টেক্সট ইফেক্ট
গিম্প দিয়ে আপনি সহজেই বিভিন্ন প্রকার টেক্সট ইফেক্ট দিতে পারবেন। গিম্পে ব্রাশ, টেকচার এবং গ্রিডেন্ট দিয়ে এক ক্লিকেই টেক্সট ইফেক্ট দিতে পারবেন। আসুন দেখি কিভাবে গিম্প দিয়ে টেক্সট ইফেক্ট দেওয়া যায়।
প্রথমে গিম্প ওপেন করুন। একটা নতুন ফাইল নেওয়ার জন্য File>New এ যান। তারপর এখান থেকে 640*300 পিক্সেল সিলেক্ট করুন। তারপর টেক্সট লেখার জন্য টেক্সট টুলটি ব্যবহার করতে হবে। টুলবারের টাইপ টুল এর উপর ক্লিক করুন।
তাহলে টাইপ করার জন্য উইন্ডো আসবে। এখানে আপনার টেক্সট লিখুন। আপনার কাংখিত টেক্সট লেখা হয়ে গেলে উইন্ডো এর Close এ ক্লিক করুন।
টেক্সট এর ফন্ট এবং সাইজ নির্ধারণ করতে পারবেন বামপাশে থেকে।
আপনারা হয়ত খেয়াল করবেন। টেক্সট লেখার সাথে সাথে একটি লেয়ার তৈরি হয়ে গিয়েছে।
লেয়ার নিয়ে একটু বকবকানি এখানে আছে দেখতে পারবেন। টেক্সট লেয়ারটির উপর রাইট ক্লিক করুন। এখান থেকে Text To Selection এ ক্লি করুন।
তাহলে আপনার টেক্সটি নিচের মত সিলেক্ট হয়ে যাবে।
এরপর কিবোর্ড থেকে Delete Press করুন।
আপনি যদি এই ধাপ পর্যন্ত আসতে পারেন তাহলে আপনি বুঝবেন আপনি টেক্সট ইফেক্ট দেওয়ার জন্য রেডি।
ইফেক্ট তিন ভাবে দিতে পারবেন।
১। ব্রাশ দিয়েঃ উক্ত ধাপে আসার পর টুলবক্স থেকে ব্রাশ টুল নির্বাচন করুন (সর্টকার্ট P) তাহলে টুলবারের নিচে ব্রাশের অপশন চলে আসবে। এখানে থেকে ব্রাশের সাইজ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে পারবেন। যে কোন একটি ব্রাশ সিলেক্ট করে টেক্সটের উপর ঘষাঘষি করুন।
তাহলে ইফেক্ট পাবেন।
২। প্যাটার্ন দিয়ে: উপরোক্ত ধাপে আসার পর প্যাটার্ন দিয়েও সহজে ইফেক্ট দিতে পারবেন। ডানপাশের উইন্ডোতে প্যাটার্ন না দেখতে পেলে Ctrl+Shift ধরে P চাপুন। নিচের মত প্যাটার্ন দেখতে পাবেন।
এখান থেকে প্যাটার্ন ড্রাগ করে টেক্সটের উপর ছেড়ে দিন। তাহলে ইফেক্ট পাবেন।
৩। গ্রিডেন্ট দিয়ে: গ্রিডেন্ট দিয়েও সহজে ইফেক্ট দিতে পারবেন। উপরোক্ত ধাপে আসার পর টুলবক্স থেকে গ্রিডেন্ট টুলটি সক্রিয় করুন। (সর্টকার্ট- L) তাহলে বামপাশে টুলবক্সের নিচে গ্রিডেন্ট অপশন দেখতে পাবেন
এখান থেকে পছন্দসই গ্রিডেন্ট সিলেক্ট করে আপনার টেক্সটের উপর ড্র্যাগ করে সহজেই ইফেক্ট দিতে পারবেন।
কিছু উদাহারণ
ব্রাশ দিয়ে:
প্যাটার্ন দিয়ে:
গ্রিডেন্ট দিয়ে:
বিজ্ঞাপন:
স্পেশাল ইফেক্ট
