অনলাইনে নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করে চলা

সমাজে নিজের কাজ কর্ম ও সামাজিক দায় দায়িত্ব পালন করার উপর নিজের ভাবমুর্তি প্রকাশ পায়। আর অনলাইনে আমরা যারা বেশিভাগ সময় কাটাই তাদের অনলাইনে ভাবমূর্তির বেপারটা ভাবনায় আসে না অনেক ক্ষেত্রেই। অথচ আমরা যারা একটি অনলাইন সমাজে বসবাস করি তাদের এ বেপারটা ভালভাবে বুঝে চলা দরকার।

এ পর্যন্ত বাংলা কম্পিউটিং এর অনককেই এই ঝামেলায় পড়তে দেখেছি। ভাল লেখা পেলে প্রসংশার শেষ নাই আবার একটু খারাপ কিছু দেখলেই তার উপরে চড়াও হতে দেখা যায়। ফেসবুকে অনেক মেয়েই খারাপ ভাষার সম্মুক্ষিন হয়েছে বলে জানি। কিন্তু বেপারটাকে সিরিয়াসলি না নিলে সমস্যায় পরতে পারেন সবাই। আপনি যদি অনলাইনে আয়ের সাথে জড়িত (এডসেন্স বা ওয়েব ডেভলপিং) তাহলে বেপারটা আরও মারাত্বক আকার ধারন করতে পারে। আপনার আয়ের উপরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ঘটনাঃ

১. একজন ওয়েব ডেভলপারকে জানি যিনি বেশ অনেকগুলো সাইটের ডিজাইন করেছেন। তাকে বিভিন্ন ব্লগে সমালোচনা করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তার সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলা হয়েছে। কোন পোস্টে মতামতে ঝগড়া থেকেই সূত্রপাত হয়েছিল এরকম একটি আবহাওয়া।
২. ফেসবুকের আড্ডায় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে ব্লগ থেকে বিদায় নিয়েছেন একজন ব্লগার । নিজেই ব্লগ খুলে কাজ করছেন এখন।
৩. একজন ব্লগার বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে মানুষ কে উপকার করেন। এজন্য তিনি কোন টাকা নেন না। অথচ তার ব্লগের লিংকটি শেয়ার করতে গেলেই, সাবস্ক্রাইব করতে বললেই আলতু ফালতু মতামতের শিকার হতে হয়েছে। শেষে তিনি তার পোস্টগুলো ডিলিট করে চলে গেছেন ব্লগ থেকে।
৪. প্রথম আলো ব্লগে ৪/৫ জন ব্লগার রাজনৈতিক আক্রমনাত্বক কথা বলতে বলতে ব্যান হলো। আমি হাসলাম।
৫. আমি নিজেও আনুবাদ করা একটি পোস্ট নিয়ে ঝাড়ি খেয়েছি একটি ফোরামে।
৬. মোস্তফা জব্বার সাহেবের বেপারটাও অনেকের মনে আছে

কি কি কারনে অনলাইন রেপুটেশন খারাপ হয়

১. আলতু ফালতু বা জনমত বিরোধী কমেন্ট করলে
২. ফেইসবুক বা ফ্লিকারে ফালতু ছবি শেয়ার করলে
৩. ইউটিউব বা অন্যকোথাও খারাপ ভিডিও আপলোড করে শেয়ার করলে
৪. অন্যের পোস্ট কপি-পেস্ট, নিজের পোস্ট অনেক জায়গায় অনেক নিক নামে প্রকাশ করলে, এছাড়াও আপনার পাঠানো ইমেইল বা মেসেঞ্জারের চ্যাটিং কপি করে অন্য কেউ প্রকাশ করেও আপনার ভাবমুর্তি নষ্ট করতে পারে

কি কি ক্ষতি হতে পারে:

এক জন ফ্রিল্যান্সারের আনলাইন রেপুটেশন খুবই দরকারী জিনিস । আপনার সম্পর্কে সবার ভাল ধারনা থাকলে আপনার কাজ পেতে সহজ হবে। এডসেন্স পাবলিশারদের এডসেন্স একাউন্ট ব্যান করার জন্য উঠে পরে লাগে অনেকে। তাই অজাচিত ঝামলায় না জড়ানোই ভালো।

পরিত্রানের জন্য

নিজের আনলাইন রেপুটেশনের জন্য মাঝে মাঝে নিজের নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। ব্যক্তিগত তথ্য সমুহ নিরাপদে রাখুন। সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার চেস্টা করুন। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান অনলাইনে প্রকাশ না করার পরামর্শ দেব।

আপনাদের আর কি কি ধারনা আছে?

আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা বা ধারনা থাকলে বলুন। আশা করি আপনাদের মতামত লেখাটিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Leave a Comment