তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ণ ও দূরশিক্ষনে প্রভাব

ভাব আদান প্রদানের মাধ্যমটা মূল বিষয় হিসেবে দেখা গেলেও তথ্য প্রযুক্তির নিশ্চুপেই শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। আর এই পরিবর্তনে অনেকেই ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থা হয়তো আরও ব্যাপক কিছু নিয়ে আসবে। আর এই ধারাবাহিকতার বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন ইনফোগ্রাফীর মাধ্যমে। OnlineEducation.net এর এই গ্রাফটিতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া আছে তারই কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা টেলিভিশনের মাধ্যমে পড়ালেখার ব্যবস্থাপনা তৈরী করেন যা পরবর্তিতে বিভিন্ন দেশ অনুসরণ করেন।

১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সময়টাতে ইন্টারনেট অনেকের কাছে পৌছাতে থাকে। ১৯৮৯ সালে ফনিক্স ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যেই ই-লানিং এর একটি অবককাঠামো তৈরী হয়ে যায়।

২০০৪ সালে সালমান খান বিশ্বের ইউটিউবের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিনত হন। তার তৈরী খান একাডেমীতে বিনা খরচে অনেক অনেক বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে।

এছাড়াও মাইক্রসফট, সিসকো, র‌্যাডহ্যাট, নিউ হরিজনসহ বিশ্বে অনেক অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট  ব্যবস্থাপনা তৈরী করেছেন। যা এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলারের শিক্ষামার্কেটে পরিনত হয়েছে। ইনফোগ্রাফীতে দেখতে পাবেন।

তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ণ ও দূরশিক্ষনে প্রভাব

আমি নিজেও কয়েকজনকে নিয়ে বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। টিউটোরিয়াল বিডির মাধ্যমে এ দেশে প্রথম শিক্ষাভিত্তিক বাংলা ওয়েবসাইটের কাজে হাত দেই ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের দিকে।  বিভিন্ন বাংলা ব্লগগুলোতেও অনেকেই স্ব-প্রনোদিত হয়ে টিউটোরিয়াল লিখে যাচ্ছেন। আশা করা যায় এ দেশে শিক্ষা বিস্তারে অনলাইন ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।

2 thoughts on “তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ণ ও দূরশিক্ষনে প্রভাব”

  1. “আশা করা যায় এ দেশে শিক্ষা বিস্তারে অনলাইন ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।”

    একটা সময় ছিল যখন ইন্টারনেট মানেই ছিল ৯০% পর্ণোগ্রফি আর বাকি ১০% অন্য জিনিস (মেইল/অফিসিয়াল সাইট ইত্যাদি)। এই মুহুর্তে ইন্টারনেট মানে এত বিশাল একটা কিছু যার উদাঃ এই পোস্টে কিছুটা হলেও পাওয়া যায়।

Leave a Comment