কুরবানীর ঈদের সময় অনেক গরুর গোস্ত খাওয়া হয়। আর এটা কেউ থামাতেও পারে না। অনেকে আবার শুধুই মাংশ আর ময়দার রুটি খেয়ে থাকে। অধিক অধিক গোস্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু টিপস অনুসরণ করি।

১. ইসবগুলের ভূসিঃ
আমার কোস্ট কাঠিন্য থাকায় গরুর গোস্ত খাওয়ার পর পরই ইসবগুলের ভুসি খাই।
- এটা খাবারের সাথে আঁশ যোগ করে, ফলে কোস্টকাঠিন্য থেকে রেহাই দেয়।
- ইসবগুলের ভুসি কিছু চর্বিকেও বাইরে বের করতে সহায়তা করে।
- পেট ভরা ভাব সৃষ্টি করে খাবারের পরিমান কিছু কমাতে সাহায্য করে। আরো উপকারিতা নিচের ভিডিওতে দেখতে পাবেন।
২. সালাদ বেশি খানঃ
গোস্তের সাথে প্রচুর সালাদ খান। সালাদ পরিপাকে সহায়তা করবে। আমরা বাংলাদেশীরা কিন্তু শসা এবং টমেটোই সালাদে রাখি। আরো অনেক কিছুই রাখা যেতে পারে। গতানুগতিক সালাদ হওয়ায় একটু কম খাওয়া হয়। আমরা যদি বিভিন্ন আইটেম রাখি তাহলে হয়তো বেশি সালাদ খাওয়া হবে। আমি কয়েকটি আইটেম সিলেক্ট করেছি। চেষ্টা করবো এগুলো রাখতে-

- ১. টমেটো
- ২. গাজর
- ৩. শসা
- ৪. ব্রোকলি
- ৫. লেটুস পাতা
- ৬. ধনে পাতা
- ৭. সেলারী পাতা
- ৮. আপেল
- ৯. আঙুর
- ১০. লেবু
- ১১. টক দই

৩. একটা সব্জি পাক করাঃ
অন্ততঃ একটা শব্জি রান্না করা জরুরী। কোন কোন রোগের জন্ম এক দুইদিনের অনিয়ম করার জন্যই হতে পারে। আমি আশযুক্ত কিছু খাবারের তালিকা এইটা হেলথ ওয়েবসাইটে পেয়েছি, সেখানে প্রতিটির আশের পরিমানও উল্লেখ আছেঃ

৪. হাটাহাটি ও হালকা ব্যায়ামঃ
অনেকের কুরবানীর ঈদের পর ওজন বেড়ে যায়। হালকা ব্যায়াম এবং হাটাহাটি করলে সঞ্চয়কৃত খাবার থেকে অনেকটাই খরচ হবে এবং আরো বেশি গোস্ত খেলেও সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ।