ফিড এর প্রোগ্রামিং দিক: পর্ব দুই

আগের পর্বে আমরা মূলত: আরএসএস ফিডের প্রাথমিক একটা আলোচনা শুরু করেছিলাম। এখানে আরএসএস এর কাজের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো  এবং ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিব।

আরএসএস ফিড কিভাবে কাজ করে?

আগেই বলেছি-আরএসএস বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কনটেন্টগুলো শেয়ারের জন্য ব্যবহার করা হয়। এজন্য ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলোর (আরএসএস নিয়মানুযায়ী) .xml ফাইল বানিয়ে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হয়। এই এক্সএমএল ফাইলটিকেআরএসএস aggregator দিয়ে রেজিস্টার করলে প্রতি দিন ফাইলটির আপডেট সংগ্রহ করে,জমা করে এবং অণ্য সাইটগুলোতে সরবরাহ করে।

একটি ছোট আরএসএস উদাহরণ

<?xml version=”1.0″ encoding=”ISO-8859-1″ ?>
<rss version=”2.0″>

<channel>
<title>W3Schools Home Page</title>
<link>http://www.w3schools.com</link>
<description>Free web building tutorials</description>
<item>
<title>RSS Tutorial</title>
<link>http://www.w3schools.com/rss</link>
<description>New RSS tutorial on W3Schools</description>
</item>
<item>
<title>XML Tutorial</title>
<link>http://www.w3schools.com/xml</link>
<description>New XML tutorial on W3Schools</description>
</item>
</channel>

</rss>

এখানে দেখতেই পাচ্ছেন

শিরোনামের ক্ষেত্রে <title> </title>

লিংকের জন্য <link></link>

এবং কনটেন্টটির জন্য <description></description>

ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।

নিচের নিচে একটি ছোট এক্সএমএল ফাইলের কোডের আউটপুট দেখানো হলো

<?xml version=”1.0″ encoding=”ISO-8859-1″ ?>
<!– Edited by XMLSpy® –>
<rss version=”2.0″>
<channel>
<title>TutorialBD Home Page</title>
<link>http://www.tutorialbd.com</link>
<description>Free web building tutorials</description>
</channel>
</rss>

আউটপুট

TutorialBD Home Page
Free web building tutorials
RSS Version: 2.0

(পূর্বের পোস্টের একটি কমেন্ট: যার ওয়েবসাইট আছে তারই আরএসএস ফিডের ব্যবস্থা করা উচিৎ বলে মনে করি। পৃথিবীর সবওয়েবসাইটের অবশ্য আরএসএস ফিডের ব্যবস্থা নাই শুধু মাত্র ব্লগ ও আরো কিছু সাইটে ফিডের ব্যবস্থা দেখা যায়। প্রয়োজনীয়তার বেপারটা এভাবে বলতে হয়-টিউটরিয়ালবিডিতে একটি পোস্ট প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে তা ৩০০+ লোকের কাছে ইমেইল হিসেবে চলে যায়। ২০০+ সাইট থেকে পোস্টির শিরোনাম দেখা যায়। ২০০০+ টুইটার ফলোয়ারের চোখে পোস্টির লিংক সহ শিরোনাম ভেসে আসে, আর ফেসবুকের ৫০০+ জনের প্রোফাইলে দেখা যায় পোস্টির শিরোনাম। এটা সয়ংক্রিয় ভাবে কারো হাত ছাড়াই করা সম্ভব শুধু আরএসএস ফিডের সার্ভিসের মাধ্যমে। তাই যাদের ওয়েবসাইট আছে তাদেরকে অবশ্যই আরএসএস ফিডের সুবিধা থেকে নিজেকে দুরে রাখার মতো বোকামী করা উচিৎ না। আর যাদের সাইটগুলো ব্লগ নয় বা আরএএস ফিড বানায় নি তারাও চাইলে আরএসএস ফিড বানিয়ে সেটা ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করতে পারে। আমার আরএসএস টিউটরিয়ালের সাথে থাকুন..ধন্যবাদ।)

6 thoughts on “ফিড এর প্রোগ্রামিং দিক: পর্ব দুই”

  1. টিউটো ভাই আর এস এস ফিড এর পুরো বিষয়টা আমি ক্লিয়ারনা।একদিন কি আমাকে একটু সময় দেয়া যাবে আর এস এস ফিড এর বিষয়টা নিয়ে শেয়ার করার জন্য?

    1. @নিঝুমদ্বীপ, আগে টিউটরিয়ালগুলো শেষ করি। আশা করি অনেক কিছুই বুঝা যাবে। যেসব বিষয় না বুঝতে পারেন তা একটু একটু করে কমেন্টস এ লিখলে সমাধান দেওয়ার চেস্টা করবো। আলাদাভাবে সময় অবশ্য দেয়া যাবে। ধন্যবাদ, মাসুমুল।

  2. ব্লগের আর.এস.এস ফীড তৈরি করা একদম সোজা। আমি শুধু ঐটাই পারি। 🙂 আর বাংলাদেশি ভিজিটরদের ক্ষেত্রে ই-মেইল আর.এস.এস বেশি কার্যকর।
    .-= ইমতিয়াজ মাহমুদ´র শেষ পোস্ট: >>৫টি ফ্রী এবং মানসম্মত অনলাইন কোড এডিটর =-.

    1. @ইমতিয়াজ মাহমুদআমি আসলে ব্লগের আরএসএস ফিড বার্ণ করা নয়, ফিডএর এক্সএমএল ফাইল বানানোর উপর টিউটরিয়াল লিখছি। এর মাধ্যমে ব্লগ ছাড়াও নিজস্ব ওয়েব সাইটের ফুড সুবিধা দেয়া যাবে। ধন্যবাদ,ইমতিয়াজ।

Leave a Comment