আগের দিনের কাজ এবং এখনকার মানুষের কাজ ভিন্ন ধরনের হয়ে গিয়েছে। শহুরে ব্যস্ত মানুষকে এক জয়গায় একই ভাবে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। দিন শেষে বিষন্নতা এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যাই ফলাফল।
মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে- বছরের পর বছর রিমোটলি কাজ করে যেতে হচ্ছে অনেককেই। কাছের লোকদের সাথেও অনেক দিন দেখা না হওয়ায় সামাজিকতা বর্জিত হচ্ছে অনেকে। নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কোন বিষয় শেয়ার করা হয়ে ওঠছে না কাছের মানুষদের সাথে।
[tutosubscribe]
শরীর ও মনকে চাপে রেখে প্রোডাক্টিভিটির পেছনে দৌড়ে আসল ফলাফল যে খুব সুবিধাজনক তা কিন্তু না। ব্যস্ত জীবন-যাপনের মধ্যেও সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে তালিকা করেছি বেশ কিছু পয়েন্ট যা আমার নিজের জন্য লেখা – নিজেকে গোছানোর জন্য বলা।

[tutoadsense]
১. হাটাহাটি করিঃ
বাসা থেকে অল্প দূরত্বের রাস্তায় হেটে চলার চেষ্টা করবো। এখন অফিসটা বাসা থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে, এর আগে এক কিলোমিটার দূরে ছিল তখন থেকেই আমি হেটে অফিসে যেতাম। অবশ্য দিন শেষে অনেকসময় রিকসা ভাড়া নিতাম।
হাটা একটা ব্যায়াম-সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটলে বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, হাটতে চাই কিন্তু হয়ে ওঠে না।
হাটার ২৫ টি উপকারিতার তালিকা করেছিলাম, পরে একসময় দেখে নিয়েন। তবে আমার কয়েকটা উপকার মনে আছে বলি,
হাটলে রোদে যাওয়া হয়-ইদানিং ইনডোর কাজ করতে করতে আমরা রোদেই থাকি না। ফলে হার দুর্বল হয়ে যায়। একাধারে কাজ করায় আমার ব্যাকপেইন হয়ে গেছে। তাই চেষ্টা করে বেশি হাটার।

[tutoadsense]
২. রোদে যাওয়াকে ভয় পাবো নাঃ
ইনডোর চাকরী করি প্রায় ১০ বছর। সব অফিসরুমেই এসি ছিল। এতে করে আমার শরীরের তাপমাত্রা দিনের বেলায় কম থাকে। রাতে বাসায় এসি নাই, ঘুমের সমস্যা হয়। ভাল ঘুমের জন্য দিনে রোদে থাকা জরুরী।
আবার বসে থাকতে থাকতে আমার ব্যাকপেইন শুরু হয়ে গিয়েছিল। হারের দূর্বলতা আছে। বসে থাকা লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগও বাড়ছে। হার গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম দরকার, ক্যালসিয়াম যোগান দেওয়ার জন্য দরকার ভিটামিন ডি। তাই অন্ততঃ রোদে কিছু সময় থাকবো।
রোদ পোহানোর জন্য সেরা সময় সকাল ও বিকাল। ভর দুপুরের রোদ কখনো স্কিন ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরী করে।

[tutoadsense]
৩. ভ্রমন করবোঃ
আমি দেখেছি ভ্রমণে গেলে অনেক কাজ করতে হয়। ভ্রমন বেশ পরিশ্রমের একটা কাজ। তো আমি যদি মাঝে মাঝে ভ্রমনে যাই তাহলে কায়িক শ্রমটা করা হবে। আবার নতুন কোন পরিবেশে বসবাসের জন্য নিজেকে খাপখাইয়ে নেওয়াটাও জরুরী। বলা তো যায় না, জীবনে কখন কোন পরিবেশে থাতে হয়।
প্রতি তিন মাসে অন্ততঃ একবার ভ্রমণ করা যেতে পারে-আত্নিয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়া, অফিসিয়াল ট্যুরে যাওয়া, নিজের গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া, কোন দর্শনীয় স্থানে যাওয়া। বছরে একবার করে হলেও তো চারটা ভ্রমন হয়ে যায়।

