বাংলাদেশের সেরা ইলেক্টনিক্স ব্রেন্ড ”Walton”(ওয়াল্টোন)এর ইতিহাস

ওয়ালটন প্রতিষ্ঠানটি ইলেকট্রনিক জিনিস বাজার জাত করনের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান।

এই ওয়াটন প্রতিষ্ঠাতাঁর নাম হল চেয়ারম্যান এস এম ”নজরুল ইসলাম”(Cherman S.M Nojrul Islam)

তাঁর জন্ম ১৯২৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের গোসাই জোয়াইর গ্রামে। তার পিতা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। সেই বাবার হাত ধরেই তার এই ব্যবসা লাইনে ডোকা। তিনি সর্বপ্রথম টিনের ব্যবসা দিয়ে আস্তে আস্তে গড়ে তোলে এই বিশাল সম্ররাজ্য। ব্যবসার সময় তার চারদিকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু তিনি এই সব সমস্যাকে সরিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দিনের পর দিন এগিয়ে গিয়েছেন। তার এই বুদ্বি ও সহসের মাধ্যমে কাজ করে বাংলাদেশি পন্য মেডিন বাংলাদেশ নামক প্রতিষ্ঠানটি সাধারন অবস্থা থেকে আজ আর্ন্তজাতিক পর্যায় পৌছে গেছে। বাংলাদেশের নাম আজ সারা বিশ্ববেপি সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি এবং তার বাবা মিলে স্বাধিনতার আগে ভারতের আসামের নৌপথে ব্যবসা করতেন। এরপর ব্রিটিস আমলে তিনি কিছুদিন কর্ণফুলির মেলের ঠিকাদারিতে কাজ করতে থাকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আরো কিছু ঠিকাদারির কাজ করতে থাকে। তারপর সে টাঙ্গাইল এ কিটনাশক ও সারের ব্যবসা করেন তিনি।তারপর তিনি টিনের ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন পর এই ব্যবসায় ও মন্দা দেখা যাচ্ছিল। তিনি ভাবতে থাকলেন কিভাবে আয় বাড়ানো যায়। এরপর তিনি নতুন করে ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসাটি ছিলেন ইলেকট্রন ব্যবসা। এটি প্রথম ট্যাইকন টেলিভিশন তৈরি ও বাজার জাত করন করে।

১৯৭৭ সালে তিনি একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। যার নাম দেওয়া হয় (Rijarvs and bradres) নামে একটি কম্পানি শুরু করেন। এর অন্যনাম হলো আরবি গ্রুপ। কিছুদিন এই কম্পানি চালানোর পর তিনি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠান করেন ওয়ালটন। আর তার এই হাত ধরে উপরে উঠা প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে আজকের ওয়ালটন কম্পানি।

যার নাম আজকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। বর্তমান এই প্রতিষ্ঠানটি গাজিপুরের চন্দ্রায় নিজিস্ব জমির উপরে গরে ওঠেছে এক বিশাল প্রতিষ্ঠান।

এইখানে দুইটি কম্পানি সকল ইলেকট্রনিক যাবতিয় জিনিস তৈরি করে সারা বিশ্ব জুরে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই কম্পানিতে হাজার হাজার লোক কাজ করে তাদের সাধারন জিবিকা নিবাহ করছেন।এছাড়াও প্রতি বছর এর আয় এর কিছু অংশ বিতরন করে শ্রমিকদের মাঝে।যা প্রতিটি কম্পানিদের এই ধরনের কাজ করনীয়।

এছাড়া এই কম্পানিতে নেই কোনো শিশু শ্রমিক। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাত রেখেছেন সকল ধরনের সামাজিক কাজে।এছাড়াও তিনি স্কুল কলেজ হাসপাতাল ইত্যাদিতে গুরুপ্তপূর্ন ভূমিকা পালন করে। তিনি ২০১৭ সালে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় মারা যায়।

Leave a Comment