নায়ক আমির খান এই জীবনী

আমাদের ভারতিউও সেরা নায়ক আমির খান যার নানা বারি ছিল আমাদের বাংলাদেশেই ।

আমির খান ১৯৬৫ সালে ১৪ ই মার্চ মুম্বাই শহরের বান্দ্রার ‘ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে’ এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করে। তার পুরো নাম আমির হোসেন খান। তার বাবার নাম হচ্ছে তাহির হোসেন খান। তার বাবা ছিলেন চলচিত্রের পরিচালক। তার মা জিনাদ হোসেন খান ছিলেন একজন গৃহীনি। তার ফ্যামেলির দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড়। তিনি হলেন ভারতের এক সময়ের রাষ্ট্রপতির ডাঃ জাকের হোসেন এর বংশদর। আফগানিস্তান থেকে তার পূর্বপুরুষরা ভারতে এসে বসবাস করতে শুরু করে।

আমির খানের লেখাধুলা ছিল অধিক পছন্দের। তার প্রিয় খেলা ছিলেন টেনিস খেলা। একবার সে টেনিস খেলায় চ্যাম্পিয়ান হয়। কিন্তু খেলায় তার জীবন কাটানোর বিলাসিতার জীবন ছিল না তার। তার ছোটকাল থেকে অনেক আর্থিক অবস্থায় কেটেছে তার। তার বাবার কাজের ওই খানে চস হওয়ায় তার পরিবারকেঅনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যথা সময় মতো সে টাকা দিতে পারতেন না। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে তার লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে।তার সামনে তার বাবার এমন খারাপ অবস্থা দেখে সে সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি। তিনি কী করবেন বুজছিলেন না। তিনি ভাবেন আর যাই হোক তিনি ভুলেও চলচিত্র জগৎতে পা বাড়াবেন না। এছাড়াও তার পরিবার চাইছিল চলচিত্রে না গিয়ে কোনো ডাক্টার কিংবা ইন্জিনিয়ারিং হোক। কিন্তু এক বাঙালি ছেলের পাল্লায় পরে সে চলচিত্র জগতে আসে। ছেলেটির নাম হলো আদিত্য ভট্টা চার্য।

তার নানা ছিল পরিচালক কালজয়ী বিমল রায়। তার জন্ম পুরান ঢাকায়। সে তার নানাকে দেখার সুযোগ হয় নি। কারন তার জন্মের কয়েকদিন পর তার নানা মারা যায়। তার বংশ অনুসারে সেও চলচিত্রতে পরিচালক হয়ে যায়। তারএর জন্য তার বন্ধু আমির খানকে বলেন তার ছবিতে অভিনয় করতে। কিন্তু আমিরের মোটেও কোনো ইচ্ছা ছিল না চলচিত্রের সাথে জরানোর। আদিত্য তো আমির খানের ছবি দিয়ে চলচিত্র বানাবেই। এই কারনে আমির খানকে বোঝাতে লাগলেন। এরপর ছবি বানাতে রাজি হয় তিনি।

কিন্ত তার মা বাবার ইচ্ছা ছিল না। তাকে বুঝিয়ে ছবি করা শুরু করে। ছবিটির নাম ছিল ” প্যারানয়া”। এই চল্লিশ মিনিটের এক ছবি। যার সাহায্যে প্রকাশে এলেন আমির খান। এরপর তার মনে সাহস জাগে। সে কিছুদিন পর যোগ দেয় চলচিএ জগতে। কিন্তু কোনো চলচিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু তার বন্ধু আদিত্য তাকে সে সুযোগ এনে দেয়। ” রাক” চলচিএে সে মুখ্য চরিএে অভিনয় করে। এরপর কেয়ামত সে কেয়ামত এবং পাপা কেহেতেহে বাড়া নাম কারেগা ” এই চলচিত্রের মাধ্যেমে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর সকল পরিচালক তাকে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। সাথে সাথে তিনি নয়টি ছবিতে নাম লেখায়। তারপর তার তাকে কোনোদিন পিছে ফিরে তাকাতে হয় নাই তাকে। এছাড়াও তিনি চলচিত্র ছাড়াও সামাজিক অনেক কিছুতে অবদান রেখেছেন। তার জন্য এখন হাজার হাজার মেয়ে পাগল থাকেও তার প্রথম প্রেমিকা তাকে না করে দেয়। সবষেয় ২০০২ সালে পছন্দ করে রিনা খান কে। তিনি একটি হিন্দু মেয়ে।

কিন্তু কিছুদিন পর তাদের সম্পকে ফাটল ধরে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের জীবন। তারপর সে মদের মধ্যে ডুবে থাকতেন। তারপর তার জীবনে আসে কিরন রাও। তার সাথে কিছুদিন থেকে আবার আতিনি বিয়ে করে। কারন তার স্ত্রীর বাচ্চা না হওয়ার তা কাছ থেকে বাচ্চা নেয়। আমির খান কোনো চলচিত্রের জন্য একটি টাকাও নেয় না।

তার ছবি চলার পর যা টাকা উঠে সেখান থেকে একটি বড় পারসেন্টিস নেয়। তার যদি ছবিতে টাকা না উঠে তাহলে কোনো টাকাই নেয় না তিনি।এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে তার মাকে নিয়ে মক্কায় হজ করতে যায়।

Leave a Comment