[tutoadsense]
৪. কিছু সময় নিরব পরিবেশে থাকুনঃ
আমি আসলে নিরব পরিবেশ পাই না তেমন। গবেষকরা বলেছে দিন অন্ততঃ দুই ঘন্টা নিরব ও কোন কাজ না করে স্থীর থাকা উপকারী।
অফিসে আমাকে প্রচুর ফোন রিসিভ করতে হয়। বাসায় এসে ছেলেকে বেশ সময় দেই। এর মাঝে নিরব পরিবেশ খুজে নিতে হবে।

[tutoadsense]
৫. নামাজ, বিশেষ করে ফজর ও এশার নামাজ (মুসলিমদের জন্য)
সব নামাজ পড়বো ইনশাল্লাহ। আল্লাহ তুমি আমাকে তৌফিক দান করো। বিশেষ করে ফজর ও ঈশার নামাজটা সারা দিনের রুটিনকে সুনির্দিষ্ট করে দেয়। আর সব নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে পড়লে, বাসা থেকে মসজিদ যাতায়াত বাবদ ৫*৫=২৫ মিনিট অন্ততঃ হাটা হয়ে যাবে। নামাজে ১০ মিনিট করে সময় লাগলে ৫০ মিনিট হালকা ব্যায়াম হয়ে যাবে।
আর যদি কিছু সময় জিকির করি তাহলে কিন্তু নিরব থাকার সময়টা পূরণ হয়ে যায়-তাই না? কি দারুন ব্যাপার। কিন্তু স্বাস্থ্য ভাল রাখার নিয়্যতে নামাজ যাতে না পরি। আল্লাহর আদেশ এবং তার প্রতি থ্যাংকফুল থাকা জরুরী, সেজন্যই যাতে নামাজ পড়ি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যাতে আমাকে মাফ করে দন।

[tutoadsense]
৬. প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াঃ
চাকরীটা গ্রামে হওয়ায় এখনও অনেক প্রাকৃতিক খাবার খেতে পারছি। বিকেলে চাচারা নিজের চাষ করা সব্জি নিয়ে বাজারে বসেন। তাদের কাছ থেকে মাঝে মাঝে শাক-সব্জি কিনি। দেশি ফল বেশ কমে গেছে। তবে এই গাজীপুরে প্রচুর লিচু, কাঠাল, লটকন, জাম, পেয়ারা পেয়েছি। খুব অল্প সময়েই শেষ হয়ে যায়-তাই আপনারাও দেশি ফল পেলে কিনে নিবেন।
দেশি ফল কোলেস্টরল কমায় নানান ধরনের উপকারী উপাদান থাকে যা যে কোন সময় পাওয়া যায় না। বছরে একবার এই ফল পাওয়া যায় তাই গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। একটা ব্যাপার দেখুন- বিদেশি ফলের একটা সুবিশাল মার্কেট আছে, সারাবছরই হয়। অথচ আমাদের দেশি ফলগুলো উপেক্ষিত।
[tutoadsense]
৭. হাসুন
হাসাহাসি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। আমি নাকি খুব কম হাসি। তাই আড্ডা ও হাসাহাসি আমাদের জন্য ভাল।
সম্ভবতঃ হাসাহাসি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং মন ভাল রাখতে সহায়তা করে। ব্লাডপ্রেসারের উপর হাসার প্রভাব আছে।
হাসাহাসি ক্যালরী বার্ন করে। আজকাল ব্যাস্তদের ক্যালরী বার্ণ করা জরূরী।

