Apex কম্পানির ইতিহাস

অ্যাপেক্স কম্পানিটি বিশ্বব্যাপি জুতা রপ্তানির জন্যই খ্যাত নয় এটি চামড়া প্রস্তুতকারীর জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়।এছাড়াও এই অ্যাপেক্স এর মোট সাতটি কম্পানি রয়েছে সারা বিশ্বে।নিজের দেশের মানুষের জন্য তিন মিলিয়ন জুতা তৈরি করে এই কম্পানিটি।এই কম্পানির ছোট থেকে বড় হওয়ার কাহিনী জেনে আসি। সর্বপ্রথম মাত্র পনেরো হাজার টাকা নিয়ে। আর যার হাত ধরে এটি তৈরি হয়েছে তার মাসিক বেতন ছিল মাত্র চারশ টাকা।

এই অ্যাপেক্স কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুর এলাহি।সৈয়দ মঞ্জুর এলাহির জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। তার পিতা নাছিম আলী ছিলেন একজন মুসলিম হয়েও ভারতের হাইকোটের প্রধান বিচারপতি। আর তার মা ছিলেন সরিফা আলী একজন বির্দশী নারী। তিনি তার বাবাকে বেশি দিন পায় নি। তার যখন মাত্র চার বছর বয়স তখন তার বাবা মারা যায়। সৈয়দ নাসিম আলীর লেখাপড়া জীবন এক জায়গায় শেষ হয়েছে বলে বলা যায়।তার প্রাথিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত একই বিদ্যালয়ে শেষ হয়।বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত ১৮৬০ সালে। এর নাম সেন্ট জেবিয়ার্স কলেজে।সেখান থেকে ১৯৬২ সালে বিএ পাশ করে চলে আসে ঢাকায়।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে অর্থনিতীতে এমএ পাশ করেন তিনি।

এমএ পাশ করার পর এখন কর্মজীবন শুরু করবেন তিনি।তিনি সরকারি চাকরির জন্য যায় সেখানে একজন পরিচিত লোকের সাথে তার দেখা হয় এবং লোকটি তাকে ব্রিটিস আমলের এক কম্পানিতে যেতে বলে এবং সে সেখানে যায় ইন্টারবিউ দিতে। তিনি সেখানে গিয়ে দেখে তিনি বাদে সবাই ইংরেজ।অনেক জন লোকের পর তার ডাক এলো তিনি গেলেন তাদের কাছে। স্যাররা তাকে প্রথমে বলল কত টাকা বেতন চান তিনি সে আগের বেতন চারশ বেভে একটু বাড়িয়ে বলেল নয়শ টাকা।

এই কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলেন। তিনি ভাবলেন বেশি চেয়ে ফেলেছে তাই পরে বলে ছয়শ হলেই হবে।এখন এক স্যার বলে এই খানে সর্বনিম্ন বেতন ঊনিশ টাকা।তিনি শুনে অবাক হয়ে গেলেন।এরপর টানা ৫ বছর কাজ করে সেখানে।১৯৭২ সালে তিনি এই চাকরি ছরে দেয় এবং শুরু করে নিজের সাথে লড়াই। এবং এই চোচল্লিশ বছরে গড়ে তুলে আজকে এই বিশাল কম্পানি অ্যাপেক্স।তিনি শুরু করে চামড়া ব্যবসার কাজে।

এরপর তাকে অনেক কষ্টে পরতে হয়।তার মালামাল শুধু জাপানে যেত কিন্তু ১৯৯২ সালে জাপানের এক বড় লস হওয়ায় নাসিম আলীর ও অনেক বিপর্যের মুখে পরতে হয়। তিনি চলে যায় ইতালিতে। তারা বলে চামড়া ঠিক আছে। সেখানে তারা জুতা দিতে থাকে কিন্তু চায়নাদের মাল অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করায় তার উৎপাদন কমে গিয়েছে। ১৯৯৩-১৯৯৫ পর্যন্ত তার অবস্তা অনেক খারাপ যাচ্ছিল।

তারা ভালে মানে জুতা তৈরি করতে পারছিল না আর্থিক অবস্থার কারনে।এরপর তিনি চায়নায় গিয়ে ব্যবসা করার কথা ভাবেন। কিন্ত একজনের কথায় তিনি বাংলাদেশে আসে এবং এই খানে কম্পানি চালুু করে কম্পানির নাম দেয় অ্যাপেক্স। এটি ছিল তার জীবনের র্টানিং পয়েন্ট।তিনি পৌছে গেলেন উন্নতির চূড়ায়। তিনি এই কম্পানির পাশাপাশি সামাজিক কাজে অনেক অবদান রাখে।

Leave a Comment