বিজ্ঞ কবি হুমায়ুন আজাদ এর জীবনী

হুমায়ুন আজাদের একুশে পদকপ্রাপ্তি ও তাঁর মামলার বিচার | মতামত

হুমায়ুন আহম্মেদ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ই নবেম্বর ততকালিন পূর্ব- পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তরগত নেত্রকোনা জেলার মহকুমার মহনগঞ্জে তার মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহন করে।তার পিতা শহিদ খোয়েজুর রহমান আহম্মেদ এবং মাতা আয়শা খোয়েজ।তার পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।এবং তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্বের সময় ততকালিন পিরোজপুর মহকুমার এইস ডিপিও উপ- বিভাগিয় পুলিশ বিভাগে অফিসার হিসাবে কর্তবর্তরত অবস্থায় শহিদ হয়।

শিক্ষক হুমায়ুন আজাদ, যখন আমি তাঁর ছাত্র | arts.bdnews24.com

কিন্তু তার বাবা সাহিত্য অনুরাগী মানুষ ছিলেন।তিনি পত্র- পত্রিকা লেখালেখি করতেন এবং বগুরায় থাকাকালিন তিনি একটি গ্রন্থ ও প্রকাশ করেন।গ্রন্থটির নাম দ্বীপনোবা যার যরে।তার মাও মাঝে মাঝে লেখালেখি করতেন।তার রচিত গ্রন্থ থেকে দেখা যায় যে তার ছোটবেলায় নাম ছিল সামসুর রহমান।এবং ডাক নাম কাজল।হুমায়ুনের ভাষায় তার বাবা নাম পরির্বতন করতে পছন্দ করতেন। তার বাবা তাদের সবার নাম অনেকবার পরিবর্তন করে।তার বাবা বিভিন্ন জায়গায় থেকে কাজ করতেন তাই হুমায়ুন আহম্মদের বিভিন্ন জায়গায় লেখাপড়া করার সুযোগ পায়।

হুমায়ুন আজাদ - উইকিপিডিয়া

তিনি বগুরা জেলা স্কুল থেকে মেট্রিক পরিক্ষা দেয়।এবং রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।এরপর তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সাইনস বিভাগে ইন্টার পাশ করেন।এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেনিতে বিএসসি সম্মান এবং এমএসসি ড্রিগ্রি লাভ করেন।

Humayun azad poems in 2020 | Bengali poems, Word art quotes, Bengali love  poem

তিনি মহিয়সিন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।এরপর তিনি মার্কিং যুক্তরাষ্ট্রে নর্থ ডাকড ইস্টেট ইউনিভারর্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষনা করে ডক্তরের ড্রিগ্রি লাভ করেন।১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাসক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন।এই কর্মরত অবস্থায় তিনি প্রথম’ তোমাদের জন্য ভালোবাসা ‘ রচনা করেন।এরপর ১৯৭৪ সালে তিনি অধ্যপনা ছেড়ে দেন। হুমায়ুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় প্রথম সাহিত্য জীবন শুরু করেন উপন্যাসটি গলো ” নন্দিত নরকে”।

News 2 Blog 24: অনিরুদ্ধ হুমায়ুন আজাদ by নওশাদ জামিল

এরপর” শংখ নীল কারাগার”তার দ্বিতীয় গ্রন্থ।এই পর্যন্ত তিনি দুইশটির মত গল্পগ্রন্থ রচনা করেছে।হুমায়ুন তার জীবন দশায় দুইবার বিবাহ বন্দনে আব্দব হয়েছেন।তার প্রথম স্ত্রীরনাম গুল্তিকির আহমেদ।তাদের বিবাহ হয় ১৯৭৩ সালে।তাদের তিন মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছে। তিনি ১৯৯০ সালের শেষ দিকে চলচিত্র করেন।এই চলচিত্রের নাম “আগুনের পরশ মনি”।এরপর ২০০৫ সালে তাদের পারিবারিক ঝামেলার কারনে বিচ্ছেদ ঘটে।এবং ওই বছরেই তিনি সাওনকে বিয়ে করেন।

সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ, যখন আমি… (কিস্তি ৯) | arts.bdnews24.com

এই সংসারে তার তিন জন সন্তান হয়।এরপর ২০০৪ সালে নির্মান করে “শ্যমল ছায়া” চলচিত্রটি।এই চলচিত্রটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০০৮ সালে তিনি “আমার আছে জল” চলচিত্রটি করেন।এছাড়াও ২০১২ সালে তার শেষ ছবি গেটুপুত্র কমলা। এছাড়াও তিনি অসংখ্য নাট্যরচনা, গল্প, রচনা করেন।এরপর তার টিউমার ধরা পরে এবং এটি নিয়ে অনেক দিন চিকিৎসার মাধ্যেমে জীবন অতিবাহিত করেন।এবং ২০১২ সালে ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরন করেন।

Leave a Comment