[tutoadsense]
৮. ভাল জিনিসের প্রতি ফোকাস রাখুনঃ
ইদানিং অতিরিক্ত তথ্য একটা ঝামেলার বিষয় হয়ে যাচ্ছে। চাইলেও তথ্য ফিল্টার করা যাচ্ছে না। আলতু ফালতু নিউজ সব চলে আসছে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো মানুষ এটা জানাকে আপডেট থাকা মনে করছে।
আমার নিজের উন্নয়নের জন্য যা জানা দরকার। আমার কাজের সাথে যার মিল আছে তেমন কনটেন্ট ছাড়া বাকিগুলা আগাছা। তাই ভাল জিনিসগুলো জানবো। আর অনেকে অনেক খারাপ কাজ করছে-সেই খবরগুলো স্কিপ করে যাবো। খারাপ জিনিসটা ছিলই না বা এমন খারাপ কিছু হতে পার- তা অজানা থাকাও জরূরী।
কিছু প্রোফেশনাল ট্রেনিং আছে, অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়, প্রতি মাসে কিছু কিছু কিনলে হয়তো খারাপ কনটেন্ট থেকে দূরে থাকা যাবে।

[tutoadsense]
৯. সময় মতো খাবার খান বিশেষ করে সকালের খাবার যাতে মিস না হয়
ব্যাচেলর ও অতি ব্যস্তরা সবচেয়ে অবহেলা করে সকালের খাবারকে। প্রতিদিন একই সময় খাবার খাওয়া উচিৎ। অনিয়মিত খাবার খেলে বদ হজম ও বমি হতে পারে। শরীর আমাদের খাবার হজম করার জন্য মুখ ও পরিপাক তন্ত্রে বিভিন্ন উপাদান রেডি রাখে। অনিয়মিত খাবার গ্রহনে খাবারের মাত্রা এবং হজম হওয়ার অন্ত্র রসের মাপ পাল্টে যায় তাই বদ হজমের সম্ভাবনা থাকে।
আবার তারাহুরা করে খাওয়া উচিৎ না। ধীরে ধীরে ভাল মতো চিবিয়ে খেলে এসডিটির সম্ভাবনাও কমে।

[tutoadsense]
১০. অন্যকে নিয়ে আলোচনা কমিয়ে দিবো, কাউকে ঘৃণা করবো না
ইফেকটিভ ব্যক্তিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য তারা অন্যদের নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করে না। নিজেকে নিয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থাকে এবং তাদের কাজের প্রকাশ দেশে অন্যরাই তাকে নিয়ে আলোচনা করে।
বর্তমানে সামাজিক নেটওয়ার্কের আসক্তির কারনে আমি নিজও ট্রেনডিং টপিকে বেশ আলোচনা করি। আসলে এই আলোচনা হোক নিজের প্রয়োজনে বা সমাজের প্রয়োজনে- এর চেয়ে বেশি ইফেকটিভ করা কিন্তু অনেকে করে যাচ্ছে।

[tutoadsense]
১১. ইউ আর গুড এনাফ
কিশোর থেকে যৌবন বয়সে নিজেকে নিয়ে অনেকে হ্যজিটেড থাকে। অনেকে হীনমন্যতায় ভোগে। হীনমন্যতার অন্যতম কারন নিজে যা না তা প্রকাশ করার চেষ্টা। ফলে নিজে যা তা প্রকাশের ভয়েও অবচেতন মনে হীনমন্যতা হানা দেয়।
অন্যের কাছে নিজেকে অনেক ভাল কিছু প্রমান করার চেষ্টা অন্যকে গুরুত্ব দেওয়া। আমি যা আছি তাই আমার জন্য ঠিক আছে। হয়থো আরো উন্নতি করার চেষ্টা করছি। কন্তু বর্তমানটা ভালই আছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাল আছি। এমন উপলব্ধি করলে জীবনটা আরো উপভোগ্য হবে।

[tutoadsense]
১২. ভুল হতে পারে
কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। ভুল করলে বিষয়টি বেশি মনে থাকে। আজ যারা উচু পদে এসেছে তারা অএকেই ভুল করেছে এবং তাই তারা অন্যকে উপদেশ দিতে পারে। যে কাজের অংশটি বেশি ভুল হতে পারে তা আগেই জানিয়ে দিতে পারে।

