অ্যামাজন কম্পানির ইতিহাস

1.জেফ বেজস হাত ধরে Amajon কম্পানির সুরু(১৯৬৮-১৯৯৪)

জেফ বেজস তিনি ১৯৬৪ সালে ১২ই জানুয়ারি নিউ কেস্ক্রিকোর আল বুকারকি শহরে জন্মগ্রহন করে। জন্ম সুত্রে তার বাবা টেট জার্গেন সন। এবং তার মায়ের নাম জ্যাকালেন বেজস। তার বাবা টেট জার্গেন সন একজন ইউনিসাইক্লিস্ট ছিলেন। টেট শিশু কাল থেকেই জাতীয় পর্যায়ের অনেকগুলো অনুষ্ঠানে তার প্রতিভার প্রমাণ করে গিয়েছেন। টেট যখন জ্যাকলিন কে বিয়ে করে তখন টেট এর বয়স মাত্র ১৮ বছর এবং তার তার স্ত্রীর বয়স ১৭ বছর। তারা দুইজনই তখন হাই স্কুলের গন্ডি পার করেছিলেন। টেট জারর্গেন সন একজন মদ্যপানীয় ছিলেন। তার সাংসারিক কাজে কোনো মনোযোগ ছিল না। তাই তাদের একটি সন্তান নিয়ে বসবাস করা জ্যাকলিনের কাছে সম্ভব হচ্ছিল না।

অতপর কিছুদিন পর তারা দুইজন আলাদা বসবাস কারা শুরু করে। তারপর বিয়ের ঠিক ১৭ মাসের মাথায় জ্যাকলিন ডিবস এর জণ্য আসে। টেট কোনো কিছু না বলে ডিবস দিয়ে দেয়। এবং তার সন্তানের ও খরচ তিনি চালানোর কথা দেয়। কিন্তু পরর্বতীতে তার আর্থিক অবস্থার কারনে সে তার বার বহন করতে পারে না। তাদের ডিবস এর তিন বছর পর জ্যাকলিন মাইল বেজস কে বিয়ে করে। মাইক বেজস এর জন্ম কিউবাতে। তিনি পনেরো বছর বয়সে আমেরিকায় পালিয়ে আসে এবং এখানে কাজ শুরু করে। তারা দুইজন বসবাস করলে একসময় তারা জেফ বেজসকে দত্বক নিতে আসে। তারপর তারাই তাকে লালন পালন করে। সাধারন মানুষের মতো জেফ কোনো সাধারন ফ্যামিলির ছিলেন না। তার জন্মের সময় তার মায়ের পচিশ একর এর মতো সম্পত্তি ছিল মালিক ছিলেন। জেফ তার পড়ালেখার প্রথম মূহুতো কাটিয়েছেন ইউস্টনের লিভার অক্স অ্যালিমেন্টারি স্কুলে। তিনি এই স্কুলে ৪র্থ শ্রেনি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনি পর্যন্ত পরেছেন। তিনি গ্রীষ্মকালে তার নানার বাড়িতে কাটাতেন এবং সে অবসর সময়ে ফার্মে কাজ করতেন।

এবং পরর্বতী সময়ে তার এগুলে অনেক কাজে লাগে।তিনি তার নানাকে অনেক অনুকরন করতেন। পাশাপাশি তিনি ঘরে বসে বসে ম্যকানিস এর কাজ করতেন। তার এর প্রতি অনেক আগ্রহ ছিলেন। তিনি স্ক্রু দিয়ে খাচা বেঙে ফেলতেন। এবং এই বয়সে তিনিএকটি অ্যালাম তৈরি করেছিলেন। মূলত তিনি তার ছোট ভাই বোন কে নিজের ঘর থেকে দুরে রাখার জন্য এই অ্যালামটি তৈরি করেন। জেফ নিজের ঘরকে ছোটকাল থেকেই একটি ল্যাবটেরি বানিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরর্বতীতে তার বাবা এগুলোকে একটি গ্যারেজে সরিনে নিতে বলেন। তার বই পড়ার প্রতি ছিলেন তীব্র আগ্রহ যার কারনে তিমি ক্লাস ৬ষ্ঠ শ্রেনিতেই একটি ব্যবসা দিয়ে ফেলেন। তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন ” দ্য ড্রিম ইনিস্টিটিইট”। এটির ছিল একটি সামার ক্যাম্প। এই সামার ক্যাম্পে অংশগ্রহন করার জন্য নিদিষ্ট কিছু বই পরতে হতো। তারপর তার ফ্যামিলি ফ্লোরিডায় চলে যা। সেখানে তাকে মিয়ামি পাল মেডো সিনিসর স্কুলে ভর্তি করানো হয়।এখানে তিনি অ্যাকাডেমিতে অনেক ভালো করতে থাকেন এবং একসময় তার কম্পিউটারেপ্রতি প্রবলম সৃষ্টি হয়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৮২ সালে তিনি ইউনিভারসির্টি অফ ফ্লোরিডা সাইন্স পোগ্রামে তিনি আমন্ত্রিত হয়।নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সিলভার নাইট পুরুষ্কার পান।

