নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, নিজের একটি প্রতিষ্ঠান

অনেককেই দেখেছি যারা কিছু দিন ব্লগিং করে তার পর সার্চ ইঞ্জিন সহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। বাংলাদেশে চকুরীর অবস্থা ও তার বজার মূল্যের চেয়ে ভাল একটি কর্মসঙস্থান সৃষ্টি করতে পারলে অন্যের প্রতিষ্ঠানের দিকে চেয়ে থাকার কি দরকার?

এক এক জনকে দেখেছি এক এক ভাবে বিজয়ী হতে । তবে তাদের মধ্যে একটি জিনিস সবচেয়ে বেশি দেখেছি যে, তারা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে। সকালে অনলাইনে লগইন হলেও দেখতাম তারা এক এক রকমের কাজ করে যাচ্ছে। মানুষকে বিনামূল্যে সাজেশন ,টিউটরিয়াল ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করছে। আবার গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গিয়ে নেটে বসলেও দেখতাম তারা জেগে জেগে কাজ করছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টির শুরু টা অনেক কষ্টের হয়। নিজের একটি ইন্টারনেট সহ কম্পিউটার, সেই সাথে শ্রম দেয়া। অন্যান্য কাজের বা পড়ালেখার পাসাপাসি কাজ করা একেবারে সহজ নয়। কিন্তু অনেকে সহজ করেছে। একটি কথা আছে-বিজয়ীরা ভিন্ন কাজ করে না , একই কাজ করে ভিন্নভাবে।

অনলাইনে কাজ করার সবচেয়ে বড় বাধা হলো– এই সেক্টরে কাজ করলে অয়ের মুখ সাথে সাথে দেখা মেলে না। যে একবার আয় করতে পারবে তার আয় করাটা খুব সহজ হয়ে যাবে।

নিজে কিছু কিছু কাজ করে সঞ্চয় করতে করতে একসময় এক বিড়াট সম্পদের মতো হয়ে যেতে পারে। কি কাজ? আর্টিকেল লেখা বা সামাজিক নেটওয়ার্কে যোআযোগ স্থাপন,টুইটারে নিয়মিত যাওয়া আসা ইত্যাদিও একটি সম্পদ হতে পারে। এক জনের সাথে আরেক জনের সুসম্পর্ক কি সম্পদ না?

নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হওয়া

নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হওয়া খুবই সহজ। আপনি দিনে যদি ৩০ টি আর্টিকেল পড়েন এবং নিজের মনের মতো করে ৩ টি আর্টিকেল লিখেন। তাহলে কয়েক মাসেই একটা ভাল ব্লগের মালিক হয়ে যাবেন। সেখানে অনেকেই আসবে। আপনার সাথে পরিচয় হবে অনেকের । আপনার পরিচয় দিতে পারবেন তাএর কাছে। এভাবে একটা নেটওয়ার্ক তৈরী হবে। এবার আপনি প্রতিইন ৩০টি আর্টিকেল পড়েছিলেন তা থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন যা অন্য থেকে আপনাকে আলাদা করতে সক্ষম হবে। ওয়েব জগতের বিষয়গুলো শিখলে খুব সহজভাবেই কাজ করা যাবে । পরিচিত লোকের সংখ্যার অনুপাতে আপনি তাদের সহযোগিতা করতে পারবেন। এই সহযোগিতার মাধ্যমেই আপনার আয়ের খাতা শুরু হতে পারে। এভাবে বছরের মধ্যে আপনার গুনাগুনের উপরে ভিত্তি করে নিজের অবস্থান তৈরী করে ফেলতে পারবেন।