[tutoadsense]
১৩. কেউ আপনার শান্তি নষ্ট করতে পারবে না-এমন চিন্তা করুন
অন্যকে গুরুত্ব দেওয়া এবং নিজেকে দেখাতে চাওয়ার কারনে আমাদের শান্তি নষ্ট হয়। আমরা আসলে অন্যকে সন্তুষ্ট করতে চাই এবং সেটা ঠিকমতো না হলে কষ্ট পাই। ব্যাপারটা আমাদের শান্তিময় জীবনকে কখনো অশান্তিতে নিপতত করে।
আপানার শান্তি যাতে অন্যকেউ নষ্ট করতে না পারে তার জন্য প্রদর্শনেচ্ছা ছেড়ে দিবো। সবাই সমান না। কোন কাজ না পারলে সেটা থেকেও শিখা হয়। সব মানুষের ক্ষমতা সমান নয় এবং পছন্দও একরকম না। আমার পছন্দ আমি অন্যের কথায় নিজের শান্তি নষ্ট করবো না। কারো তিরষ্কারের মূল্য আমার কাছে নাই। চেষ্টা করে যাবো আরো ভাল করতে।

[tutoadsense]
১৪. সরাসরি আড্ডা দিন, ফোন বা চ্যাটিং না
ইফেকটিভ যোগাযোগের জন্য এক সাথে আড্ডা দেওয়া জরূরী। ফোন বা চ্যাটিং এর চেয়ে আড্ডায় অধিক সৃজণশীলতা জন্ম নেয়।
- সরাসরি আড্ডায় নিজের ভুলগুলো বুঝা যায়।
- বাস্তবতা সম্পর্কে জানা যায়। তাই অসেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।
- নিজেকে খাপখাইয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরী হয়।
১৫. সন্তুষ্ট থাকুনঃ
গবেষনায় দেখা গেছে যারা সন্তুষ্ট থাকে এবং উপকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদের স্বাস্থ্য ভাল।
[tutoadsense]
১৬. ব্যায়ম করবোঃ
হালকা ব্যায়াম করা বেশ উপকারী। ব্যস্তসময়ে আমরা অনেকেই ব্যায়াম করি না। আমার ছেলের সাথে খেলাধুলায় বেশ কিছু ব্যায়াম হয়ে যায়। হালকা ব্যায়াম শুরু করবো ইনশাল্লাহ। ইকুইপমেন্ট ছাড়া ব্যায়ামের মধ্য হাটাহাটি, ভাড়ী বস্তু নিয়ে হাটা, খেলাধুলা, বেড়াতে যাওয়াম, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা, ভ্রমনে যাওয়াও পরে। কেসব করার সুযোগ কম হওয়ায় বাসায় ও অফিসে আরো কিছু ব্যায়াম করবো।
ব্যায়ামের ফলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। খারাপ কোলেস্টরল কমে তাই হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। বহার গঠন ভাল হয়। নিষন্নতা দূর হওয়ার হ্যাপি হরমোন বৃদ্ধি পায়।

[tutoadsense]
১৭. পরিবারের সাথে বেশি সময় দেন
ব্যস্ততার অন্যতম কারন হলো আয় রোজগার এবং পরিবারকে ভাল রাখা। কিন্তু অনেক বেশি সময় পরিবারের বাইরে কাটিয়ে আয় দিয়ে কখনো পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী হয় না। বরং পরিবার আমাকে শুধু টাকার উৎসই মনে করবে। একসময় নিগৃহিতও হতে হয়।
পরিবারে সবার সাথে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কও গড়ে তোলবো। আমি শুধু দিয়ে যাবো ব্যাপারটা এমন না। নেওয়াও উচিৎ। চাওয়াও উচিৎ। যাতে পরিবারের সবার মধ্যে সামঞ্জস্যতা তৈরী হয়।
পরিবারে বেশি সময় দিলে কাজের ক্ষতিটা অন্যভাবে মেকআপ করার চেষ্টা করতে হবে-যেমন কাজ ভাগকরে দেওয়া।