তিণি তার হাই স্কুলে সর্বচ্চ নাম্বার পাওয়ার জন্য পুরুষ্কার পায়।এরপর তিনি ইউনিভারসির্টি অফ প্রিন্সটন থেকে পদার্থতে স্নাতক করতে চায়। কিন্তু তা পরে পরিবর্তন করে। তিনি চায় তার পছন্দের বিষয় থেকে কম্পিটার অফ সাইন্স এ পরে। এরপর তিনি একই সাথে কম্পিউটার অফ সাইন্স বিষয়ে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ড্রিগ্রি লাভ করে।তিনি শুধু সামার জব করতেন। শুধু গ্রীষ্মকালে চাকরি করতেন। তার চাকরির দিকে তাকালে দেখা যায় যে তিনি প্রথমে ট্রেকনলেজি ফার্মে কাজ করলেও পরর্বতীতে তিনি বিজনেস ফার্মে কাজ করে।কিন্তু সে এই দুই ধরনের কাজেই সফলা অর্জন করেছেন।এরপর তিনি আর একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে যে প্রতিষ্ঠান থেকে একদম ভিন্ন। এই প্রতিষ্ঠানটি ভিবিন্ন পুজি বাজারের সাথে ই-মেইল তৈরি করতো।পাশাপাশি তারা স্টক মার্কেট নিয়ে ও গবেষনা করতো।এরপর তিনি বিয়ে করে মেক এনজি বেজস কে। তার স্ত্রী মেক ছিলেন একজন উপন্যাসক।জেফ ১৯৯৪ সালে অন্য একটি কম্পানির জন্য অনেক গবেশনা করে।

2.Amajon কম্পানির উন্নতি ও বিস্ববেপি প্রচার(২০০০-২০২০)

অতপর সে অনলাইনে প্রডাক বিক্রির সম্ভাবনা পেয়ে যায়। তারপর তিনি চাকরি ছেরে দেওয়ার সিদান্ত নেয়।তার স্ত্রী ও তার সাথে চাকরি ছেরে শুরু করে অনলাইনের কাজ। এবং সেখানে সল অ্যামাজনের কাজ শুরু করে যেখানে প্রায়বিশ ধরনের প্রডাক বানায় তারা। এইগুলোর মধ্যে তিনি বই বিক্রি করার সিদান্ত নেয়। তার এই কাজে ভুমিকা রাখেন তার মা এবং বাবা।তিনি ১ মিলিয়ন ডলার নিয়ে অ্যামাজনের যাত্রা শুরু করে।তারা একটি গ্যারেজকে মাল দিয়ে ভরার পর শুরু হলো কর্মী নিয়োগ।১৯৯৫ সালে অ্যামাজন চালু হওয়ার পর তাদের ৩০০ জন কর্মীকে বিশ্বের ভিবিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যেতে বলেন। কিন্তু কখন এত ভালো চলছিল না কারন তাদের সপ্তাহে ৬০ ঘন্টার ও বেশি কাজ করতে হতো।

তারপর জেফ পরিকল্পনার মাধ্যেমে অ্যামজনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৯৭ সালে তাদের ৩ মিলিয়ন আটকে পরে যার ফলে তারা প্রডাক সব জায়গায় দেওয়া সিদান্ত নেয়।এরপর ১৯৯৮ সালে তিনি অনলাইনে খেলনা কেনার ব্যবস্থা করে।এবং তার কর্মীদেরকে কমিশনের ব্যবস্থা করেন।

এরপর ১৯৯৮- ২০১৭ সাল পর্যন্ত অ্যামাজনের অধিক গ্রহন করা কম্পানির সংখ্যা ৪৪ টি।এই বছরে জেফ গুগোলে ২লাখ পঞ্চাশ হাজার মিনিয়ন ডলার খরচ করে যার বর্তমান মূল্য এখন ৩.১ মিলিয়ন ডলার। আস্তে আস্তে অ্যামাজনে ৩০০ হাজার ব্যান্ড যুক্ত হয়।এরপর অ্যামকনের ব্যান্ড সকল উন্নয়নশীল দেশে ছড়িয়ে পরে। তার বর্তমান সম্পদ ১০৫.১ বিলিয়ন ডলার।

Leave a Comment