মেকাট্রনিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজ্যান্ট এর সমন্বয়

মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স এর সমন্বিত রুপকেই বলা হয় মেকাট্রনিক্স। মেকাট্রনিক্স এর ধারনা সাম্প্রতিক সময়ে এক বিরাট সম্ভাবনাময়। অনেক ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতিগুলো ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের অনুপস্থিতে প্রায় অকর্ম যন্ত্র হয়েই পড়ে থাকে। বিশেষ করে রোবট এর ক্ষেত্রে তো ইলেকট্রনিক্স মেকানিজম ছাড়া এর মেকানিক্যাল অবকাঠামো সম্পূর্ন নিঃস্বার প্রাণহীন হয়েই পড়ে থাকে। অপরদিকে কোন মেকট্রনিক্স যন্ত্রকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করানোর জন্য প্রয়োজন কতগুলো নির্দেশ। যাকে প্রোগ্রাম বলা হয়। আবার উপযুক্ত প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টিতে একটি অসার যন্ত্রও পরিনত হতে পারে বুদ্ধিমান যন্ত্রে। আর এটাই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজ্যান্ট প্রযুক্তি, যা ভবিষ্যতের রোবট ও কম্পিউটারের জন্য এক নতুন সম্ভবনাময়।

এ প্রযুক্তি দুটোর সমন্বয়ে রোবট ও কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ঘটে যেতে পারে এক নতুন বিপ্লব। সম্ভবত এ বিপ্লবের শীতল বাতাস মেকাট্রনিক্স জগতে অহরহ বইতে শুরু করেছে। হয়তো আর বেশি দিন দূরে নয় যেদিন একটি রোবট একজন ডাক্তার অথবা একটি কম্পিউটার একজন আইনজীবী এর ভূমিকায় কাজ করবে। মানুষের জন্য যেটা অসাধ্য রোবট অথবা কম্পিউটার হয়তো নিমেষের মধ্যে তা সম্পন্ন করবে। বৈজ্ঞানিক সকল সম্ভাবনার মধ্যে সমস্যাও থাকে প্রচুর। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি সত্যিই একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি রোবট এবং একটি কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হয় তাহলে কী এক সময়ে তাদের মধ্যে সচেতনত ফিরে আসবে? এ সর্ম্পকে এমন প্রশ্ন বৈজ্ঞানিক মহলে এখনই উত্থাপিত হচ্ছে। এমন সম্ভবনা আরো জটিল হতে পারে এ জন্য যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট বা কম্পিউটার এর সচেতনতা নির্ণয় করা কঠিন হবে। কারণ একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রোবট সচেতন রোবটে পরিবর্তিত হলে সেটা তার সচেতনতা গোপনের ব্যাপারেও সচেতন হতে পারে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য। কল্পবিজ্ঞানের অনেক কাহিনীতে মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কল্পবিজ্ঞানের সে কাহিনী হয়তো সে সচেতন রোবটর যুগে বাস্তবে পরিনত হতে পারে। তাই মেকাট্রনিক্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজ্যান্ট প্রযুক্তির সমন্বয়ের ব্যাপারে পৃথিবীর মানুষকে এ প্রযুক্তির শুরু থেকেই সচেতন থাকতে হবে।

Leave a Comment