[tutoadsense]
১৮. কাজের চাপে খারাপ ব্যবহার করবেন না
প্রফেশনাল জীবনে অনেকসময় প্রচুর কাজের চাপ এসে পরে। আর কাজের চাপে আমরা অনেক সময় বদমেজাজ দখাই। এটা ব্যক্তিগত জীবনেও এসে পরে। তাই কাজের চাপে খারাপ ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।

[tutoadsense]
১৯. বেশি কাজে চাপ নিলেই বেশি কাজ করা হয় নাঃ
বেশি কাজের চাপ নেওয়াই বেশি কাজ করা না। ইফেকটিভ কাজ করতে হবে যাতে অনেক কাজ হয়। আবার কিছু কাজ অন্যকে দিলে নিজের চেয়ে ভাল কাজ হতে পারে। আমি এর প্রমান দেখেছি।
বড় বড় উদ্যোক্তারা অন্যকে দিয়ে দারুন সব কাজ করিয়ে নিয়েছে। নিজের কাজ অদিরিক্ত হলে ছেড়ে দিতে হবে। দেশে এত এত বেকার থাকতে আমি কেন বেশি কাজ করবো?
ছোট ছোট টুকরা করে কাজ করাই মানুষের মহাত্ব। সামান্য পিপড়াও ভাগ ভাগ করে কাজ করে। ছোট ছোট কাজকে জোড়া দেওয়া শিখলে কাজের চাপকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

[tutoadsense]
২০. সাধ্যের চেয়ে অধিক ত্যাগ স্বীকার না করাঃ
সাধ্যের অতিরিক্ত ত্যাগ স্বীকার বলতে এক একজন এক এক রকম মনে করবে হয়তো। আমি মনে করি, যতটুকু ত্যাগ স্বীকার করলে কোন কিছু চাওয়ার আকাংখ্যা তৈরী না হয় ততটুকু। অতটুকু কেয়ার করবো যতটুকু প্রাপ্য, বেশি কেয়ার করে পরে তার কাছ থেকে ফিডব্যাক না পেলে বিসন্নতা তৈরী হতে পারে।

[tutoadsense]
খাদ্যাভ্যাসঃ
কয়েকটি খাদ্যাভ্যাস টিপস মনে রাখবোঃ
- সকালে ব্যস্তরা সাধারণত বাইরের খাবার খায়। এটা না করে আগে থেকে কলা ও ডিম রাখা যেতে পারে। ব্রেডের সাথে কলা, ডিম ও মধু দিয়ে সহজ ব্রেকফাস্ট তৈরী হয়ে যেতে পারে। একটা শাক বা শব্জির আইটেম রাখবো।
- মিটিং বা অফিসিয়াল প্রোগ্রামে অনেক অনেক খাওয়া দাওয়া হয়। আর সেখানে অনেক সময় বেশি সুগার এবং ফ্যাট খাওয়া হয়। কম ফাইবার এর খাবার থাকে। বিশেষ করে ভেজিটেবল কম থাকে। তাই এরকম খাবার খাওয়ার পর তোকমা ও ইসবগুলের ভুসি খেয়ে নিতে পারি। ফল খেয়ে নিতে পারি যাতে কিছু ফাইবার আছে।
- সালাদ বেশি খাবো।
- ভ্রমনে প্রচুর পানি খেতে হবে। মিটিং বা ব্যাস্ত সময় হাতের কাছে পানি রাখতে হবে।
- আগেই উল্লেখ করা হয়েছে-একই সময় খাওয়া দাওয়া করার ব্যাপারে।
- হেটে হেটে মিটিং করার মাধ্যমে শরীর সতেজ থাকে। সাথে থাকতে পারে বাদাম।
- ধীরে ধীরে খাবো। খাবার টেবিলে ব্যস্ততা দেখাবো না। খাবার খাওয়ার সময়ও হালকা কথাবার্তা বলা যেতে পারে -তবে সিরিয়াস কিছু না রাখাই ভাল।
https://www.psychologytoday.com/us/blog/one-true-thing/201506/5-benefits-gossip-even-negative-gossip