এক ঘেয়ে কাজ করতে করতে কখনো জুটে যায় লম্বা ছুটি। আর এই ছুটির আগের কিছু ভুলের কারনে ফিরে এসে বিপদে পরতে হয়। কম্পিউটার ব্যবহারকারী স্টাফের জন্য কিছু টিপস যা বেশ জরুরী। আমি সাধারণতঃ টিপসগুলো মেইল করে দেই। মেইলে বিস্তারিত লিখতে পারি না। তবে এখানে একটু ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি।

১. ব্যাকআপঃ
অফিসে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয় ব্যাকআপ নেওয়াকে। কোন কোন ব্যক্তির এক বছর যে কাজ করেছে তাই হারিয়ে যায়।
কম্পিউটারের বিভিন্ন গুণাবলী বাড়লেও নির্মাতারা হার্ডওয়্যার রেইডসহ ল্যাপটপ বানায় না তেমন, লোকজন কিনেও না তেমন। তাই ম্যানুয়্যাল ব্যাকআপ নিয়ে নিতে হবে। অন্ততঃ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো অফিসের কোন ডিরেক্টরী বা অন্যের পিসিতে আরেকটা কপি রেখে যাবেন।
অনেক দিন বন্ধ থাকার পর অনেক সময়ই হার্ডওয়্যারের সমস্যা দেখা দেয়। তখন দ্রুত কাজগুলো করা যাবে।

২. পাসওয়ার্ড পরিবর্তনঃ
কম্পিউটার বা ইমেইলের পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়েবের পাসওয়ার্ডগুলো পরিবর্তন করে যাবেন। আপনার ব্রাউজারের সেভ করা পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য কেউ আপনার তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। আবার যাকে ভাল ভেবে কম্পিউটারের পাসওয়ার্ডটা দিয়েছিলেন সে কিন্তু ক্ষতি করতে পারে। বাসা তালা দেওয়ার মতোই এটি জরূরী।

৩. ইউপিস এবং পাওয়ার স্ট্রিপ অফ করাঃ
পাওয়ার স্ট্রিপসের সুইচটি বন্ধ করা এজন্য জরুরী যে অনেক কম ব্যবহারকারী হলে অনেক সময়ই ভোল্টেজ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার অফিসে কেউ নাই এমন অবস্থায় সামান্য একটা সর্ট সার্কিটের কারনে আগুন ধরে যেতে পারে।
অগ্নিকান্ডগুলো মানুষের অনুপস্থিতিতেই বেশি হয়।

৪. ল্যাপটপের ব্যাটারী খুলে রাখাঃ
অনেক বেশি দিন যদি আপনি বাইরে থাকেন, ধরুন ১৫ দিনের অধিক সময় বিদেশ ভ্রমনে যাবেন এবং ল্যাপটপটি রেখে যাবেন। এক্ষেত্রে ব্যাটারীটি খুলে রাখা জরুরী। তবে কিছু ল্যাপটপের ব্যাটারী খোলা ঝামেলার।
কিছু ব্র্যান্ডের ল্যাপটপরে আমি দেখেছি, ব্যাটারী লিকেজ হয় এবং এমন কমে যায় যে অনেক দিন বন্ধের পর ল্যাপটপটি কাজ করে না। দির্ঘসময় আবার চার্জ দিয়ে তারপর ঠিক হতে দেখেছি কিছু।