অনেকেই বলেন গিম্পে নাকি ফটোসপের মত ইফেক্ট দেওয়া যায় না। আমিও আগে তাই মনে করতাম। কিন্তু ইদানিং গিম্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখছি গিম্পে এমন এমন কাজ করা যায় যা ফটোসপে করা যায় না। আর চুরি করতে আমার ভাল লাগে না। পাইরেটেড ফটোসপ ব্যবহার করতে নিজের কাছে চোর চোর মনে হয়। আমার যদি অনেক টাকা থাকত তাহলে আমি ফটোসপ কিনেই ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন দেখি গিম্পে ভাল ভাল ইফেক্ট দেওয়া যায়। তাই গিম্পের কিছু কিছু টিউটোরিয়াল মাঝে মাঝে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজ আমরা দেখব একটি স্পেশাল ইফেক্ট
প্রথমে গিম্প ওপেন করে নতুন ফাইল নিন 640*480 মাপের। তারপর Filter > Render > Fractal Explorer এ যান। নিচের মত উইন্ডো ওপেন হবে
এখান থেকে Fractals ট্যাবের Snow_Crystal এ ক্লিক করে Apply এ ক্লিক করে তারপর OK তে ক্লিক করুন। আপনার ইমেজ এমন হবে
তারপর Filter > Blur > Motion Blur এ যান এখানে ব্লার টাইপ Zoom করুন এবং Length ২৫৬ দিন। আপনার ইমেজ এমন হবে
তারপর বর্তমান লেয়ারটাকে ডুপ্লিকেট করুন। যারা গিম্পে লেয়ার ডুপ্লিকেট করতে পারেন না তারা একটু দেখুন
লেয়ার ডুপ্লিকেট করার নিয়মঃ
লেয়ারের উপর রাইট ক্লিক করুন তারপর ডুপ্লিকেট এ ক্লিক করুন। চিত্রে দেখুন
লেয়ার ডুপ্লিকেট করা হয়ে গেলে লেয়ার মেন্যু হতে লেয়ারকে Burn করুন।
তাহলে আপনার ইমেজ এমন হবে
তারপর নতুন একটা লেয়ার তৈরি করুন। একে কালো রং এ ফরগ্রাউন্ড দিন। তারপর Filter > Light and Shadow > Lens flare এ গিয়ে মাঝখানে লাইটিং ইফেক্ট টা দিন।
আপনার ইমেজ এমন হবে
তারপর এই লেয়ারকে লেয়ার মুড মেন্যু হতে Addition করুন। আপনার ইমেজ এমন হবে
আশাকরি সহজ এই ইফেক্টটা দিতে পারবেন।
সুপারনোভা ইফেক্ট
গিম্পের ভেতরে যত ঢুকছি ততই মজা পাচ্ছি। দারুন এক সফটওয়ার গিম্প। আজকে নিয়ে আসলাম আরেকটি টিউটোরিয়াল। এটা একটি সিম্পল টিউটোরিয়াল যে কেউ পারবেন। আপনি এটি সর্বোচ্চ ৫ মিনিটে তৈরি করতে পারবেন। তো আসুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দিই।
প্রথমে গিম্পে প্রবেশ করে একটি নতুন ফাইল নিন 640*480 মাপের। তারপর Filter>Render>Fractal Explorer এ যান।
এখান থেকে Fractals থেকে Energetic Diamond সিলেক্ট করে প্রথমে Apply এবং তারপর OK করুন।
আপনার ইমেজ নিচের মত হবে
এরপর আবার Filter>Blur>Motion এ গিয়ে নিচের মত মান দিন
তারপর Filter>Light and Shadow>Supernova তে গিয়ে নিচের মত মান দিন
তাহলেই কেল্লাফতে!! দেখুন আপনার ইমেজ!!
আশাকরি ছোট্ট এই ইফেক্টটি সহজেই দিতে পারবেন। আগামীতে আরও ইফেক্ট নিয়ে হাজির হব আশাকরি।