ওয়েব ডিজাইনের নিয়ম: তিনটি ভিন্ন মতামত

অনেকেই ওয়েবসাইট ডিজাইনের উপর ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপদেশ দিয়েছেন। এবার কয়েকটি নামী দামী ওয়েব ডিজাইন প্রতিষ্ঠানের মতাদর্শ থেকে জেনে নেই ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মেনে চলা উচিৎ

গ্রান্টাস্টিক ডিজাইনের ৫টি নিয়ম:

  • ১. আপনার ওয়েব সাইট সহজে পাঠ যোগ্য থাকতে হবে: ওয়েব সাইটের লেখার আকৃতি, ফন্টের রং ও ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি এমন থাকতে হবে যাতে পাঠ করতে সমস্যা না হয়।
  • ২. ওয়েব সাইটের এক আবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা : ওয়েব সাইটের যে কোন আংশে অল্প কয়টি ক্লিকেই যাতে চলে যাওয়া যায়।
  • ৩. লেখা রং গুলোর সমান ভাবে ব্যবহার করা: যার অর্থ একই রকমের বিষয়ের ক্ষেত্রে একই রকমের রং ব্যবহার করা। আপনি যদি কোন টপিকের বিষয়বস্তুর লেখার (কনটেন্টের) রং কালো দেন অন্য টপিকের ক্ষেত্রে লাল দেন তাহলে একটা বাজে দেখাবে।
  • ৪. সহজে অনুসন্ধান করার ব্যবস্থা: সহজে যে কোন বিষয় যাতে খুজে পাওয়া যায় সেরকম ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিভাগ, ট্যাগ, সার্চের ব্যবস্থা ইত্যাদি যুক্ত করা।
  • ৫. আপনার সাইট দ্রুত লোড হতে হবে: শ্লথ সাইটে ভিজিটর স্বভাবতই অনেক কম।

নিচিফিলির ৪টি নিয়ম:

এ নিয়মগুলো গ্রানটিস্টিকসের মতোই বর্ণনা গুলো পড়ে নিয়েন। বেশ কাজের-

  • ১. সহজে পাঠ যোগ্যতা
  • ২.সহজ নেভিগেশন থাকা
  • ৩. ডিজাইনের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা
  • ৪. দ্রুত লোড হওয়া

সারপেন্ড প্রোডাকশনের ১০ টি নিয়ম

১. সাধারনই সুন্দর: কোন একটি পাতা হিজিবিজি ডিজাইনে ভরে না রেখে । সহজভাবে উপস্থাপনা করাই উত্তম। পাঠক যাতে সহজে প্রতি লাইন পাঠ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।

২. সহজ ও সুন্দর ডিজাইন: প্রথমবার কোন পাঠক সাইটে এসেই সিদ্ধান্ত নেয় এটাতে আরও ব্রাউজ করবে কিনা। তাই প্রথম দর্শনে তার মন দখল করতে সাবলীল একটি ডিজাইন রাখতে হবে।

৩. সহজ নেভিগেশন: ওয়েব সাইটের এক পাতা থেকে আরেক পাতায় যাওয়ার সহজ ব্যবস্থা থাকতে হবে। অনেক সময় পাঠক বুঝতে পারে না প্রথম পাতায় কিভাবে যাওয়া যায়।

৪. সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা: ওয়েব সাইটটির সবগুলো পাতায় রেখার রং, ব্যাগ্রাউন্ড ইত্যাদির একটা মাপ যোগ মেনে চলতে হবে।  এক এক পাতায় এক এক রকমের লেখা ও রং ব্যবহারে সাইটটি বাজে লাগে। পাঠক অনেক সময় ঝামেলায় পরে।

৫. রং নির্ধারন করা: ওয়েব সাইটের লেখার ও ব্যাগ্রাউন্ডের রং নির্ধারন একটি গুরুত্বপূর্ণ বেপার। সাধারনত: ব্যাগ্রাউন্ড হিসেবে সাদা ও লেখার রং কালো বা কাছাকাছি রাখাটা সহনিয়।

৬. কনটেন্ট: যদিও সাইটটি অনেক সুন্দর ডিজাইনে ভরপুর তার পরেও সাইটে ভাল কনটেন্ট না থাকরে ভিজিটর একবার এসে আর আসবে না।

৭. স্ক্রিনের মাপ: বড় মনিটরের কোন পাঠক যদি দেখে মনিটরের দশ ভাগের একভাগে ওয়েব সাইটটি পড়ে আছে তহলেও সমস্যা আবার ছোট মনিটরের পাঠক স্ক্রল করতে করতে অস্থির হয়ে যায়। তাই একটা মান সম্পন্ন মাপ রাখা বাঞ্চনীয়।

৮. একাধিক ব্রাইজারে সাপোর্ট যোগ্য: সাইটটি সব ব্রাউজারে সাপোর্ট করার মতো করে বানাতে হবে।

৯. ভুল সমুহ না থাকা: ভাঙ্গা লিংক, ভুল ছবি ইত্যাদি অনেক সময় আপনার সাইটের মান কমিয়ে দিতে পারে।

১০. নিজস্ব কোড : অনেক সময় কিছু কিছু ওয়েব তৈরীর সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাননো গেলেও সেখানে বেশ কিছু লিংক ও স্ক্রিপ্ট এমবেড করা থাকতে পারে। যা আপনার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়াও দেখতে পারেন-

ওয়েবসাইট প্রকাশনার পূর্বে আপনার যা করা উচিত

ওয়েবসাইটে অডিও ফাইল স্ট্রিমিং করার পদ্ধতি

আশা করি এ তিনটি আইডিয়া থেকে আমারা মোটামুটি কিছু বেপারে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আশা করি পরবর্তিতে কাছে পাবো। সাথে থাকুন। ভাল থাকুন।

4 thoughts on “ওয়েব ডিজাইনের নিয়ম: তিনটি ভিন্ন মতামত”

  1. ধন্যবাদ। আপনার কাছেও অনেক কিছু শিখেছি। আপনার লেখা পাওয়ার প্রতিক্ষায় রইলাম। ফ্রিল্যান্সিং করে তো বালই টাকা কামাচ্ছেন , শিখাবেন না?

Leave a Comment