RAID
অনেকে একে Redundant Array of Independent Disk আবার অনেকে এটিকে Redundant Array of Inexpensive Disk বলে থাকে। আজকের আলোচনা রেইড কি এবং রেইড জিরো, ওয়ান এবং রেইড টেন নিয়ে। রেইড ৫ ৬ নিয়ে আরেকটি ভিডিও হবে ইনশাল্লাহ।
অধিকাংশ অনেক গুরুত্নপূর্ণ কাজও মানুষ ব্যাকআপ রাখে না। মানুষ মনে করে সে মরবে না –বা তার হার্ডড্রাইভ ক্র্যাশ করবে না।
যাই হোক যারা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন তারা দ্রুত রেইডের সুবিধা নেন।
রেইড-০
এটি মূলতঃ দুই বা চারটি হার্ডড্রাইভের মাধ্যমে রেইড করা। এখানে কিন্তু কোন হার্ড ড্রাইভ ক্র্যাশ করলে আপনার সব ডাটা হারিয়ে যাবে। তবে এটি যে সুবিধা দেয় তা হলো ডাটা রীড করার গতি বাড়িয়ে দেয়। আপনারা জানেন এবং বোঝেন হার্ডড্রাইভের গতি প্রসেসরের গতির চেয়ে অনেক কম। কোন একটি তথ্য একাধিক ড্রাইভে থাকলে দুইটি থেকে এসে মিলে কাজ করলে বেশ দ্রুত তথ্যটি পাবেন।
আপনি যদি দুই টেরাবাইটের দুইটি হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করেন আপনি ৪ টেরাবাইট ডাটাই রাখতে পারবেন। কোন সমস্যা নাই। তবে একটার তথ্য হারালে আরেকটার তথ্যও সহজে ফেরত পাবেন না।
রেইড-১
রেইড ওয়ান একেবারে মিরর তৈরী করে। আপনি কমপক্ষে দুইটি হার্ডড্রাইভে রেইড-১ কনফিগার করতে পারেন। এখানে একটির তথ্য আরেকটির একেবারে মিরর হবে। একটি হারিয়ে গেলে আরেকটিতে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
দুইটেরাবাইটের দুইটি হার্ডড্রাইভ কিনলে এবং রেইড-১ এর ক্ষেত্রে আপনি চার টেরাবাইটের বদলে দুই টেরাবাইট ব্যবহার করতে পারবেন।
হার্ডওয়্যার রেইডের ক্ষেত্রে আপনার অপারেটিং সিস্টেমই দুই টেরাবাইট দেখাবে।
রেইড ওয়ানে রিডপারফরমেন্স ভাল হবে। যেহেতু রিডিং এর সময় এক এক টা তথ্য এক এক টা ড্রাইভ থেকে নিবে। কিন্তু রাইটিং পারফরমেন্স সাভাবিক থাকবে।
রেইড লেভেল-১ সফটওয়্যার মিররিং বা অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে করা হয় একটি ক্র্যাশ করলে সব তথ্য নাও পেতে পারেন। তাই অবশ্যই হার্ডওয়্যার রেইড কন্ট্রোলার কেনা উচিৎ
রেইড-১০
এটি মূলতঃ রেইড ১ এবং ০ এর সুবিধাগুলো একত্রিত করা হয়েছে । এখানে কমপক্ষে চারটি হার্ডড্রাইভ লাগবে। তথ্যগুলো চারটির দুইটিতে একই জিনিস লেখা হবে। যে কোন একটি হার্ড ড্রাইভ নষ্ট হলে তথ্য ফিরে পাবেন।
রেইড টেন এর রিড ক্যাপাসিটি অনেক অনেক ভাল পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন সারভারে বিল্ড ইন রেইড কন্ট্রোলার থাকে তা দিয়ে রেইড করে নিতে পারেন। সাধারনত বায়োস থেকে কনফিগার করে নিতে হয়