে পড়ে
    দিনের রাতের ঢেউয়ে — তাহাদের তরে
    জেগে আছে আমার জীবন;
    সব ছেড়ে আমাদের মন
    ধরা দিত যদি এই স্বপনের হাতে!
    পৃথিবীর রাত আর দিনের আঘাতে
    বেদনা পেত না তবে কেউ আর —
    থাকিত না হৃদয়ের জরা —
    সবাই স্বপ্নের হাতে দিত যদি ধরা!…
    আকাশ ছায়ার ঢেউয়ে ঢেকে
    সারাদিন — সারা রাত্রি অপেক্ষায় থেকে
    পৃথিবীর যত ব্যথা — বিরোধ, বাস্তব
    হৃদয় ভুলিয়া যায় সব
    চাহিয়াছে অন্তর যে ভাষা,
    যেই ইচ্ছা, যেই ভালোবাসা,
    খুঁজিয়াছে পৃথিবীর পারে পারে গিয়া —
    স্বপ্নে তাহা সত্য হয়ে উঠেছে ফলিয়া!
    মরমের যত তৃষ্ণা আছে —
    তারই খোঁজে ছায়া আর স্বপনের কাছে
    তোমরা চলিয়া আস —
    তোমরা চলিয়া আস সব!
    ভুলে যাও পৃথিবীর ঐ ব্যথা — ব্যাঘাত — বাস্তব!
    সকল সময়
    স্বপ্ন — শুধু স্বপ্ন জন্ম লয়
    যাদের অন্তরে–
    পরস্পরে যারা হাত ধরে
    নিরালা ঢেউয়ের পাশে পাশে
    গোধূলির অস্পষ্ট আকাশে
    যাহাদের আকাঙক্ষার জন্ম মৃত্যু — সব
    পৃথিবীর দিন আর রাত্রির রব
    শোনে না তাহারা!
    সন্ধ্যার নদীর জল, পাথরে জলের ধারা
    আয়নার মতো
    জাগিয়া উঠিছে ইতস্তত
    তাহাদের তরে।
    তাদের অন্তরে
    স্বপ্ন, শুধু স্বপ্ন জন্ম লয়
    সকল সময়!…
    পৃথিবীর দেয়ালের পরে
    আঁকাবাঁকা অসংখ্য অক্ষরে
    একবার লিখিয়াছি অন্তরের কথা —
    সে সব ব্যর্থতা
    আলো আর অন্ধকারে গিয়াছে মুছিয়া!
    দিনের উজ্জ্বল পথ ছেড়ে দিয়ে
    ধূসর স্বপ্নের দেশে গিয়া
    হৃদয়ের আকাঙক্ষার নদী
    ঢেউ তুলে তৃপ্তি পায় — ঢেউ তুলে তুপ্তি পায় যদি —
    তবে ঐ পৃথিবীর দেয়ালের পরে
    লিখিতে যেয়ো না তুমি অস্পষ্ট অক্ষরে
    অন্তরের কথা! —
    আলো আর অন্ধকারে মুছে যায় সে সব ব্যর্থতা!
    পৃথিবীর অই অধীরতা
    থেমে যায়, আমাদের হৃদয়ের ব্যথা
    দূরের ধুলোর পথ ছেড়ে
    স্বপ্নেরে — ধ্যানেরে
    কাছে ডেকে লয়
    উজ্জ্বল আলোর দিন নিভে যায়
    মানুষেরও আয়ূ শেষ হয়
    পৃথিবীর পুরানো সে পথ
    মুছে ফেলে রেখা তার —
    কিন্তু এই স্বপ্নের জগৎ
    চিরদিন রয়!
    সময়ের হাত এসে মুছে ফেলে আর সব —
    নক্ষত্রেরও আয়ু শেষ হয়!

  5. @ টিউটো :
    ধন্যবাদ টিউটো ভাই , আজকের স্বপ্নগুলোই ভবিষ্যতের পথ চলার দিশারী । আর আমরা সে পথের পথিক মাত্র । স্বপ্ন রচনা হয় আবার পূরণও হয় , কিন্তু পথের স্বপ্ন পথেই থেকে যায়, মানুষের পথচলা থেমে থাকে না, সে চলতে থাকে অচেনা গন্তব্যের দিকে।

Leave a Comment