তেল-গ্যাসের গাড়ীর তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ীর ৬ সুবিধা

দিন দিন যে হারে ইলেকট্রিক গাড়ী উন্নত হচ্ছে তাতে সহজেই অনুমান করা যায় যে তেল ও গ্যাস চালিত গাড়ী খুব সিঘ্রই বিদায় নিবে। বিশ্বের বড় বড় গাড়ী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ী তৈরী শুরু করেদিয়েছে। নানাবিধ সুবিধার ইলেকট্রিক গাড়ীর বাজার চলে আসলে যাতে নতুন কোন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পরতে না হয়।

১. গাড়ীর দাম কমঃ

বিদ্যুৎ চালিত গাড়ীর তৈরীর খরচ অনেক কম হবে। তেল বা গ্যাসের গাড়ীতে যে পরিমান যন্ত্রাংশ প্রয়োজন হয় তার প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ লাগবে ইলেকট্রিক গাড়ীতে।

দিন দিন এই খরচের পরিমান আরো কমে আসবে।

[tutosubscribe]

২. চলার খরচঃ

তেল ও গ্যাসের প্রাপ্যতা দিন দিন কমে আসছে। আর দামও বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে প্রতি কিলোমিটার চলতে যে পরিমান খরচ হচ্ছে তা খুব বেশি। ইলেকট্রিক গাড়ীতে এই খরচ কমে আসবে।

জ্বালানীর গাড়ীতে শক্তির একটা বড় অংশ তাপ ও শব্দে রূপান্তরিত হয়ে শক্তি অপচয় হয়ে যায়, এটা হবে না।

৩. বাতাস দুষণ হবে নাঃ

কালো ধুয়া ছেড়ে চলে যায় গাড়ী। এতে করে বাতাসে ভাড়ি ধাতু প্রবেশ করে। আমাদের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ভারি ধাতু প্রবেশ করে। ব্রেণের জন্য মারাত্বক ক্ষতি এটা।

বিদ্যুৎ চালিত গাড়ীতে আমাদের এই সমস্যা থাকবে না।

৪. শব্দ দুষণ নাইঃ

pixels

ব্যাটারী চালিত গাড়ীতে শব্দ দুষণ নাই। শহরে একসাথে অনেক গাড়ী চলার সময় যে পরিমান শব্দ সৃষ্টি করে তা আমাদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব পড়ে।

বিদ্যুৎ চালিত গাড়ীতে আমাদের এই সমস্যা থাকবে না।

৫. কম মেইনটেন্যান্সঃ

Photo by Mike Bird from Pexels

বিদ্যুতিক গাড়ীতে অল্প কিছু পার্টস থাকে। তাই গাড়ী ঠিক করার প্রয়োজন কম হবে। তেল গ্যাসের গাড়ীতে অনেক অনেক ম্যাকানিক্যাল পার্টস থাকে। তাপ বিদ্যুৎ ইঞ্জিনে অনেক কিছুর সংযোজন থাকে। বিদ্যুত চালিত গাড়ীতে এত কিছু নাই। তাই ঠিক করার প্রয়োজনও কম হবে।

৬. ব্যাটারী চার্জিং এর সময় এবং র‌্যাঞ্জ আগের চেয়ে অনেক ভালঃ

ইলেকট্রিক গাড়ীর মূল সমস্যা চার্জিং এর সময়। নতুন প্রযুক্তির কিছু গাড়ীতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করে চাজিং এর সময় অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। আবার খুব উচ্চ গতির গাড়ীও বের হয়ে গিয়েছে।

শুধু ব্যক্তিগত গাড়ীই নয়। পিকআপ বাস এবং বড় বড় গাড়ীও ব্যাটারী চালিত করা হচ্ছে। আশা করা যায় কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা পেয়ে যাবো ইলেকট্রিক গাড়ী।