খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালের দিকে ইউরূপের মমিতে ট্যাটু দেখা গেছে। প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন দেশে ট্যাটু আঁকার প্রচলন থাকলেও এই আধুনিক যুগে নতুন করে ট্যাটু আঁকার প্রবণতা বেড়েছে। আর যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
আগের দিনে শুধু কালো রঙের ট্যাটু দেখা গেলেও এখন বিভিন্ন রঙের ট্যাটু দেখা যায়। এবং কিছু ট্যাটু আকিয়ে নিতে বছরও লেগে যেতে পারে।
শরীরের আর্ট দেখতে অনেক সুন্দর হলেও এটি স্বাস্থ্য ঝুকি সৃষ্ট করে। গবেষকরা এমনই জানিয়েছেন।
ট্যাটু আঁকার সময় সুচ বার বার একই স্থানে কয়েকবার ফোরানো হয়। ত্বকের উপরের অংশ নিচের দিকে এবং নিচের অংশ কিছুটা উপরের অংশে চলে আসে। সেই সাথে কালি যোগ করে ট্যাটুর ছবি আঁকা হয়। তার মানে ট্যাটু আঁকার সময় শরীরের বাইরের অংশ কিছুটা ভিতরের দিকে প্রবেশ করে।
তাছাড়া যে কালি ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু শরীরের জন্য তৈরী করা হয় না। বেশিভাগ কালিই মূলতঃ প্রিন্টিং প্রেসের কাজের কালি। এই কালি সরাসরি শরীরের ত্বকের নিচের অংশে চলে যায় যা স্বাস্থ্য ঝুকি সৃষ্টি করতে পারে। কারো কারো শরীরের ট্যাটুর জন্য এলার্জি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
অবশ্য কিছু কিছু লোকের ক্ষেত্রে ট্যাটু ক্ষতিকারক নাও হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে শরীর ট্যাটুর সাথে মানিয়ে নেয়।