নিজের একটি প্রতিষ্ঠান

নিজের একটি প্রতিষ্ঠান করতে হলে অনলাইনে আয়ের জন্য একটা দলের প্রয়োগন হয় অনেক সময়। বিশেষ করে ফ্রিলান্সিং বড় কোন প্রোজেক্টের কাজ পেলে আপনারকে অবশ্যই একটি ল বানাতে হবে। আপনাকে সেই লে নেতৃত্ব দিতে হবে। নিজে যখন কাজ করে শেষ করতে পারছেন না তখন কয়েকজনকে নিয়ে দলগতভাবে কাজ করেগেলে সুবিধাই হবে। আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন যে – এই কাজ টি এত দিন করতে পারলে এক বছর পর ভাল একটা লাভ হবে। তখন আপনি যি অনেককে নিয়ে বলেন কাজ করেন একবছর পরে লাভ পাবেন। তাহলে সে কি কাজ করবে? না, করবে না। এমন অনেক কাজ আছে যা শুরু করতে হয় এবং অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয় আয়ের জন্য এরকম কাজে ভাল আইডিয় থাকলে সেই আইডিয়া দিয়ে আপনি লাভবান হতে পারেন। নিজে ইনভেস্ট করতে পারলে ভাল। বা ভাল কোন ইনভেস্টর পেলে আপনার আইডিয়ার কথা জানাতে পারেন। দু’ জনে মিলেও শুরু করতে পারেন ভাল একটি প্রোজেক্ট যার সম্ভাবনা রয়েছে এদেশে। আমি হলফ করে ৮-১০ টি ওয়েবসাইটের নাম বলতে পারি যারা খুবই ছোট পরিসরে শুরু করেছিল। এখন তারা দেশের সেরা ওয়েব। বিডিজবস,ক্লিকডিডি,টেকটিউনস সহ অনেক সাইটের মালিকই এখন নিজের ভিবষ্যত তার ওয়েব ঠিকানাকে মনে করে।

আশা করবো আমাদের দেশের ইনভেস্টর ও বেকার ছেলে মেয়েরা মিলে অনলাইনে নিজেএর অবস্থান তৈরীতে এবং নিজেএর অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে আসবে

12 thoughts on “নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, নিজের একটি প্রতিষ্ঠান”

  1. লেখাটা আমার নিজের কাছেই অনেকটা অগোছালো অগোছালো মনে হয়েছে। আশা করি স্বচ্ছভাবে পরবতির্তে আরো ভাল কিছু লিখতে পারবো। ফ্রিল্যান্সের উপরে কিছু কথা বলেছিলাম আরেকটা প্রযুক্তি ব্লগে। সেই লেখাটাতেও বেশ কিছু আইডিয়া আপনাদের কাজে লাগতে পারে।

      1. @LuckyFM,ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি আমার আলোচনার বেপারে আপনার বেশ আগ্রহ জন্মেছে। আমি আসলে এমন এক অবস্থানে আছি যেখানে নিজের একটি প্রতিষ্ঠানের কথা ভবছি। তাই বিষয়গুলো যেভাবে মনে হলো সেভাবেই আলোচনা করলাম । আশা করি আমার পরের লেখাগুলোতে চোখ রাখবেন। ভাল থাকুন।

          1. @LuckyFM,কয়েকটি বাংলা ওয়েবসাইটের প্রোমশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আর তাই কিছুটা সার্থপরের মতো আচরণ করতে হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই টিটিতে চলে আসবো। ভাল থাকুন।

  2. সেই লেখাটিতে মুলত ৫টি বিষয় আলোচনা করেছিলাম দেখতে পাবেন এই লিঙ্কে
    http://www.bigganprojukti.com/post-id/1578
    বিষয়গুলো হলো:
    ১. বেশি বেশি পড়ালেখা
    ২. নিজের মান বজায় রাখা
    ৩. ক্লাইন্ট/পরিচিতদের জন্য উপদেশের ব্যবস্থা রাখা
    ৪. নিয়মিত যোগাযোগ
    ৫. অন্যান্য ফ্রিলান্সারদের কমিউনিটিতে অংশগ্রহন

  3. টিউটো ভাই একটা বিষয় বুঝতে পারছিনা ব্লগিং ও ক.হার্ডওয়্যার এই দুটো নেভ মেনুতে ক্লিক করলে সেম পেজ আসে কেন?

  4. ভাল লাগল ভাই, লেখাটি। আপনাকে স্বপ্নলোকে স্বাগতম। যদি সময় পান, ঘুরে যাবেন।
    আর যদি আপনার লেখা সেখানে প্রকাশ করেন, খুশি হবো।

    1. @jewel,ভাল লাগলো আপনার স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে। আমি এক সময় অনেক স্বপ্ন দেখতাম। ভাবতাম -আমি যদি এই হতাম তাহলে ঐ করতাম। আমি কিছুই হতে পারি নি..কিছুই করতে পারি নি।

Leave a Comment